
রুবেল মজুমদার।।
সকিনা বেগম ।বয়স ৬০ ছুই ছুই।২০ বছর পূর্বে তার স্বামী মারা যান। পরাবারিক ঝামেলা কারণে শশুড় বাড়িতে ঠাই হয়নি তার। তাই দুই কন্যা শিশুকে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসেন। কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার উত্তর খোশবাস ইউনিয়নের দেওয়াননগর পূর্বপাড়ার মৃত হিরন মিয়া স্ত্রী মেয়ে তিনি। দুই মেয়েকে বিয়ে দেন সকিনা বেগম। মেয়ের ঘরের দুই নাতিনকে সঙ্গে নিয়ে এখন বসবাস করেন সকিনা বেগম।
বাপের ছিল দুই পরিবার। বাবা ছোট স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন। তাই ঠাই হয় নিজ বাপের বসত ভিটাতেও।সকিনা বেগমের ঠাই যেন নেই কোথায়ও। পরে বাপের বাড়ির পাঁশে সরকারি খালের পাড়ে কোন রকমে একটি ঘর নির্মান করেন তিনি ।দুই মেয়েকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন ভালোভাবে।কিন্তু গত মাসে বৃষ্টিতে তার ঘরটি ভেঙ্গে যায়।পরে অস্থায়ীভাবে এক প্রতিবেশী বাড়ি সকিনা ও তার দুই নাতির স্থান হয় । এ খবর শুনে কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগ নেতা কবির হোসেন মিঠুন নিজ উদ্যোগে ঘর নির্মাণ করে দেন।
শুক্রবার(৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে দশটায় উপজেলার উত্তর খোশবাসের দেওয়াননগর পূর্বপাড়ায় সকিনা বেগমের ঘরটি উদ্বোধন করেন স্থানীয় এলাকাবাসী ।স্থানীয় জানায় ,তার আগের ঘরের অবস্থা খুবই করুন।সামান্য বৃষ্টিতে ঘরের ভিতর পানি পড়ে। নাতনীদের নিয়ে অনেক কষ্টে জীবনযাপন করতেন।
নতুন ঘর পেয়ে সকিনা বেগম বলেন, ছোট ছোট দুই নাতি নিয়ে এত দিন রাস্তা পাশে কেনো রকম জীবন কাটছি।বাবা রে কেউ সহযোগিতা করেনি।মিঠুন মিয়া শিক্ষিত ছেলে তার কাছে সহযোগিতা চেয়ছিলাম।কয়েকদিন আগে সে ও তার বন্ধুরা মিলে আমার নতুন ঘর করে দে। বার বার স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানের কাছে একটা ঘর নির্মাণের জন্য ঘুরলেও কেউ আমাকে ঘর করে দেয়নি।
কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগ নেতা মিঠুন বলেন, প্রতিদিন দেখা হলে সখিনা আপা বলতো ঘরটা মেরামতের জন্য সহযোগীতা করতে।পরে আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সাথে কথা বলে কোনো সহযোগিতা না পেয়ে নিজে সিন্ধান্ত গ্রহন করলাম ঘরটা ট নির্মাণ করবো,পরে এলাকার প্রবাসী,চাকুরীজীবি, বৃত্তবানসহ নিজের কিছু আর্থিক সহযোগীতায় ৬০ হাজার টাকা খরচ করে তাকে দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি টিনের ঘর নির্মান করে দি ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,ব্যাংক কর্মকর্তা নাছির হোসেন,স্কুল শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিন, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা মোঃ মিঠুন আহম্মেদ,মাসুদ রানা,রনি আহম্মেদ, মোতালেব হোসেন, সাকিল হোসেন,আবুল বাঁশার,জিয়াদ হোসন।মিলাদ পরিচালনা করেন মাওলানা কাজি মোঃ আনোয়ার হোসেন।