স্টাফ রিপোর্টার।।
বিদেশে পাড়ি জমিয়ে পরিবারের দুঃখ দূর করার স্বপ্ন ছিল নুর মোহাম্মদ আকাশের। কিন্তু সেই স্বপ্ন ছাই হয়ে গেছে আগুনে। মৃত্যুর ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও সৌদি আরবে অগ্নিকাণ্ডে নিহত আকাশের মরদেহ এখনো দেশে ফেরত আনতে পারেনি পরিবার।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার আন্দিকোট ইউনিয়নের সোনারামপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে নুর মোহাম্মদ আকাশ ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে পাড়ি জমান সৌদি আরবে। সেখানে জিয়াদ এলাকার একটি পেট্রল পাম্পে চাকরি করতেন তিনি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ঐ পাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে মারা যান আকাশ।
দুর্ঘটনার দীর্ঘ ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও মরদেহ দেশে আনা সম্ভব হয়নি। পরিবার জানায়, আকাশের লাশ সৌদি আরবের জিয়াদ এলাকার একটি হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
আকাশের মা সাহিদা বেগম ছেলের ছবি ও কাপড়চোপড় আঁকড়ে ধরে বিলাপ করছেন প্রতিদিন। কান্নায় ভারী হয়ে ওঠেছে সোনারামপুরের আকাশ।
মা বলেন, “আমার আকাশ আমার কষ্ট দূর করতে বিদেশ গেছিল। আমার কলিজা আমারে রাইখা চইলা গেছে। আপনারা আমার কলিজার লাশটা আইনা দেন, আমি তারে বুকে জড়াইয়া ধইরা মাটি দিমু, শান্তি পাইমু।”
আকাশের বাবা রফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, “৯ মাস আগে আমার ছেলেটা বিদেশ গেছে। ৩ মাসের মধ্যে সে আগুনে পইড়া মারা গেছে। ৬ মাস হইল, লাশটা আনতে পারি নাই। সরকারের কাছে আমার আকুল আবেদন, আমার ছেলের লাশটা দেশে আনার ব্যবস্থা করেন।”
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুর রহমান বলেন, “ঘটনাটি আমাকে আগে জানানো হয়নি। আজকে প্রথম জানলাম। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত আবেদন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”