১০:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বাঙ্গরা উমালোচন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে অভিভাবক সমাবেশ কুমিল্লা নগরীর কাঁটাবিলে জোরপূর্বক প্রবাসীর জমি দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন কুমিল্লার উন্নয়ন ও প্রতিশ্রুতি নিয়ে সদর আসনের প্রার্থী রিয়াদের সংবাদ সম্মেলন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ডোবার পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু কুমিল্লায় ভেজাল জুস ও যৌন উত্তেজক পণ্য কারখানায় অভিযান, দুইজনের কারাদণ্ড কুমিল্লা লাকসাম (মুদাফ্ফরগঞ্জ) ইসলামী ফ্রন্টের সাংগঠনিক উপজেলা কমিটি গঠিত কুমিল্লায় জুলাই মাসে ১১টি হত্যা, ধর্ষণের মামলার ৮টি কুমিল্লায় ৩৩ বছরের ইমামত শেষে রাজকীয় বিদায়; কাঁদলেন এলাকাবাসী সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় মানববন্ধন সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে কুমিল্লার মুরাদনগরে মানববন্ধন

কুমিল্লায় মোবাইল হারিয়ে ব্যাংকে রাখা ১২ লাখ টাকা খোয়ালেন এক গ্রাহক

  • তারিখ : ০৪:২২:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৪
  • 5

কুমিল্লা নিউজ ডেস্ক।।
ফোন হারানোর কথা জানাতে গিয়ে ব্যাংক গ্রাহক জানতে পারেন তার অ্যাকাউন্ট থেকে ৪ দিন আগেই ১২ লাখ টাকা নাই হয়ে গেছে! কুমিল্লার ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এক গ্রাহকের হিসাব থেকে সাড়ে ১২ লাখ টাকা সিটি ব্যাংকের কুমিল্লা ও ঢাকাসহ বিভিন্ন শাখার পৃথক চারটি হিসাব নম্বরে ট্রান্সফারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সদর দক্ষিণ মডেল থানায় এ অভিযোগ করেন ডাচ-বাংলা ব্যাংক কুমিল্লা শাখার গ্রাহক কুমিল্লা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২-এ কর্মরত লাইনম্যান মো. নাজমুল হক। তিনি ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার ভৈরবা গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২-এ কর্মরত লাইনম্যান মো. নাজমুল হক ব্যক্তিগত প্রয়োজনে তার প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে ১৫ লাখ টাকা লোন করেন। কুমিল্লা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২-এর অগ্রণী ব্যাংকের কুমিল্লা নগরীর পদুয়ার বাজার শাখার হিসাব থেকে গত ২ জানুয়ারি নাজমুল হকের নামে ১৫ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়। উক্ত চেকের মাধ্যমে নাজমুল হক তার নামীয় ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের হিসাবে (নং- ১৪১১০৩০১২৩২৬৬) লোনের ১৫ লাখ টাকা জমা করেন। এরই মধ্যে গত ৬ জানুয়ারি তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন (নং- ০১৭১৬৯৫৪০৮৮) হারিয়ে যায়। এতে তিনি উক্ত মোবাইল ফোনে ডাচ-বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং নেক্সাস-পে অ্যাপসটি বন্ধ করতে ওই ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ার ১৬২১৬ নম্বরে ফোন করলে জানতে পারেন তার নামীয় ব্যাংকের হিসাব নম্বর হতে সিটি ব্যাংক লিমিটেডের কয়েকটি হিসাব নম্বরে টাকা ট্রান্সফার হয়েছে।

কাস্টমার কেয়ার থেকে তাকে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের করপোরেট শাখায় যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তিনি ডাচ-বাংলা ব্যাংক লি. হতে তার নামীয় ব্যাংক হিসাবের স্টেটমেন্ট সংগ্রহ করেন। তিনি দেখেন তার নামীয় ১৪১১০৩০১২৩২৬৬ হিসাব নম্বর থেকে ২ জানুয়ারি হতে ৬ জানুয়ারির মধ্যে বিভিন্ন সময়ে সিটি ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার ৪টি হিসাব নম্বরে ১২ লাখ ৪৮ হাজার ১২২ টাকা ট্রান্সফার করে নেওয়া হয়েছে।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ডাচ-বাংলা ব্যাংকে তার নামীয় উক্ত হিসাব হতে সিটি ব্যাংকের ঢাকার নিকুঞ্জ খিলক্ষেত শাখার জাহিদুল হক রনি নামে এক গ্রাহকের ২৩০৩৮৭৬২০৪০০১ হিসাব নম্বরে ৫ লাখ টাকা, একই ব্যাংকের কুমিল্লা শাখার ইমতিয়াজ আহাম্মদ নামের গ্রাহকের ২৩০৪০২৭৫৬৪০০১ হিসাব নম্বরে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১২২ টাকা, ঢাকাস্থ সিটি ব্যাংকের যাত্রাবাড়ি শাখার সফিকুল ইসলাম নামে এক গ্রাহকের ২৩০৩৯৮৮৫২১০০১ হিসাব নম্বরে ৩ লাখ টাকা এবং রংপুর শাখা সিটি ব্যাংকের মেহেরুন অ্যাগ্রো নামের গ্রাহকের ১৫০৩৬৩৫৮১৩০০১ হিসাব নম্বরে এক লাখ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে ট্রান্সফার করে নেওয়া হয়েছে।

ব্যাংকের গ্রাহক মো. নাজমুল হক সাংবাদিকদের জানান, তিনি তার কর্মস্থল পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে ১৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন। কিন্তু ব্যাংক থেকে এভাবে তার অজান্তে টাকা ট্রান্সফার করে আত্মসাৎ করায় তিনি হতবাক হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। এ টাকা না পেলে আমাকে পথে বসতে হবে।’ এ ব্যাপারে তিনি বৃহস্পতিবার বিকালে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন।

