নেকবর হোসেন।।
নতুন পাকা দেয়ালে রং করা হয়েছে। চালায় রঙিন টিন। ঘরের বাইরে টিউওয়েল আর রয়েছে বিদ্যুৎ খুটি। আজ মঙ্গলবার এই নতুন ঘর ঈদ উপহার হিসেবে পাচ্ছেন এমন ৪৬৬ পরিবার। সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান এ কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক তৃতীয় পর্যায়ে ১১৬৮ বরাদ্দ হয়। যার মধ্যে ৪৬৬ টি ঘর প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭০২ ঘর বাস্তবায়নাধীন। সরকারের এই প্রকল্পে জনপ্রতিনিধি, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গের অর্থায়নে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য ১৩৫ টি ঘর দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেযা হয। যার মধ্যে নির্মিত হয় ২৯ টি ঘর। এছাড়াও বাংলাদেশ এডমিনিস্ট্রেশন সার্ভিস এসোসিয়েশন কুমিল্লা জেলা শাখা কর্তৃক নির্মিত হয় ৫ টি ঘর।
তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় ১৫ টি ঘর, সদর দক্ষিনে ২০ টি, চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ১৫ টি, নাঙ্গলকোটে ৩২ টি, লাকসামে ৩৮ টি, মনোহরগঞ্জে ১৬ টি, লালমাই ১০ টি, বরুড়ায় ২৭ টি, চান্দিনায় ৩২ টি, দাউদকান্দি উপজেলায় ৭৮ টি, মেঘনায় ২২ টি, তিতাসে ২২ টি, হোমনায় ২৪ টি, মুনাদনগরে ৫০ টি দেবিদ্বারে ৩০ টি, ব্রাহ্মনপাড়ায় ৫ টি।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি তৃতীয় ধাপের প্রথম পর্যায়ে যে ঘরগুলো হস্তান্তর করবেন। এই ঘরগুলো ঈদ উপহার। মঙ্গলবার ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আমি চান্দিনা থেকে সংযুক্ত হবো। মঙ্গলবার যে ঘরগুলো হস্তান্তর করা হবে সেগুলো আগের চেয়ে আরো অনেক বেশী মজবুত করে তৈরী করা হয়েছে। আগে যেসব ঘরে ত্রুটি ছিলো সেগুলো সংস্কার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার কুমিল্লার উপপরিচালক শওকত উসমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( রাজস্ব) শাখাওয়াত হোসেন রুবেল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) মোঃ কাবিরুল ইসলাম খান , আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া আফরিন ও সিনিয়র সহকারি কমিশনার কানিজ ফাতেমাসহ অন্যান্যরা।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page