০৬:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বাঙ্গরা উমালোচন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে অভিভাবক সমাবেশ কুমিল্লা নগরীর কাঁটাবিলে জোরপূর্বক প্রবাসীর জমি দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন কুমিল্লার উন্নয়ন ও প্রতিশ্রুতি নিয়ে সদর আসনের প্রার্থী রিয়াদের সংবাদ সম্মেলন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ডোবার পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু কুমিল্লায় ভেজাল জুস ও যৌন উত্তেজক পণ্য কারখানায় অভিযান, দুইজনের কারাদণ্ড কুমিল্লা লাকসাম (মুদাফ্ফরগঞ্জ) ইসলামী ফ্রন্টের সাংগঠনিক উপজেলা কমিটি গঠিত কুমিল্লায় জুলাই মাসে ১১টি হত্যা, ধর্ষণের মামলার ৮টি কুমিল্লায় ৩৩ বছরের ইমামত শেষে রাজকীয় বিদায়; কাঁদলেন এলাকাবাসী সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় মানববন্ধন সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে কুমিল্লার মুরাদনগরে মানববন্ধন

অসুস্থ হাফেজ রাশেদের পাশে মিথলমা সমাজ কল্যান ট্রাস্ট

  • তারিখ : ০৭:০৬:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ মার্চ ২০২১
  • 707

মো. জাকির হোসেন।।
পরিবারের বড় সন্তান মোঃ হাফেজ রাশেদুল ইসলাম। কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের মাওলানা রুহুল আমিনের ছেলে। রুহুল আমিনের পাঁচ সন্তানের মধ্যে রাশেদ চতুর্থ। গত তিন বছর ধরে কিডনী রোগে আক্রান্ত। পেশায় মাওলানা রুহুল আমিন মসজিদের ইমাম। বাবার আয়ে ছেলের চিকিৎসা খরচ বহন করা সম্ভবপর হয়ে উঠে নি। রাশেদের চিকিৎসার জন্য ২০ লাখ টাকার প্রয়োজন।

এলাকাবাসী ও অন্যান্যদের সহযোগিতায় ১৬ লাখ টাকা যোগাড় হয়। তবে আর মাত্র চার লাখ টাকার জন্য রাশেদের চিকিৎসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। বাবা রুহুল আমিনের কপালে চিন্তার ভাঁজ প্রসারিত হয়। কি করবেন। কোন কূল কিনারা পাচ্ছিলেন না। ভারতে চিকিৎসাধীন ছেলেকে হয়তো দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।

এমন মানবিক খবরে এগিয়ে এলো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মিথলমা সমাজ কল্যান ট্রাস্ট। সংগঠনের সদস্যরা সোচ্চার হলেন। অসুস্থ হাফেজ রাশেদের চিকিৎসার জন্য তার বাবা মাওলানা রুহুল আমিনের হাতে তুলে দিলেন ২ লাখ ৪ হাজার ৫শ টাকা। ছেলের চিকিৎসার টাকা হাতে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে যান মাওলানা রুহুল আমিন।

নিজের অনুভুতির কথা বলতে গিয়ে রুহুল আমিন বলেন, মসজিদে ইমামতি করে যে টাকা পাই তা দিয়ে সংসারের খরচ চালাতেই কষ্ট হয়। তার উপর ছেলের চিকিৎসার জন্য এত খরচ কিভাবে জোগাড় করবো। মানুষ আমাকে সহযোগিতা করছে। বিশেষ করে মিথলমা সমাজ কল্যান ট্রাস্ট আমার ছেলের জন্য আর্থিক সহযোগিতা করলো। এখন চিকিৎসার জন্য আর ভাবতে হবে না। আমার ছেলে এখন ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আপনারা সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন। আমি সবার জন্য দোয়া করি। বিশেষ করে মিথলমা সমাজ কল্যান ট্রাস্টের প্রতিটি সদস্যদের জন্য। যারা আমার দূঃসময়ে এগিয়ে এসেছে। আল্লাহ তাদের সবাইকে ভালো রাখুক, অসহায় মানুষের পাশে আরো বেশী এগিয়ে যাওয়ার তৌফিক দান করুক।

মিথলমা সমাজ কল্যান ট্রাস্টের সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম মাস্টার বলেন, হাফেজ রাশেদুলের চিকিৎসার জন্য তার বাবার হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দিয়েছি। খুব ভালো লাগছে। আসলে অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর সংকল্প নিয়েই মিথলমা সমাজ কল্যান ট্রাস্টের পথ চলা শুরু। তারই ধারাবাহিকতায় আজ হাফেজ রাশেদের পাশে মিথলমা সমাজ কল্যান ট্রাস্ট।

মিথলমা সমাজ কল্যান ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক মাহাদি মোহাম্মদ মাহিদ বলেন, অসুস্থ হাফেজ রাশেদের চিকিৎসার জন্য তার পাশে দাড়িয়েছি। আমি বিশ^াস করি হাফেজ রাশেদ সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবে। ট্রাস্টের উপদেষ্টাসহ যারা রাশেদের পাশে এসে দাড়িয়েছেন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মাহাদি মোহাম্মদ মাহিদ আরো বলেন, অতিতেও অসহায় মানুষের পাশে ছিলো মিথলমা সমাজ কল্যান ট্রাস্ট, ভবিষ্যতেও থাকবে।

