নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও নাঙ্গলকোট থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলামসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। স্থানীয় আইনজীবী মো. একরামুল হক মজুমদার কুমিল্লার ৫ নম্বর আমলি আদালতে মামলাটি করেন।
আদালতের বিচারক আবু বকর সিদ্দিক মামলাটি আমলে নিয়ে নাঙ্গলকোট থানা-পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। এ মামলায় ৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী মো. একরামুল হক মজুমদার কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার আশারকোটা এলাকার খিদর আলীর ছেলে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে মামলা করার বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেছেন। নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে ফজলুল হক বলেন, মামলার কাগজপত্র এখনো তাঁর হাতে পৌঁছায়নি। কাগজপত্র হাতে পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন নাঙ্গলকোট থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. আবদুল হামিদ, তাঁর ছেলে যুবলীগ নেতা মো. মঈন উদ্দিন, নাঙ্গলকোট উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম রুবেল, উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা মো. শাহজাহান, মো. মোস্তাক মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা আবু ইসহাক, হান্নান, ফরাদ, ইমরান, মো. নোমান, মো. সাইফুল ও তুহিন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি জহিরুল ইসলাম সেলিম বলেন, তিনি বর্তমানে নোয়াখালীতে অবস্থান করছেন। মামলা সম্পর্কে তিনি জানেন না।
মামলার বাদী একরামুল হক মজুমদার বলেন, ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর নাঙ্গলকোটের আশারকোটা এলাকায় এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন সংসদ সদস্যপ্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরী। ওই সময় মামলার আসামিরা রামদা, ছেনি, পিস্তল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আইনজীবী ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেন।
এ সময় গাড়ি ভাঙচুর ও তাঁকে (একরামুল) পিটিয়ে আহত করা হয়। নেতা-কর্মীদের মারধর করে তাঁদের মুঠোফোন ও টাকাপয়সা রেখে দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর থানায় গেলে তৎকালীন ওসি নজরুল ইসলাম মামলা নেননি। উল্টো তিনি তাঁকে মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি দেন। পরে ওসির নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অফিস ও দোকানপাট ভাঙচুর করে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page