০৮:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় আ. লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার কুমিল্লার দেবিদ্বারে পানিতে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশুর মৃত্যু কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ঝটিকা মিছিল, আটক ৫ বুড়িচংয়ে পূজা উদযাপনে থাকবে সেনাবাহিনী-পুলিশের নিরাপত্তা বলয় বুড়িচংয়ে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ৫ লক্ষ টাকার ওষুধ বিতরণ ইমোর মাধ্যমে প্রবাসীর সঙ্গে পরিচয়, কুমিল্লার দুলাল হত্যার পেছনের মূল কারণ কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে চার গাড়ির সংঘর্ষে ২ জন নিহত, আহত ৩ কুমিল্লার মুরাদনগরে পরিত্যক্ত মুরগির খামার থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার কুমিল্লায় স্কুল শেষে নদীতে গোসল করতে নেমে প্রাণ গেল প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীর চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ও পৌর জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

কুমিল্লায় খাদ্যবান্ধব ডিলারের ৩০ কেজি চাল দোকানে মেপে হলো ২৩ কেজি

  • তারিখ : ০৬:২৬:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
  • 81

হোমনা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার হোমনায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জয়পুর ইউনিয়নের ডিলার মোশারফ হোসেন ওজনে কম চাল দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সরকারি সিলমোহরযুক্ত বস্তার পরিবর্তে বাজারের প্লাস্টিকের বস্তায় বালতি দিয়ে পরিমাপ করে চাল বিতরণ করা হয়। কিন্তু নিয়ম ছিল পাল্লা দিয়ে মেপে বা ডিজিটাল ওজন মাপার যন্ত্র দিয়ে মেপে দেওয়ার। নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেকে ৩০ কেজি চাল পাওয়ার কথা, কিন্তু প্রতি বস্তায় সর্বনিম্ন ২৪ কেজি ও সর্বোচ্চ ২৭ কেজি করে বিতরণ করা হয়েছে। হোমনা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের নিয়োজিত ডিলার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।

জয়পুর ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ডধারী ৩৮৫ জনের মধ্যে ১৫ টাকা কেজি দরের ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিন ছিল গতকাল। এ দিন আব্দুল্লাপুর-খন্দকারচর, জয়পুর ও মির্জানগরে চাল বিতরণ করেন ডিলার মোশাররফ হোসেন। তিনি সরকার নির্ধারিত সিলমোহরযুক্ত বস্তা ব্যতীত সুবিধাভোগীদের প্লাস্টিকের বস্তায় ৩ বালতি করে চাল বিতরণ করেন।

১ বালতি ডিলারের মাপ অনুযায়ী ১০ কেজি, ৩ বালতি মানে ৩০ কেজি। কিন্তু চাল নেওয়ার পরে কার্ডধারীদের সন্দেহ হলে পাশের একটি দোকানে ওজন করে সর্বনিম্ন ২৪ কেজি ও সর্বোচ্চ ২৭ কেজি করে প্রতি বস্তায় চাল পান। পরে বস্তাভর্তি চাল নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস কক্ষে গিয়ে প্রতিকার চান কার্ডধারীরা।

জয়পুর গ্রামের শাহিন মিয়া বলেন, সন্দেহ হলে পাশের দোকানে মেপে তাঁর বস্তায় ২৪ কেজি চাল পেয়েছেন।

কার্ডধারী শাহ আলমের মেয়ে শাহিনা আক্তার জানান, তাঁর বস্তায় পেয়েছেন ২৩ কেজি চাল।

আব্দুল মালেকের ছেলে শাহিন মিয়ার দাবি, তাঁর বস্তায় ৩০ কেজির জায়গায় ২৫ কেজি চাল দিয়েছেন ডিলার। সবগুলো বস্তায় চাল কম। তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে প্রতিকার পেতে এসেছি। কিন্তু এখন চিন্তায় আছি আমাদের কার্ডের লিস্ট থেকে বাদ দেয় কিনা।’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডিলার মোশারফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমি পরিমাপে কম দেই নাই। আমার বিরুদ্ধে একটা গ্রুপ আছে, সেই লোকেরা এগুলো করতেছে।’

উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওয়াসিম জানান, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইউএনও ক্ষেমালিকা চাকমা জানান, ডিলার ১০ কেজির বালতি দিয়ে মেপে দিয়েছেন, ওখানে মেশিন ছিল সেটা দিয়ে দিলে হয়তো এমন হতো না। তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় খাদ্যবান্ধব ডিলারের ৩০ কেজি চাল দোকানে মেপে হলো ২৩ কেজি

তারিখ : ০৬:২৬:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫

হোমনা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার হোমনায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জয়পুর ইউনিয়নের ডিলার মোশারফ হোসেন ওজনে কম চাল দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সরকারি সিলমোহরযুক্ত বস্তার পরিবর্তে বাজারের প্লাস্টিকের বস্তায় বালতি দিয়ে পরিমাপ করে চাল বিতরণ করা হয়। কিন্তু নিয়ম ছিল পাল্লা দিয়ে মেপে বা ডিজিটাল ওজন মাপার যন্ত্র দিয়ে মেপে দেওয়ার। নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেকে ৩০ কেজি চাল পাওয়ার কথা, কিন্তু প্রতি বস্তায় সর্বনিম্ন ২৪ কেজি ও সর্বোচ্চ ২৭ কেজি করে বিতরণ করা হয়েছে। হোমনা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের নিয়োজিত ডিলার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।

জয়পুর ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ডধারী ৩৮৫ জনের মধ্যে ১৫ টাকা কেজি দরের ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিন ছিল গতকাল। এ দিন আব্দুল্লাপুর-খন্দকারচর, জয়পুর ও মির্জানগরে চাল বিতরণ করেন ডিলার মোশাররফ হোসেন। তিনি সরকার নির্ধারিত সিলমোহরযুক্ত বস্তা ব্যতীত সুবিধাভোগীদের প্লাস্টিকের বস্তায় ৩ বালতি করে চাল বিতরণ করেন।

১ বালতি ডিলারের মাপ অনুযায়ী ১০ কেজি, ৩ বালতি মানে ৩০ কেজি। কিন্তু চাল নেওয়ার পরে কার্ডধারীদের সন্দেহ হলে পাশের একটি দোকানে ওজন করে সর্বনিম্ন ২৪ কেজি ও সর্বোচ্চ ২৭ কেজি করে প্রতি বস্তায় চাল পান। পরে বস্তাভর্তি চাল নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস কক্ষে গিয়ে প্রতিকার চান কার্ডধারীরা।

জয়পুর গ্রামের শাহিন মিয়া বলেন, সন্দেহ হলে পাশের দোকানে মেপে তাঁর বস্তায় ২৪ কেজি চাল পেয়েছেন।

কার্ডধারী শাহ আলমের মেয়ে শাহিনা আক্তার জানান, তাঁর বস্তায় পেয়েছেন ২৩ কেজি চাল।

আব্দুল মালেকের ছেলে শাহিন মিয়ার দাবি, তাঁর বস্তায় ৩০ কেজির জায়গায় ২৫ কেজি চাল দিয়েছেন ডিলার। সবগুলো বস্তায় চাল কম। তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে প্রতিকার পেতে এসেছি। কিন্তু এখন চিন্তায় আছি আমাদের কার্ডের লিস্ট থেকে বাদ দেয় কিনা।’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডিলার মোশারফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমি পরিমাপে কম দেই নাই। আমার বিরুদ্ধে একটা গ্রুপ আছে, সেই লোকেরা এগুলো করতেছে।’

উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওয়াসিম জানান, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইউএনও ক্ষেমালিকা চাকমা জানান, ডিলার ১০ কেজির বালতি দিয়ে মেপে দিয়েছেন, ওখানে মেশিন ছিল সেটা দিয়ে দিলে হয়তো এমন হতো না। তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।