১১:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
How To Win Slot Machine Online Play Free Slot Machine Online No Download – The Ultimate Overview to Online Slot Games কুবিতে প্রথমবারের মতো সিরাত পাঠ প্রতিযোগিতা ও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল: ১ লাখ ৬৭ হাজার থেকে কমে ২ হাজার ৬০০ টাকা কুমিল্লার মুরাদনগরে অপহরণের পর যুবক খুন, ৩৬ দিন পর কঙ্কাল উদ্ধার কুমিল্লায় আ. লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার কুমিল্লার দেবিদ্বারে পানিতে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশুর মৃত্যু কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ঝটিকা মিছিল, আটক ৫ বুড়িচংয়ে পূজা উদযাপনে থাকবে সেনাবাহিনী-পুলিশের নিরাপত্তা বলয় বুড়িচংয়ে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ৫ লক্ষ টাকার ওষুধ বিতরণ

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

  • তারিখ : ১১:০৯:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩
  • 14

নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ, সাবেক হিসাবরক্ষকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৪০ লাখ ৯২ হাজার ৯০৭ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুমিল্লার সহকারী পরিচালক রাফী মো. নাজমুস সাদাত বাদী হয়ে ওই মামলা করেন।

দুদক কুমিল্লা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক পাপন কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ সকাল ১০টায় ওই মামলা হয়। মামলার তিন আসামি হলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ রতন কুমার সাহা, একই কলেজের সাবেক হিসাবরক্ষক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান এবং কলেজের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর কাজী জাহাঙ্গীর আলম।

দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রতন কুমার সাহা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন। ২০১৯ সালের ৩০ মে নানা অনিয়মের অভিযোগে তাঁকে ওএসডি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ১১ জুন অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন মো. রুহুল আমিন ভূঁইয়া। এরপর তিনি একটি অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিটি গঠন করেন। এতে ২২টি খাতে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ রতন কুমার সাহা তৎকালীন হিসাবরক্ষক আবদুল হান্নান ও ক্যাশিয়ারের দায়িত্বে থাকা অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর কাজী জাহাঙ্গীর আলমের যোগসাজশে ২ কোটি ৪০ লাখ ৯২ হাজার ৯০৭ টাকা আত্মসাৎ করেন। অস্তিত্বহীন ব্যয় অর্থাৎ খরচ না হলেও বা ব্যয়ের ভিত্তি না থাকা সত্ত্বেও অর্থ ব্যয় দেখিয়ে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে এ অর্থ আত্মসাৎ করেন তাঁরা। এরপর এ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করা হয়। সেখান থেকে দুদকে অভিযোগের কপি পাঠানো হয়। দীর্ঘ সময় ধরে এ নিয়ে তদন্ত হয়।

এ প্রসঙ্গে রতন কুমার সাহার মুঠোফোনে আজ বিকেলে একাধিকার কল করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে। আবদুল হান্নান ও কাজী জাহাঙ্গীর আলমের মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে।

রতন কুমার সাহার বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার আল্লামা ইকবাল সড়কে (আদি নিবাস কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ছালিয়াকান্দি গ্রামে)। মোহাম্মদ আবদুল হান্নান কুমিল্লা নগরের কালিয়াজুরি এলাকার বাসিন্দা। তিনি ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন সরকারি কলেজের প্রধান সহকারী হিসেবে বর্তমানে কর্মরত। জাহাঙ্গীরের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার খলিলপুর গ্রামে। তিনি দৌলতপুর ছায়াবিতান এলাকায় বসবাস থাকেন।

error: Content is protected !!

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

তারিখ : ১১:০৯:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩

নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ, সাবেক হিসাবরক্ষকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৪০ লাখ ৯২ হাজার ৯০৭ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুমিল্লার সহকারী পরিচালক রাফী মো. নাজমুস সাদাত বাদী হয়ে ওই মামলা করেন।

দুদক কুমিল্লা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক পাপন কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ সকাল ১০টায় ওই মামলা হয়। মামলার তিন আসামি হলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ রতন কুমার সাহা, একই কলেজের সাবেক হিসাবরক্ষক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান এবং কলেজের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর কাজী জাহাঙ্গীর আলম।

দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রতন কুমার সাহা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন। ২০১৯ সালের ৩০ মে নানা অনিয়মের অভিযোগে তাঁকে ওএসডি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ১১ জুন অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন মো. রুহুল আমিন ভূঁইয়া। এরপর তিনি একটি অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিটি গঠন করেন। এতে ২২টি খাতে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ রতন কুমার সাহা তৎকালীন হিসাবরক্ষক আবদুল হান্নান ও ক্যাশিয়ারের দায়িত্বে থাকা অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর কাজী জাহাঙ্গীর আলমের যোগসাজশে ২ কোটি ৪০ লাখ ৯২ হাজার ৯০৭ টাকা আত্মসাৎ করেন। অস্তিত্বহীন ব্যয় অর্থাৎ খরচ না হলেও বা ব্যয়ের ভিত্তি না থাকা সত্ত্বেও অর্থ ব্যয় দেখিয়ে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে এ অর্থ আত্মসাৎ করেন তাঁরা। এরপর এ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করা হয়। সেখান থেকে দুদকে অভিযোগের কপি পাঠানো হয়। দীর্ঘ সময় ধরে এ নিয়ে তদন্ত হয়।

এ প্রসঙ্গে রতন কুমার সাহার মুঠোফোনে আজ বিকেলে একাধিকার কল করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে। আবদুল হান্নান ও কাজী জাহাঙ্গীর আলমের মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে।

রতন কুমার সাহার বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার আল্লামা ইকবাল সড়কে (আদি নিবাস কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ছালিয়াকান্দি গ্রামে)। মোহাম্মদ আবদুল হান্নান কুমিল্লা নগরের কালিয়াজুরি এলাকার বাসিন্দা। তিনি ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন সরকারি কলেজের প্রধান সহকারী হিসেবে বর্তমানে কর্মরত। জাহাঙ্গীরের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার খলিলপুর গ্রামে। তিনি দৌলতপুর ছায়াবিতান এলাকায় বসবাস থাকেন।