০৫:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা–৬ আসনে টানা কর্মসূচির দশম দিনে হাজী ইয়াছিনের পক্ষে গণস্বাক্ষর অভিযান তিন মাস পর বাসায় ফিরেছে মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির কুমিল্লার যমজ দুইবোন জামায়াত ক্ষমতায় গেলে ঘুষ জাদুঘরে পাঠানো হবে- কুমিল্লায় সরওয়ার ছিদ্দিকী চৌদ্দগ্রামে কামরুল হুদার পক্ষে ঘোলপাশা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের লিফলেট বিতরণ ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগেই নির্বাচন, কোনো শক্তিই ঠেকাতে পারবে না: কুমিল্লায় প্রেস সচিব কুমিল্লায় হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তার আহত প্রবাসী সেলিমের দেশে ফেরার টিকিট দিলেন মালদ্বীপে বাংলাদেশ হাইকমিশনার মুরাদনগরে পতিতাবৃত্তি ও মানবপাচার ব্যবসার অভিযোগে ৬ জন গ্রেপ্তার কুমিল্লায় রেলস্টেশনে টাস্কফোর্স অভিযানে ৩ কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ চৌদ্দগ্রামে চিওড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের ওয়ার্ড নির্বাচনী প্রস্তুতি ও কর্মী সভা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ছাত্রলীগের বাধা; মারধরের অভিযোগ

  • তারিখ : ০৮:৩৮:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০২৪
  • 49

ফয়সাল মিয়া, কুবি।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিভিন্ন মোড়ে আওয়ামিলীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের দেশীয় অস্ত্রহাতে মহড়ার পাশাপাশি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মারধর করতে দেখা গেছে।

আজ সোমবার (২৯ জুলাই) দুইটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত স্থানীয় ও মহানগর আওয়ামিলীগের পাঁচশত এর বেশি নেতাকর্মী এ মহড়ায় অংশ নেয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ছাত্র আন্দোলন চত্ত্বরে (আন্সার ক্যাম্প মোড়) শুরুতে স্থানীয় আওয়ামিলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী অংশ নেয়। এরপর কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী যুক্ত হয়। তাদের অধিকাংশের হাতে রড, লাঠি, স্টিলের বেস বল ব্যাট, দেশিয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করতে দেখা যায়।

এসময় উপস্থিত নেতাকর্মীদের কুমিল্লা শহর থেকে আগত শিক্ষার্থীদের ছাত্র আন্দোলন চত্বর, কোটবাড়ি মোড়, কোটবাড়ি বিশ্বরোডসহ বিভিন্ন স্থানে মোবাইল ফোন চেক করার পাশাপাশি চড় থাপ্পড় দিতেও দেখা যায়।

ছাত্রলীগ ও আওয়ামিলীগের অবস্থান কর্মসূচির শুরুর দিকে নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এখন আন্দোলনকারী মানেই জামাত শিবির। দেখলেই চর থাপ্পড় দিবা।

এরপর থেকে কুমিল্লার বিভিন্ন স্কুল কলেজের প্রায় ১৫-২০ জন শিক্ষার্থীকে মারধর ও চড়থাপ্পড়ের পাশাপাশি প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীকে তাঁরা (আওয়ামিলীগ-ছাত্রলীগ) পথ অবরোধ করে ফিরিয়ে দেন।

এবিষয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মারুফ শেখ বলেন, দুপুর ২ টার দিকে আমি শহর থেকে সিএনজি করে আসছিলাম ক্যাম্পাসে। এই সময় গাড়ী আন্সারক্যাম্প পর্যন্ত আসলে ছাত্রলীগের কিছু ছেলে আমাকে ও সিএনজিতে থাকা বাকিদের নামিয়ে চড় থাপ্পড় শুরু করে। আমি যখন বলি আমি বন্ধুর বাসায় যাচ্ছি তখন আমাকে আবার গাড়িতে তুলে বলে শহরে চলে যেতে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দিকে যাওয়া যাবে না।

আইন বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, শহর থেকে আসার পথে জাদুঘরের সামনে ছাত্রলীগ আমাদের অটোরিকশা থামিয়ে দেয়, তাঁরা বলে আন্দোলনকারী থাকলে এদের ধর, পরে কলার ধরে আমাকে অটো থেকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে নেয়, তাঁরা আমাকে মারার জন্য লাঠি নিয়ে আসে, সাংবাদিক আসতে দেখলে ওরা দ্রুত লাঠিগুলো ফেলে দেয়।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা মারধরের ভিডিও করতে গেলে মহানগর আওয়ামিলীগের নেতাকর্মীরা তেড়ে আসার পাশাপাশি হেনস্তা করেন।

এদিকে মোড়ে মোড়ে মারধরের পরও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশেপাশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় তাদের হাতেও লাঠি ও বাঁশের খন্ড দেখা যায়।

এবিষয়ে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সমন্বয়ক বলেন, সারাদেশে আমাদের বেশ কয়েকজন সমন্বয়ককে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে গেছেন। এছাড়াও ডিবি অফিসে স্ক্রিপ্ট ধরিয়ে জোর পূর্বক বিবৃতি দেয়া হয়েছে। তার প্রতিবাদে আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচি।

error: Content is protected !!

