কুমিল্লা গৌরীপুরে যুবলীগ নেতা জামাল হত্যা মামলার ৪ আসামি গ্রেপ্তার; এর মধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ও একজনকে দাউদকান্দি থানা পুলিশ।
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বোরকা পরা দুর্বৃত্তদের গুলিতে যুবলীগ নেতাকে হত্যার সাত দিনের মাথায় তিন আসামিকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে র্যাব।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে আসামিদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন তারা।
শনিবার রাত ১২টার দিকে র্যাব-১১ সিপিসি-২ কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান, কুমিল্লার গৌরিপুরে চাঞ্চল্যকর যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন হত্যা মামলার তিন আসামিকে র্যাব-১১ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি বলেন, রোববার বেলা ১১টায় কুমিল্লা নগরীর শাকতলায় র্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তানভীর মাহমুদ পাশা।
এছাড়া জামাল হোসেন হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত আরো একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জ মদনপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এই সময় হত্যাকান্ডের কাজে ব্যবহৃত গাড়িটি এবং বেশ কিছু আলামত জব্দ করে পুলিশ।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দাউদকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া।
গত ৩০ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে দাউদকান্দির গৌরীপুর পশ্চিম বাজার ঈদগাহ এলাকার মসজিদ গলিতে জামাল হোসেনকে (৪০) গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। জামাল তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
হত্যাকাণ্ডের দুইদিন পর ২ মে রাত সাড়ে ১১টায় জামালের স্ত্রী পপি আক্তার বাদী হয়ে দাউদকান্দি থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি গ্রামের মো. সুজন, আরিফ হোসেন, ইসমাইল হোসেন, মনাইরকান্দি গ্রামের শাহিনুল ইসলাম ওরফে সোহেল শিকদার, জিয়ারকান্দি গ্রামের বাদল, শাকিল, দাউদকান্দির গোপচর গ্রামের শাহ আলম, তিতাসের জিয়ারকান্দি গ্রামের অলি হাসান ও কালা মনির।
এরই মধ্যে ওই যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যার ঘটনার সময়ের কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাল হওয়া ফুটেজে দেখা যায়- জামাল হোসেন হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া তিন দুর্বৃত্তের সকলেই ছিলেন বোরকা পরা। দশ সেকেন্ডের মধ্যে তারা পরপর তিনটি গুলি চালিয়ে জামালের মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page