০৫:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ছেলে রুটি খুব পছন্দ করতো, ছেলে নেই; এক বছর বাসায় রুটি বানাইনি -শহীদ হামিদুরের মা কুমিল্লা থেকে অপহরণ, মুক্তিপণ না পেয়ে কক্সবাজারে নিয়ে হত্যা: তিন জন গ্রেপ্তার বিকেলে চাঁদাবাজি নিয়ে লাইভ, রাতে প্রকাশ্যে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা ছয় মাসেও দেশে ফিরল না কুমিল্লার প্রবাসী আকাশের মরদেহ বুড়িচংয়ে খাল দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের অভিযান শুরু: জনগণের সহযোগিতা চাইলেন ইউএনও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পঙ্কজ বড়ুয়াকে কুমিল্লা প্রেসক্লাবে বিদায়ী সংবর্ধনা শাহরাস্তিতে ব্যারিস্টার কামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিজয় র‍্যালি ব্রাহ্মণপাড়ায় এক মাদকসেবীর কারাদণ্ড ও জরিমানা ব্রাহ্মণপাড়ায় ড্রেজার দিয়ে জলাধার ভরাট, অর্ধলাখ টাকা জরিমানা বাইউস্টে “রিসার্চ এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৫” আয়োজিত

কুমিল্লা থেকে অপহরণ, মুক্তিপণ না পেয়ে কক্সবাজারে নিয়ে হত্যা: তিন জন গ্রেপ্তার

  • তারিখ : ১১:৩৫:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫
  • 900

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লা থেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ না পাওয়ায় সজিব হোসেন (২৫) নামে এক যুবককে হত্যার পর সমুদ্রে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিখোঁজের ছয়দিন পর কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী সমুদ্র সৈকত থেকে বুধবার (৬ আগস্ট) তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত সজিব হোসেন কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ভাউকসার এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১ আগস্ট সজিব চিকিৎসার উদ্দেশ্যে কুমিল্লা শহরে যান। সেদিন থেকেই তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং পরিবারের লোকজন তার আর কোনো খোঁজ পাননি। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।

এরপর অজ্ঞাত এক নম্বর থেকে সজিবের বাবার মোবাইলে ফোন করে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। তবে পরিবার অর্থ দিতে অস্বীকৃতি জানালে অপহরণকারীরা তাকে হত্যা করে মরদেহ কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে ফেলে দেয়।

৬ আগস্ট বিকেলে ইনানী সমুদ্র সৈকতের পাশে এক অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। পরে মরদেহটির পরিচয় নিশ্চিত করা হয় নিখোঁজ সজিব হোসেন হিসেবে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম জানান, “মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে সজিবকে অপহরণ করা হয়েছিল। টাকা না পাওয়ায় তাকে হত্যা করে মরদেহ সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই তাদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।

এ ঘটনায় এলাকায় চরম শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দ্রুত বিচার ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।

কুমিল্লা থেকে অপহরণ, মুক্তিপণ না পেয়ে কক্সবাজারে নিয়ে হত্যা: তিন জন গ্রেপ্তার

তারিখ : ১১:৩৫:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লা থেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ না পাওয়ায় সজিব হোসেন (২৫) নামে এক যুবককে হত্যার পর সমুদ্রে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিখোঁজের ছয়দিন পর কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী সমুদ্র সৈকত থেকে বুধবার (৬ আগস্ট) তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত সজিব হোসেন কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ভাউকসার এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১ আগস্ট সজিব চিকিৎসার উদ্দেশ্যে কুমিল্লা শহরে যান। সেদিন থেকেই তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং পরিবারের লোকজন তার আর কোনো খোঁজ পাননি। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।

এরপর অজ্ঞাত এক নম্বর থেকে সজিবের বাবার মোবাইলে ফোন করে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। তবে পরিবার অর্থ দিতে অস্বীকৃতি জানালে অপহরণকারীরা তাকে হত্যা করে মরদেহ কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে ফেলে দেয়।

৬ আগস্ট বিকেলে ইনানী সমুদ্র সৈকতের পাশে এক অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। পরে মরদেহটির পরিচয় নিশ্চিত করা হয় নিখোঁজ সজিব হোসেন হিসেবে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম জানান, “মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে সজিবকে অপহরণ করা হয়েছিল। টাকা না পাওয়ায় তাকে হত্যা করে মরদেহ সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই তাদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।

এ ঘটনায় এলাকায় চরম শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দ্রুত বিচার ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।