কুমিল্লা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ পিপিএম(বার) এর নির্দেশনায় দাউকান্দি সার্কেল এএসপি মোঃ জুয়েল রানা দাউদকান্দির গোমতী নদীকে ১ সপ্তাহের মধ্যে চাদাবাজী মুক্ত করে নিরাপদ নৌপথ সৃষ্টি করার ঘোষনা দিয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে কুমিল্লার দাউদকানন্দি উপজেলার গোমতী নদীতে বালু বোঝাই ব্লাকহেড থেকে জাহাজ প্রতি ২০০ থেকে ৫০০ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়।
নদীপথে চলাচলের সময় মাঝনদীতে পথরোধ করে ভয় ভীতি দেখিয়ে এই চাদার টাকা তুলতো একটি সিন্ডিকেট। গজারিয়ার চরচাষী থেকে দাউদকান্দির নুরপুর, গৌরিপুর হয়ে তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি পর্যন্ত চাদাবাজির এই ক্ষেত্র বিস্তৃত।
চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে রোববার দুপুর ১ টায় দাউদকান্দি উপজেলা ও গজারিয়া উপজেলা ভলগেট জাহাজ মালিক সমিতি সংগঠনের নেতা ও সদস্যরা গোমতী ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছে। এসব চাদাবাজীর সাথে তিতাসের জিয়ারকান্দি, গজারিয়ার চরচাষী ও দাউদকান্দির বিভিন্ন শ্রেনীর লোকজন জড়িত বলে ধর্মঘটে আসা শ্রমিক-মালিক পক্ষ অভিযোগ করে।
সমাবেশে দাউদকান্দি সার্কেলে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ জুয়েল রানা এসে চাঁদাবাজী বন্ধে জাহাজ মালিকদের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করেন এবং আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নিরাপদ নৌপথ প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে ঘোষনা দেন।
এসময় চাদাবাজদের বিরুদ্ধে পুলিশের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি, নদীপথে পুলিশের নিয়মিত অভিযান চলার ঘোষনা দেন। সেই সাথে মালিক শ্রমিকদেরও চাদাবাজী বন্ধে করনীয় সম্পর্কে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দেন।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page