মোঃ জহিরুল হক বাবু।।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ফরিজপুর এলাকা থেকে ৫ বছরের শিশুকে অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগে ঢাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় অপহরনকারীদেন কাছ থেকে অক্ষত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন।
তিনি জানান, গত ১৫ জুলাই বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের ফরিজপুর গ্রামের কাজী শাহাজাহানের ছেলে কাজী আমির হামজাকে তাদের বাড়ির সামনে থেকে খেলাধুলার করার সময় অপহরণ করে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা।
সারাদিন খোঁজাখুঁজি করার পর শিশু আমির হামজার মা নাছিমা আক্তার বুড়িচং থানাতে একটি অভিযোগ করেন। ওই দিন বিকেলে স্থানীয় হোটেলের মালিক খোকন মিয়া নাছিমা আক্তারকে জানান তার শিশু ছেলেকে এক অজ্ঞাত লোক অপহরণ করে নিয়ে গেছে। পরের দিন আবার ওই অজ্ঞাত ব্যক্তি খোকন মিয়াকে একটি ফোন নাম্বারে কল করে বলেন, শিশুর পরিবারকে যেন জানিয়ে দেয় অপহরণের বিষয়টি।
তখন নাছিমা আক্তারের নিকট মোবাইল নাম্বারটি দিলে তিনি অজ্ঞাত ব্যক্তির সাথে কথা বলেন। পরে তার কাছে এক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। তখন অপহরণকারী মোবাইল নাম্বারে নগদ একাউন্টে ৩ বারে সর্বমোট ৩ হাজার ৫০০ টাকা প্রেরণ করে।
এ বিষয়টি বুড়িচং থানার ওসিকে অবগত করলে উক্ত বিষয়ে তদন্তের জন্য এসআই রাজীব চৌধুরীকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশের একটি টিমসহ শিশুটির মাকে নিয়ে মঙ্গলবার ভোর রাতে ঢাকা গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে অপহরণকারী ব্যক্তি মোঃ মামুন মন্ডল(২১) কে আটক করে। তার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানার চর্মচন্দ্র ইউনিয়নের গফরগাঁও গ্রামের শাহবুদ্দিনের ছেলে।
আটককৃত আসামীর প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সভার পুরাতন ব্রীজের পূর্ব পাশে বাস ষ্ট্যান্ডের ইউনাইটেড আবাসিক হোটেলের পঞ্চম তলার ৫নং কক্ষ থেকে শিশু কাজী আমির হামজাকে উদ্ধার করে। তখন অপর আরেক আসামী মোঃ সোহেলকে আটক করে।
আটককৃতের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার নগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের আইজাইল গ্রামের রহিম মন্ডলের ছেলে।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, উক্ত ঘটনার বিষয়ে আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সহযোগী দুই জনসহ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে উক্ত শিশু অপহরণ করে উক্ত আবাসিকহোটেলে অবস্থান করেন পরে মুক্তিপণ দাবি করে মর্মে স্বীকার করেন।
অপহরণের শিশুটি উদ্ধার কাজে সার্বিক সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ কামরান হোসেন।
এ বিষয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে অপহরণকারী দুই ব্যক্তিকে আসামিকে করে কুমিল্লা কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page