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ছাত্রলীগের বাধা; মারধরের অভিযোগ

তারিখ : ০৮:৩৮:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০২৪

ফয়সাল মিয়া, কুবি।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিভিন্ন মোড়ে আওয়ামিলীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের দেশীয় অস্ত্রহাতে মহড়ার পাশাপাশি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মারধর করতে দেখা গেছে।

আজ সোমবার (২৯ জুলাই) দুইটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত স্থানীয় ও মহানগর আওয়ামিলীগের পাঁচশত এর বেশি নেতাকর্মী এ মহড়ায় অংশ নেয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ছাত্র আন্দোলন চত্ত্বরে (আন্সার ক্যাম্প মোড়) শুরুতে স্থানীয় আওয়ামিলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী অংশ নেয়। এরপর কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী যুক্ত হয়। তাদের অধিকাংশের হাতে রড, লাঠি, স্টিলের বেস বল ব্যাট, দেশিয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করতে দেখা যায়।

এসময় উপস্থিত নেতাকর্মীদের কুমিল্লা শহর থেকে আগত শিক্ষার্থীদের ছাত্র আন্দোলন চত্বর, কোটবাড়ি মোড়, কোটবাড়ি বিশ্বরোডসহ বিভিন্ন স্থানে মোবাইল ফোন চেক করার পাশাপাশি চড় থাপ্পড় দিতেও দেখা যায়।

ছাত্রলীগ ও আওয়ামিলীগের অবস্থান কর্মসূচির শুরুর দিকে নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এখন আন্দোলনকারী মানেই জামাত শিবির। দেখলেই চর থাপ্পড় দিবা।

এরপর থেকে কুমিল্লার বিভিন্ন স্কুল কলেজের প্রায় ১৫-২০ জন শিক্ষার্থীকে মারধর ও চড়থাপ্পড়ের পাশাপাশি প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীকে তাঁরা (আওয়ামিলীগ-ছাত্রলীগ) পথ অবরোধ করে ফিরিয়ে দেন।

এবিষয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মারুফ শেখ বলেন, দুপুর ২ টার দিকে আমি শহর থেকে সিএনজি করে আসছিলাম ক্যাম্পাসে। এই সময় গাড়ী আন্সারক্যাম্প পর্যন্ত আসলে ছাত্রলীগের কিছু ছেলে আমাকে ও সিএনজিতে থাকা বাকিদের নামিয়ে চড় থাপ্পড় শুরু করে। আমি যখন বলি আমি বন্ধুর বাসায় যাচ্ছি তখন আমাকে আবার গাড়িতে তুলে বলে শহরে চলে যেতে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দিকে যাওয়া যাবে না।

আইন বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, শহর থেকে আসার পথে জাদুঘরের সামনে ছাত্রলীগ আমাদের অটোরিকশা থামিয়ে দেয়, তাঁরা বলে আন্দোলনকারী থাকলে এদের ধর, পরে কলার ধরে আমাকে অটো থেকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে নেয়, তাঁরা আমাকে মারার জন্য লাঠি নিয়ে আসে, সাংবাদিক আসতে দেখলে ওরা দ্রুত লাঠিগুলো ফেলে দেয়।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা মারধরের ভিডিও করতে গেলে মহানগর আওয়ামিলীগের নেতাকর্মীরা তেড়ে আসার পাশাপাশি হেনস্তা করেন।

এদিকে মোড়ে মোড়ে মারধরের পরও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশেপাশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় তাদের হাতেও লাঠি ও বাঁশের খন্ড দেখা যায়।

এবিষয়ে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সমন্বয়ক বলেন, সারাদেশে আমাদের বেশ কয়েকজন সমন্বয়ককে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে গেছেন। এছাড়াও ডিবি অফিসে স্ক্রিপ্ট ধরিয়ে জোর পূর্বক বিবৃতি দেয়া হয়েছে। তার প্রতিবাদে আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচি।