মনির হোসাইন।।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা পরিষদের সামনে প্রধান সড়কের পাশেই গড়ে উঠেছে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। স্থানীয়দের অসচেতনতা ও খাল দখলের কারণে এলাকায় মারাত্মক পরিবেশ দূষণ দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, খাদ্য গোডাউন, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সাথে রামধনীমুড়া ও নিমাইকান্দি গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করছেন।খাল দখল দোষন ও ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশন সু ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই ময়লা আবর্জনা ফুঁসে দুর্গন্ধের কারন বিভিন্ন সরকারি অফিস,আবাসিক এলাকার বাসা বাড়ির লোকজন ও পথচারী চলাচল করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
উপজেলার পাশে জেলা পরিষদের একটি বিশাল খাল ছিল,যা স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি দখল করে ফেলেছেন। খালের অবশিষ্ট জায়গায় প্রতিদিন বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এতে খালটি পুরোপুরি ভরাট হয়ে পানি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই ১২ মাসেই এলাকাজুড়ে ময়লা পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।এতেকরে এলাকাবাসী স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা চলাচলে অনুপোযোগী হয়ে পড়ে।
স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছেন পথচারী ও উপজেলা পরিষদে আসা সাধারণ মানুষ। ময়লা পানিতে এডিস মশার বংশবৃদ্ধি বেড়ে যাওয়ায় এলাকায় ডেঙ্গুর ঝুঁকি আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে বলা হয়, “মুরাদনগর-কোম্পানিগঞ্জ সড়কের দক্ষিণ পাশে জেলা পরিষদের একটি খাল ছিল, যা দিয়ে রহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকার পানি নিষ্কাশন হতো। বর্তমানে দখল ও আবর্জনায় পানি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে।”
এলাকাবাসীর দাবি, জরুরি ভিত্তিতে খাল পরিষ্কার করে পানি চলাচল স্বাভাবিক করতে হবে। একই সঙ্গে রামধনীমুড়া থেকে উপজেলা পরিষদ গেট পর্যন্ত অন্তত দুটি ৫০ ফুট দীর্ঘ কালভার্ট নির্মাণ করলে স্থায়ী সমাধান সম্ভব।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রহমান বলেন,এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়েছি। জনভোগান্তি রোধে আমাদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা পরিষদ দপ্তরের বরাবর বরাদ্দের আবেদন করেছি বরাদ্দ আসলেই শীঘ্রই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।






