০৩:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মুক্ত চিন্তার শুদ্ধ প্রকাশে নিরন্তর-কুমিল্লায় ধ্বনি আবৃত্তির ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কুমিল্লার হোমনায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক আটক কুমিল্লায় জলাতংক বিস্তার রোধে বিড়াল-কুকুরের বিনামূল্যে চেকাপ ও ভেক্সিন ক্যাম্প চৌদ্দগ্রামের কুলিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী; স্মৃতির প্রাঙ্গনে প্রীতির বন্ধনে মিলনমেলা কুমিল্লায় ঢাকাগামী বিএনপির নেতাকর্মীদের বাস দুর্ঘটনা, আহত ৩২ কুমিল্লা-৬ আসনে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করলেন জামায়াতের প্রার্থী কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বুড়িচংয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি সুজন গ্রেপ্তার চৌদ্দগ্রামে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে মাটি ব্যবসায়ীকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা কুমিল্লার হোমনায় পানিতে পড়ে ২ বছরের শিশুর মৃত্যু কুমিল্লা-৬ আসনে হাজী ইয়াছিনের পক্ষে মনোনয়নপত্র ক্রয়

তীব্র গরমে কুমিল্লায় বিদ্যালয়ে অজ্ঞান হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

  • তারিখ : ০১:১৭:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ জুন ২০২৩
  • 55

দাউদকান্দি প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বিদ্যালয়ে বমি করতে করতে অজ্ঞান হয়ে এক শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (৬ জুন) উপজেলার গৌরীপুর সুবল আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তৌহিদ আল হাসান ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম।

মারা যাওয়া শিশুর নাম হাবিবা আক্তার (১২)। সে বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং পাশের তিতাস উপজেলার চান্দনাগেরচর গ্রামের জিয়াউল হকের মেয়ে।

প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম বলেন, ‘হাবিবা সকালে নাশতা না খেয়েই স্কুলে চলে আসে। পৌনে ১১টার দিকে তার মা বিদ্যালয়ে নাশতার জন্য রুটি, ভাজি ও তালের শাঁস দিয়ে চলে যান। হাবিবা শুধু তালের শাঁস খেয়েই ক্লাসে প্রবেশ করে। এরপর কিছুক্ষণের মধ্যেই তার বমি শুরু হয় এবং সে বমি করতে করতে অজ্ঞান হয়ে যায়। শিক্ষক ও বান্ধবীরা তার মাথায় পানি ঢালেন এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। অবস্থার উন্নতি না দেখে তাকে নেওয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু পথেই মারা যায় হাবিবা।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তৌহিদ আল হাসান বলেন, ‘তালের শাঁস খেয়ে বমি করতে করতে অজ্ঞান হয়ে যায় ওই শিশুটি। আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েও কোনও উন্নতি দেখছিলাম না। তাকে ঢাকায় নিতে বলি। কিন্তু পথেই সে মারা যায়। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবার নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

তীব্র গরমে ওই শিক্ষার্থী মারা গেছে কিনা এমন তথ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গরমে মারা গেছে এমন কোনও লক্ষণ দেখিনি। এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।’

এদিকে, তীব্র গরমে শিশু হাবিবা মারা গেছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করছে অনেকে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী বলেন, ‘ওই শিশুর মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়া বলা যাচ্ছে না। তবে যাদের বয়স ১৫-এর নিচে তাদের খালি পেটে লিচু ও তালের শাঁস জাতীয় খাবার খাওয়ানো উচিত নয়। এতে মৃত্যুও ঘটতে পারে। এর আগেও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। খালি পেটে তালের শাঁস ও লিচু জাতীয় খাবার এই বয়সের শিশু-কিশোরদের অনেকের শরীরে সহ্য হয় না।’

error: Content is protected !!

তীব্র গরমে কুমিল্লায় বিদ্যালয়ে অজ্ঞান হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

তারিখ : ০১:১৭:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ জুন ২০২৩

দাউদকান্দি প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বিদ্যালয়ে বমি করতে করতে অজ্ঞান হয়ে এক শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (৬ জুন) উপজেলার গৌরীপুর সুবল আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তৌহিদ আল হাসান ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম।

মারা যাওয়া শিশুর নাম হাবিবা আক্তার (১২)। সে বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং পাশের তিতাস উপজেলার চান্দনাগেরচর গ্রামের জিয়াউল হকের মেয়ে।

প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম বলেন, ‘হাবিবা সকালে নাশতা না খেয়েই স্কুলে চলে আসে। পৌনে ১১টার দিকে তার মা বিদ্যালয়ে নাশতার জন্য রুটি, ভাজি ও তালের শাঁস দিয়ে চলে যান। হাবিবা শুধু তালের শাঁস খেয়েই ক্লাসে প্রবেশ করে। এরপর কিছুক্ষণের মধ্যেই তার বমি শুরু হয় এবং সে বমি করতে করতে অজ্ঞান হয়ে যায়। শিক্ষক ও বান্ধবীরা তার মাথায় পানি ঢালেন এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। অবস্থার উন্নতি না দেখে তাকে নেওয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু পথেই মারা যায় হাবিবা।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তৌহিদ আল হাসান বলেন, ‘তালের শাঁস খেয়ে বমি করতে করতে অজ্ঞান হয়ে যায় ওই শিশুটি। আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েও কোনও উন্নতি দেখছিলাম না। তাকে ঢাকায় নিতে বলি। কিন্তু পথেই সে মারা যায়। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবার নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

তীব্র গরমে ওই শিক্ষার্থী মারা গেছে কিনা এমন তথ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গরমে মারা গেছে এমন কোনও লক্ষণ দেখিনি। এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।’

এদিকে, তীব্র গরমে শিশু হাবিবা মারা গেছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করছে অনেকে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী বলেন, ‘ওই শিশুর মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়া বলা যাচ্ছে না। তবে যাদের বয়স ১৫-এর নিচে তাদের খালি পেটে লিচু ও তালের শাঁস জাতীয় খাবার খাওয়ানো উচিত নয়। এতে মৃত্যুও ঘটতে পারে। এর আগেও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। খালি পেটে তালের শাঁস ও লিচু জাতীয় খাবার এই বয়সের শিশু-কিশোরদের অনেকের শরীরে সহ্য হয় না।’