মোঃ জহিরুল হক বাবু।।
চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নে পাহাড় কাটা বন্ধে এবং পরিবেশ রক্ষায় হাইকোর্টে রীট দায়ের করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূইয়া। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) তিনি উচ্চ আদালতে এই রীট দায়ের করেন।
রীটের বিবাদী করা হয় পরিবেশ ও বন মন্ত্রনালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকার ডাইরেক্টর জেনারেল, ঢাকার আগারগাঁওয়ের এনফোরসমেন্ট এর পরিচালক, চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বাঁশখালী উপজেলার ১০ নং চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মজিবুল হক চৌধূরী।
রীটে বলা হয় চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নে শত শত একর পাহাড়ী ভূমি বেটে অবৈধভাবে দখল করে বিক্রি করছে প্রভাবশালী একটি মহল।
রীটে চট্টগ্রামের বহুল প্রাচরিত দৈনিক আজাদী এবং দৈনিক পূর্বাদেশে প্রাকাশি এবং গত ২০ আগস্ট তারিখে স্থানীয় ভাবে ধারনকৃত কিছু ছবি যুক্ত করায় এবং তথ্য প্রমানের মাধ্যমে এই রীটটি দায়ের করেছেন। গত বছরের ১২ অক্টোবর দৈনিক আজাদী, দৈনিক পূর্বাদেশ এবং স্থানীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের ১৫/১০/২০২০ ইং তারিখে কারণ দর্শানোর নোটিশে ১০ নং বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মজিদুল হক চৌধূরীর বিরুদ্ধে কোটি মাটি বিক্রি করার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তারপরও অবৈধ পাহাড় কাটা অব্যাহত রয়েছে এবং সেখানে অবস্থিত চুনতি বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য রক্ষা ও জনস্বার্থে এই রীট দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট এখলাছ উদ্দিন ভূইয়া।
রীটে আরো বলা হয় পরিবেশ সংরক্ষন আইন ১৯৯৮ (সংশোধনী-২০০২ এবং ২০১০) এবং সংবিধানের ১৮এ মোতাবেক চট্টগ্রাম জেলার চাম্বল ইউনিয়নের জঙ্গল চাম্বল মৌজার ২নং খতিয়ানের দাগ নং ৬৬৭, ৭৯, ১২২, ১৫২, ৭০, এফ-৫৬৭ দাগের অবস্থিত পাহাড় এবং বন সংরক্ষণে জনস্বার্থে দায়েরকরা রীটটি উচ্চ আদালতে দ্রæত শুনানী হবে বলে রীটে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূইয়া জানান, জনস্বার্থে পরিবেশ রক্ষায় রীটটি দায়ের করা হয়েছে। আশাকরি বিজ্ঞ আদালত রীটের দ্রুত শুনানি হবে।
