কুবি প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের স্বেচ্ছাচারিতা, প্রশাসনিক অসদাচরণ, ব্যক্তিতান্ত্রিকতা এবং শিক্ষকদের প্রতি অন্যায্য আচরণের অভিযোগ এনে সহকারী প্রক্টর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুল হাসান।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী বরাবর এই পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ পত্রে তিনি বলেন, আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের স্বেচ্ছাচারিতা, প্রশাসনিক অসদাচরণ, ব্যক্তিতান্ত্রিকতা এবং শিক্ষকদের প্রতি অন্যায্য আচরণের প্রতিবাদে আমি মাহমুদুল হাসান সহকারী প্রক্টর পদ থেকে পদত্যাগ করছি। সহকারী প্রক্টর এর কাজ হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে প্রক্টরকে সহায়তা করা। কিন্তু যেখানে স্বয়ং প্রক্টরই বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিবেশ ও শৃঙ্খলার যবনিকাপাত করছেন, সেখানে সহকারী প্রক্টর পদে বহাল থাকা শিক্ষক হিসেবে আমার যে নৈতিকতা ও আদর্শ রয়েছে তার পরিপন্থী। এ কারণে আমি এই সহকারী প্রক্টর পদ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি দিচ্ছি। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়ন ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কল্যাণে নিরলস কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার করছি। অতএব, উপর্যুক্ত প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।
অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, উনার বক্তব্য উনি দিতেই পারেন। এখানে আমার বলার কিছু নেই। উনি যদি অস্পষ্ট ভাবে না বলে স্পষ্টভাবে বলতেন তাহলে ভালো হতো। অস্পষ্ট ভাবে যে কেউ বলতে পারেন।
পদত্যাগের বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘কারও কোনো কিছু জানতে হলে গণহারে উল্লেখ না করে স্পেসিফিকভাবে আমাকে জানাতে হবে। ‘
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা এবং ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন মজুমদার এবং গত ৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মসহ আট কারণ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ভুঁইয়া।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page