ডাচ-বাংলা ব্যাংক কুমিল্লা শাখার ডেপুটি ম্যানেজার মো. সোলায়মান বলেন, ‘আমাদের ব্যাংক থেকে অন্য একটি ব্যাংকের বিভিন্ন হিসাবে টাকা ট্রান্সফারের অভিযোগ গ্রাহকের মাধ্যমে জেনেছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে দেখবো।’

সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কুমিল্লায় মোবাইল হারিয়ে ব্যাংকে রাখা ১২ লাখ টাকা খোয়ালেন এক গ্রাহক

তারিখ : ০৪:২২:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৪

কুমিল্লা নিউজ ডেস্ক।।
ফোন হারানোর কথা জানাতে গিয়ে ব্যাংক গ্রাহক জানতে পারেন তার অ্যাকাউন্ট থেকে ৪ দিন আগেই ১২ লাখ টাকা নাই হয়ে গেছে! কুমিল্লার ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এক গ্রাহকের হিসাব থেকে সাড়ে ১২ লাখ টাকা সিটি ব্যাংকের কুমিল্লা ও ঢাকাসহ বিভিন্ন শাখার পৃথক চারটি হিসাব নম্বরে ট্রান্সফারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সদর দক্ষিণ মডেল থানায় এ অভিযোগ করেন ডাচ-বাংলা ব্যাংক কুমিল্লা শাখার গ্রাহক কুমিল্লা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২-এ কর্মরত লাইনম্যান মো. নাজমুল হক। তিনি ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার ভৈরবা গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২-এ কর্মরত লাইনম্যান মো. নাজমুল হক ব্যক্তিগত প্রয়োজনে তার প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে ১৫ লাখ টাকা লোন করেন। কুমিল্লা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২-এর অগ্রণী ব্যাংকের কুমিল্লা নগরীর পদুয়ার বাজার শাখার হিসাব থেকে গত ২ জানুয়ারি নাজমুল হকের নামে ১৫ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়। উক্ত চেকের মাধ্যমে নাজমুল হক তার নামীয় ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের হিসাবে (নং- ১৪১১০৩০১২৩২৬৬) লোনের ১৫ লাখ টাকা জমা করেন। এরই মধ্যে গত ৬ জানুয়ারি তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন (নং- ০১৭১৬৯৫৪০৮৮) হারিয়ে যায়। এতে তিনি উক্ত মোবাইল ফোনে ডাচ-বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং নেক্সাস-পে অ্যাপসটি বন্ধ করতে ওই ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ার ১৬২১৬ নম্বরে ফোন করলে জানতে পারেন তার নামীয় ব্যাংকের হিসাব নম্বর হতে সিটি ব্যাংক লিমিটেডের কয়েকটি হিসাব নম্বরে টাকা ট্রান্সফার হয়েছে।

কাস্টমার কেয়ার থেকে তাকে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের করপোরেট শাখায় যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তিনি ডাচ-বাংলা ব্যাংক লি. হতে তার নামীয় ব্যাংক হিসাবের স্টেটমেন্ট সংগ্রহ করেন। তিনি দেখেন তার নামীয় ১৪১১০৩০১২৩২৬৬ হিসাব নম্বর থেকে ২ জানুয়ারি হতে ৬ জানুয়ারির মধ্যে বিভিন্ন সময়ে সিটি ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার ৪টি হিসাব নম্বরে ১২ লাখ ৪৮ হাজার ১২২ টাকা ট্রান্সফার করে নেওয়া হয়েছে।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ডাচ-বাংলা ব্যাংকে তার নামীয় উক্ত হিসাব হতে সিটি ব্যাংকের ঢাকার নিকুঞ্জ খিলক্ষেত শাখার জাহিদুল হক রনি নামে এক গ্রাহকের ২৩০৩৮৭৬২০৪০০১ হিসাব নম্বরে ৫ লাখ টাকা, একই ব্যাংকের কুমিল্লা শাখার ইমতিয়াজ আহাম্মদ নামের গ্রাহকের ২৩০৪০২৭৫৬৪০০১ হিসাব নম্বরে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১২২ টাকা, ঢাকাস্থ সিটি ব্যাংকের যাত্রাবাড়ি শাখার সফিকুল ইসলাম নামে এক গ্রাহকের ২৩০৩৯৮৮৫২১০০১ হিসাব নম্বরে ৩ লাখ টাকা এবং রংপুর শাখা সিটি ব্যাংকের মেহেরুন অ্যাগ্রো নামের গ্রাহকের ১৫০৩৬৩৫৮১৩০০১ হিসাব নম্বরে এক লাখ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে ট্রান্সফার করে নেওয়া হয়েছে।

ব্যাংকের গ্রাহক মো. নাজমুল হক সাংবাদিকদের জানান, তিনি তার কর্মস্থল পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে ১৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন। কিন্তু ব্যাংক থেকে এভাবে তার অজান্তে টাকা ট্রান্সফার করে আত্মসাৎ করায় তিনি হতবাক হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। এ টাকা না পেলে আমাকে পথে বসতে হবে।’ এ ব্যাপারে তিনি বৃহস্পতিবার বিকালে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন।

ডাচ-বাংলা ব্যাংক কুমিল্লা শাখার ডেপুটি ম্যানেজার মো. সোলায়মান বলেন, ‘আমাদের ব্যাংক থেকে অন্য একটি ব্যাংকের বিভিন্ন হিসাবে টাকা ট্রান্সফারের অভিযোগ গ্রাহকের মাধ্যমে জেনেছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে দেখবো।’

সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’