নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লা নগরীতে যানযট নিরসনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রেখেছে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন।
সোমবার নগরীর দক্ষিনাঞ্চলের চৌয়ারা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপ-সচিব ড. সফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে এ অভিযান চলাকালে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উচ্ছেদ অভিযানে অবৈধ নির্মিত স্থাপনার পাশাপশি রাস্তা দখল করে নির্মিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বাড়তি অংশও ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। ফলে রাস্তার প্রশস্থতা বৃদ্ধি পেয়েছে, এতে নিত্য যানজট অনেকটাই লাঘব হবে জানান স্থানীয়রা।
আবার কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে থাকা সরকারি জায়গা জোর পূর্বক দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করায় তাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আগের মেয়রের আমলে দফায় দফায় অভিযোগ দিলেও কর্নপাত করা হয়নি। বর্তমান মেয়রের নির্দেশে এ অভিযান পরিচালিত হওয়ায় তারা সাধুবাদ জানান।
এলাকাবাসীও চৌয়ারা বাজারকে যানজট মুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করায় কুমিল্লা সিটি মেয়র আরফানুল হক রিফাতকে অভিনন্দন জানান।
স্থানীয় ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হাসান জানান, চৌয়ারা বাজারের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পলে স্থানীয় মানুষ ও ব্যবসায়ীরা খুবেই খুশি। এতে বাজারে যানজট কমবে। যাতায়াতে সুবিধা হবে। স্থানীয়রা সিটি মেয়র আরফানুল হক রিফাত কে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
জানা যায়, গত দুইমাস ধরে কুমিল্লা নগরীতে ট্যাক্স খেলাপি সাইনবোর্ড, অনিয়ন্ত্রিত মাইকিং ও ফুটপাতে অবৈধ দোকানপাটের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন। সাম্প্রতিক সময়ে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপ-সচিব ড. সফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে নগরীর পুলিশ লাইন্স মোড় থেকে শুরু করে বাদুরতলা, ঝাউতলা এবং কান্দির পাড় হয়ে টমছম ব্রিজ পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় অতিরিক্ত মাত্রায় মাইকিং করে শব্দ দূষণ করায় একাধিক ব্যক্তিকে সতর্ক করা হয় এবং বছরের পর বছর ট্যাক্স খেলাপির কারণে বিএসআরএমসহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড-বিলবোর্ড অপসারণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপ-সচিব ড. সফিকুল ইসলাম জানান, মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে নগরীতে ট্যাক্স খেলাপি সাইনবোর্ড অপসারণ, শব্দ দূষণ রোধে অনিয়ন্ত্রিত মাইকিং ও নগরীর যানজট নিরসনে ফুটপাতে অবৈধ দোকানপাটের বিরুদ্ধে এ অভিযান পরিচালনা চলমান রয়েছে। কুমিল্লা সিটিকর্পোরেশনের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।