আলমগীর কবির।।
“ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ ছড়াবে না বিদ্বেষ”- এই শিরোনামে কুমিল্লায় ধর্মীয় সম্প্রতি রেলি ও সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে কুমিল্লা সদর দক্ষিণের পদুয়ার বাজার এলাকায় রেলিতে অংশ নেন মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও সাধারণ মানুষ। কুমিল্লা জেলা পুলিশের আয়োজনে র্যালিটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পদুয়ার বাজার থেকে – জাঙ্গালিয়া বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে।
অন্যান্যদের মধ্যে সভায় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ সার্কেল প্রধান এ কে এম ইমরানুল হক মারুফ, কোটবাড়ি নব শালবন বিহারের অধ্যক্ষ শীল ভদ্র মহাথের, বিজয়পুর কেন্দ্রীয় মন্দিরের সেবায়েত হরিভূষণ পাল, মুফতি মো. শহিদুল্লাহ, সনাতনী ধর্মালম্বী নিহার দত্ত, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আল আমিন, সদর দক্ষিণ থানার সদস্য শরিফুল ইসলাম রাকিব সহ অন্যান্যরা।
রেলিতে অংশ নেয়া কোটবাড়ি নব শালবন বিহারের অধ্যক্ষ শীল ভদ্র মহাথের বলেন, আমরা তো কোন অশান্তিতে নেই। সব কিছুই সাধারণ ভাবেই আছে – চলছে।
সনাতনী ধর্মালম্বী নিহার দত্ত বলেন, আমাদের বাবা দাদা চাচারা যেভাবে মিলেমিশে এদেশে একসাথে ছিলেন আমরাও সেভাবেই থাকতে চাই। আমাদের সনাতনীদের তো এখানে কোন ঝামেলা সমস্যা দেখছি না। আমাকে যদিও আমার কোন বন্ধুর নাম বলতে বলে সবার আগে মুসলমান বন্ধুর নামটাই আসে। তাই আমরা আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ হয়েই থাকবো – তারা আমাদের কি চাইল সেটা পরে দেখার বিষয়।
মুফতি মো. শহিদুল্লাহ বলেন, আমরা ধর্মীয়ভাবে ঐক্যবদ্ধ আছি। কিন্তু আগরতলায় যেভাবে আমাদের পতাকার অবমাননা করা হলো আমরা সবাই এর তীব্র নিন্দা জানাই।
রিয়েলি শেষে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানা প্রাঙ্গণে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করে কুমিল্লা জেলা পুলিশ। সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
সভায় প্রধান অতিথি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ সার্কেল প্রধান এ কে এম ইমরানুল হক মারুফ বলেন, কুমিল্লায় ধর্মীয় শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রয়েছে। কোথাও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি, আশা করছি সামনেও ঘটবে না। কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি করলে পুলিশ সবসময় শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষের পাশেই থাকবে।