০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লার তিতাসে গ্রাম গাঁজাসহ বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার কুমিল্লায় কাভার্ডভ্যানের পেছনে ট্রাকের ধাক্কা, ব্যবসায়ী নিহত কুমিল্লায় জমি নিয়ে বিরোধে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ১ মিথ্যা সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবদল সভাপতির সংবাদ সম্মেলন এবার দুর্ঘটনার কবলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাল বাস, শিক্ষার্থীসহ আহত ৪ কুমিল্লায় ইউটার্নে ৪ জন নিহত: উল্টো পথে আসা হানিফ পরিবহনের সেই বাস জব্দ মুরাদনগরে সিএনজি- ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে ১ জন নিহত মালদ্বীপে প্রবাসীকে জিম্মি, অর্থ দাবির অভিযোগে দুইজন বাংলাদেশী আটক কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জায়গা দখল ও হুমকির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন ব্রাহ্মণপাড়ায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সমাবেশ

আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি কুবির জিমনেসিয়ামের

  • তারিখ : ০৮:৫২:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • 12

ফয়সাল মিয়া, কুবি।।
শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের যথাযথ বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত খেলাধুলা ও ব্যায়ামের প্রয়োজন। এক্ষেত্রে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ ও জিমনেসিয়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে আছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়াম। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও জিমনেসিয়ামটিতে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি ) সরেজমিনে দেখা যায়, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ ছিল এই জিমনেসিয়াম। বেশীরভাগ যন্ত্রপাতিই নষ্ট এবং ব্যবহারের অনুপযোগী। স্থানীয়রা ব্যায়াম করতে এসে যন্ত্রপাতি নষ্ট করে ফেলে এবং চুরি করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বেশীরভাগ যন্ত্রপাতি তালাবদ্ধ এবং কোনো গার্ড না থাকায় তা ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী রাজিব সরকার জানান,” সুস্থ থাকার জন্য আমাদের সবার সপ্তাহে অন্তত ৩/৪ দিন ব্যায়াম করা উচিৎ। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জিম সেন্টার বেশির ভাগ সময় বন্ধ থাকে। মাঝেমধ্যে যদিও কয়েক ঘন্টার জন্য খোলা থাকে তাও এতে যা সরঞ্জাম আছে বেশির ভাগ নষ্ট অথবা অকেজো। যাতে ব্যায়াম করলে দুর্ঘটনা গঠতে পারে। জিম সেন্টারে যে লোকের দায়িত্বে উনি ওনার দায়িত্ব ঠিক মতো পালন করেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক মনিরুল আলম জানান, জিমনেসিয়াম দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ ছিল। এখন নিয়মিত খুলে দেওয়া হয়। ফ্রি স্পেস হওয়ার কারণে রুমের বাহিরে থাকা যন্ত্রপাতি নিয়ন্ত্রণ নেই। যার কারণে যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ক্রীড়া কমপ্লেক্স দ্বিতীয় তলায় স্থানান্তর করা হলে নতুন যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হবে।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়ামটি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দখল করে নেয় এবং দীর্ঘদিন এটি তাদের পার্টি অফিস হিসেবে ব্যবহার করে। পরবর্তীতে জিমনেসিয়ামটি স্থানান্তর করে কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার দ্বিতীয় তলায় নিয়ে আসা হয়।

আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি কুবির জিমনেসিয়ামের

তারিখ : ০৮:৫২:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

ফয়সাল মিয়া, কুবি।।
শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের যথাযথ বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত খেলাধুলা ও ব্যায়ামের প্রয়োজন। এক্ষেত্রে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ ও জিমনেসিয়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে আছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়াম। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও জিমনেসিয়ামটিতে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি ) সরেজমিনে দেখা যায়, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ ছিল এই জিমনেসিয়াম। বেশীরভাগ যন্ত্রপাতিই নষ্ট এবং ব্যবহারের অনুপযোগী। স্থানীয়রা ব্যায়াম করতে এসে যন্ত্রপাতি নষ্ট করে ফেলে এবং চুরি করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বেশীরভাগ যন্ত্রপাতি তালাবদ্ধ এবং কোনো গার্ড না থাকায় তা ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী রাজিব সরকার জানান,” সুস্থ থাকার জন্য আমাদের সবার সপ্তাহে অন্তত ৩/৪ দিন ব্যায়াম করা উচিৎ। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জিম সেন্টার বেশির ভাগ সময় বন্ধ থাকে। মাঝেমধ্যে যদিও কয়েক ঘন্টার জন্য খোলা থাকে তাও এতে যা সরঞ্জাম আছে বেশির ভাগ নষ্ট অথবা অকেজো। যাতে ব্যায়াম করলে দুর্ঘটনা গঠতে পারে। জিম সেন্টারে যে লোকের দায়িত্বে উনি ওনার দায়িত্ব ঠিক মতো পালন করেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক মনিরুল আলম জানান, জিমনেসিয়াম দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ ছিল। এখন নিয়মিত খুলে দেওয়া হয়। ফ্রি স্পেস হওয়ার কারণে রুমের বাহিরে থাকা যন্ত্রপাতি নিয়ন্ত্রণ নেই। যার কারণে যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ক্রীড়া কমপ্লেক্স দ্বিতীয় তলায় স্থানান্তর করা হলে নতুন যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হবে।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়ামটি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দখল করে নেয় এবং দীর্ঘদিন এটি তাদের পার্টি অফিস হিসেবে ব্যবহার করে। পরবর্তীতে জিমনেসিয়ামটি স্থানান্তর করে কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার দ্বিতীয় তলায় নিয়ে আসা হয়।