১২:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় বিয়ের ১৩ দিনের মাথায় শ্বশুরবাড়িতে খুন: লাশ নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ কুমিল্লায় বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত দাউদকান্দি-মেঘনায় ‘জিবি’ নামে চাঁদাবাজি কার্যক্রম চলবে না -ড. খন্দকার মারুফ হোসেন কুমিল্লার তিতাসে আলোচিত নজরুল হত্যার ৯৯ দিন পর মাথার খুলি উদ্ধার সাংবাদিকরা জীবন বাজি রেখে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করেন-গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব রাজধানীতে ২৬ টুকরা লাশের ঘটনার মূলহোতা কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার বুড়িচংয়ে পুকুরে সেচ পাম্পে সংযোগ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু চৌদ্দগ্রামে গুনবতী জনসভার সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে ইউনিয়ন জামায়াতের সংবাদ সম্মেলন চৌদ্দগ্রামে উজিরপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের নির্বাচনী প্রস্তুতি ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত গোমতী কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

পুষ্পস্তবক অর্পনের ক্রম নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে হট্টগোল

  • তারিখ : ০৯:২৩:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 43

কুবি প্রতিনিধি।।
মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের ক্রম নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি হট্টগোল করেছে অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ও আহ্বায়কের সাথে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) প্রথম প্রহরে এই ঘটনা ঘটে।

২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার ফুল দেয়ার পর পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, শাখা ছাত্রলীগ, কর্মকর্তা সমিতি ও কর্মচারী সমিতি ফুল দেয়।এরপর কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িকে ফুল দেওয়ার অনুরোধ জানান উপস্থাপক নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক অমিত দত্ত। এ সময় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান এসে প্রথমে অমিত দত্তের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল বাকি থাকার পরেও ফুল দেয়ার কারণ জানতে চান এবং পরবর্তীতে একই প্রশ্ন রাখেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের কাছে।

এ সময় অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, আমাদের ছাত্ররা ফুল দেয় নাই, ‘আবাসিক হল ও বিভাগগুলোও ফুল দেয় নাই। এটা কোন ধরনের কালচার। তারা অবশ্যই ফুল দেবেন কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের পর ফুল দেবেন। এটা হতেই পারে না।’

অপর দিক থেকে অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন আঙুল তুলে বলেন, ‘এই আয়োজনের আহ্বায়ক কে? ওরে কান ধরে উঠবস করাও।’ এরপর তিনি অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের দিকে আঙুল তুলে বলেন, ‘আপনি হলের প্রভোস্ট ছিলেন না? আপনার লজ্জা করে না? আপনি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের কাছে ক্ষমা চান।’

এরপর কুবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান বলেন, ‘আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অপমান করে বাইরের সংগঠনকে আনবেন। তারপর দোকান মালিক সমিতিকে আনবেন, ভূমিদস্যু আনবেন এইসব আপনাদের কাজ? এইসব করার জন্য আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন? আপনাকে যদি কেউ নির্দেশ দিয়ে থাকে তাহলে তার নাম বলতে হবে।’ তখন আবার অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘প্রক্টর কোথায়? প্রক্টর বিষয়টা এড়াতে পারে না।’

তারপর অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি শুরু থেকেই তাদের ডিসএগ্রি করেছি।’

আহ্বায়কের এই কথা শোনে তখন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষকের মুখ থেকে শুনতে পাওয়া যায়, ‘কার নির্দেশে এটা হয়েছে। আপনি কার নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অপমান করেছেন? এটা সবার সামনে বলতে হবে।’

প্রত্যুত্তরে অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক বলেন, ‘এটা নিয়ে আমরা তর্ক না করি। বিভাগ এবং হলগুলোর আগে তাদেরকে (পুলিশ ফাঁড়ি) ফুল দেওয়ার বিষয়ে আমাদের প্রশাসনিকভাবে ভুল হয়েছে। এই বিষয় নিয়ে আমরা পরবর্তীতে আলোচনা করব। এই মুহূর্তে এখানে এটা আলোচনার বিষয় না।’

error: Content is protected !!

পুষ্পস্তবক অর্পনের ক্রম নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে হট্টগোল

তারিখ : ০৯:২৩:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

কুবি প্রতিনিধি।।
মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের ক্রম নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি হট্টগোল করেছে অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ও আহ্বায়কের সাথে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) প্রথম প্রহরে এই ঘটনা ঘটে।

২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার ফুল দেয়ার পর পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, শাখা ছাত্রলীগ, কর্মকর্তা সমিতি ও কর্মচারী সমিতি ফুল দেয়।এরপর কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িকে ফুল দেওয়ার অনুরোধ জানান উপস্থাপক নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক অমিত দত্ত। এ সময় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান এসে প্রথমে অমিত দত্তের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল বাকি থাকার পরেও ফুল দেয়ার কারণ জানতে চান এবং পরবর্তীতে একই প্রশ্ন রাখেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের কাছে।

এ সময় অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, আমাদের ছাত্ররা ফুল দেয় নাই, ‘আবাসিক হল ও বিভাগগুলোও ফুল দেয় নাই। এটা কোন ধরনের কালচার। তারা অবশ্যই ফুল দেবেন কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের পর ফুল দেবেন। এটা হতেই পারে না।’

অপর দিক থেকে অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন আঙুল তুলে বলেন, ‘এই আয়োজনের আহ্বায়ক কে? ওরে কান ধরে উঠবস করাও।’ এরপর তিনি অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের দিকে আঙুল তুলে বলেন, ‘আপনি হলের প্রভোস্ট ছিলেন না? আপনার লজ্জা করে না? আপনি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের কাছে ক্ষমা চান।’

এরপর কুবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান বলেন, ‘আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অপমান করে বাইরের সংগঠনকে আনবেন। তারপর দোকান মালিক সমিতিকে আনবেন, ভূমিদস্যু আনবেন এইসব আপনাদের কাজ? এইসব করার জন্য আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন? আপনাকে যদি কেউ নির্দেশ দিয়ে থাকে তাহলে তার নাম বলতে হবে।’ তখন আবার অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘প্রক্টর কোথায়? প্রক্টর বিষয়টা এড়াতে পারে না।’

তারপর অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি শুরু থেকেই তাদের ডিসএগ্রি করেছি।’

আহ্বায়কের এই কথা শোনে তখন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষকের মুখ থেকে শুনতে পাওয়া যায়, ‘কার নির্দেশে এটা হয়েছে। আপনি কার নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অপমান করেছেন? এটা সবার সামনে বলতে হবে।’

প্রত্যুত্তরে অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক বলেন, ‘এটা নিয়ে আমরা তর্ক না করি। বিভাগ এবং হলগুলোর আগে তাদেরকে (পুলিশ ফাঁড়ি) ফুল দেওয়ার বিষয়ে আমাদের প্রশাসনিকভাবে ভুল হয়েছে। এই বিষয় নিয়ে আমরা পরবর্তীতে আলোচনা করব। এই মুহূর্তে এখানে এটা আলোচনার বিষয় না।’