সোমবার বিকেলে মিথলমা গ্রামে অসুস্থ হাফেজ রাশেদের চিকিৎসার অর্থ হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবক হাজী মোসলেহ উদ্দিন, দৈনিক ব্রাহ্মনপাড়া-বুড়িচং সংবাদের সম্পাদক ও প্রকাশক সৈয়দ আহমেদ লাভলু, হাজী মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, হাজী মোঃ আবুল হাশেম, নবী নেওয়াজ মাষ্টার, আবুল হাশেম, আলী আশ্রাফ, মিথলমা সমাজ কল্যান ট্রাস্টের কোষাধ্যক্ষ মোঃ নজরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ জাকির হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির বিন আশরাফসহ এলাকার অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

অসুস্থ হাফেজ রাশেদের পাশে মিথলমা সমাজ কল্যান ট্রাস্ট

তারিখ : ০৭:০৬:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ মার্চ ২০২১

মো. জাকির হোসেন।।
পরিবারের বড় সন্তান মোঃ হাফেজ রাশেদুল ইসলাম। কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের মাওলানা রুহুল আমিনের ছেলে। রুহুল আমিনের পাঁচ সন্তানের মধ্যে রাশেদ চতুর্থ। গত তিন বছর ধরে কিডনী রোগে আক্রান্ত। পেশায় মাওলানা রুহুল আমিন মসজিদের ইমাম। বাবার আয়ে ছেলের চিকিৎসা খরচ বহন করা সম্ভবপর হয়ে উঠে নি। রাশেদের চিকিৎসার জন্য ২০ লাখ টাকার প্রয়োজন।

এলাকাবাসী ও অন্যান্যদের সহযোগিতায় ১৬ লাখ টাকা যোগাড় হয়। তবে আর মাত্র চার লাখ টাকার জন্য রাশেদের চিকিৎসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। বাবা রুহুল আমিনের কপালে চিন্তার ভাঁজ প্রসারিত হয়। কি করবেন। কোন কূল কিনারা পাচ্ছিলেন না। ভারতে চিকিৎসাধীন ছেলেকে হয়তো দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।

এমন মানবিক খবরে এগিয়ে এলো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মিথলমা সমাজ কল্যান ট্রাস্ট। সংগঠনের সদস্যরা সোচ্চার হলেন। অসুস্থ হাফেজ রাশেদের চিকিৎসার জন্য তার বাবা মাওলানা রুহুল আমিনের হাতে তুলে দিলেন ২ লাখ ৪ হাজার ৫শ টাকা। ছেলের চিকিৎসার টাকা হাতে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে যান মাওলানা রুহুল আমিন।

নিজের অনুভুতির কথা বলতে গিয়ে রুহুল আমিন বলেন, মসজিদে ইমামতি করে যে টাকা পাই তা দিয়ে সংসারের খরচ চালাতেই কষ্ট হয়। তার উপর ছেলের চিকিৎসার জন্য এত খরচ কিভাবে জোগাড় করবো। মানুষ আমাকে সহযোগিতা করছে। বিশেষ করে মিথলমা সমাজ কল্যান ট্রাস্ট আমার ছেলের জন্য আর্থিক সহযোগিতা করলো। এখন চিকিৎসার জন্য আর ভাবতে হবে না। আমার ছেলে এখন ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আপনারা সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন। আমি সবার জন্য দোয়া করি। বিশেষ করে মিথলমা সমাজ কল্যান ট্রাস্টের প্রতিটি সদস্যদের জন্য। যারা আমার দূঃসময়ে এগিয়ে এসেছে। আল্লাহ তাদের সবাইকে ভালো রাখুক, অসহায় মানুষের পাশে আরো বেশী এগিয়ে যাওয়ার তৌফিক দান করুক।

মিথলমা সমাজ কল্যান ট্রাস্টের সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম মাস্টার বলেন, হাফেজ রাশেদুলের চিকিৎসার জন্য তার বাবার হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দিয়েছি। খুব ভালো লাগছে। আসলে অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর সংকল্প নিয়েই মিথলমা সমাজ কল্যান ট্রাস্টের পথ চলা শুরু। তারই ধারাবাহিকতায় আজ হাফেজ রাশেদের পাশে মিথলমা সমাজ কল্যান ট্রাস্ট।

মিথলমা সমাজ কল্যান ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক মাহাদি মোহাম্মদ মাহিদ বলেন, অসুস্থ হাফেজ রাশেদের চিকিৎসার জন্য তার পাশে দাড়িয়েছি। আমি বিশ^াস করি হাফেজ রাশেদ সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবে। ট্রাস্টের উপদেষ্টাসহ যারা রাশেদের পাশে এসে দাড়িয়েছেন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মাহাদি মোহাম্মদ মাহিদ আরো বলেন, অতিতেও অসহায় মানুষের পাশে ছিলো মিথলমা সমাজ কল্যান ট্রাস্ট, ভবিষ্যতেও থাকবে।

সোমবার বিকেলে মিথলমা গ্রামে অসুস্থ হাফেজ রাশেদের চিকিৎসার অর্থ হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবক হাজী মোসলেহ উদ্দিন, দৈনিক ব্রাহ্মনপাড়া-বুড়িচং সংবাদের সম্পাদক ও প্রকাশক সৈয়দ আহমেদ লাভলু, হাজী মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, হাজী মোঃ আবুল হাশেম, নবী নেওয়াজ মাষ্টার, আবুল হাশেম, আলী আশ্রাফ, মিথলমা সমাজ কল্যান ট্রাস্টের কোষাধ্যক্ষ মোঃ নজরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ জাকির হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির বিন আশরাফসহ এলাকার অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।