নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লায় বেড়ে চলেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। নিয়ন্ত্রণে আসছে না পরিস্থিতি। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৬০৬জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এটাই এক দিনে শনাক্তের রেকর্ড।
আক্রান্তের হার ৪২দশমিক ২ শতাংশ। এ সময় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আট জন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৪৩৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে৬০৬জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে ২১৯ জনই কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে আদর্শ সদরের ২৭, সদর দক্ষিণের ১৩, বুড়িচংয়ের ১০, ব্রাহ্মণপাড়ার ২৮, চান্দিনার ২৯, চৌদ্দগ্রামের ৫৭, দেবিদ্বারের ১১, দাউদকান্দির ১, লাকসামের ৪৪, লালমাইয়ের ৪, নাঙ্গলকোটের ৩১, বরুড়ার ৫৭, মনোহরগঞ্জের ২৪, মুরাদনগরের ৪, তিতাসের ৯ ও হোমনার ৩৮জন।
যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকার ৩, বরুড়ায় ২জন, ব্রাহ্মণপাড়ার মুরাদনগরের,লাকসাম ১ জন করে।
জেলায় এখন পর্যন্ত ২১হাজার ৪১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬০৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৩৩ জন। এ নিয়ে জেলায় সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়াল ১৩ হাজার ২৯১জন।
সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন বলেন,কুমিল্লায় আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। পাশাপাশি বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। যদি এ মুহুর্তেও মানুষের মাঝে সচেতনতা না বাড়ে, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।
আমরা চেষ্টা করছি জনসচেতনতা বাড়িয়ে কীভাবে সংক্রমণ কমানো যায়। সে লক্ষ্যে প্রতিদিনই কাজ চলছে। পাশাপাশি শতভাগ টিকা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এখন প্রয়োজন সমন্বিত প্রয়াস।’
কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রেজাউল করিম জানান, হাসপাতালে রোগীদের ভিড় বেড়ে চলছে। করোনার বরাদ্দকৃত আসনের চেয়ে অন্তত ৩০ জন বেশি ভর্তি রয়েছেন। যদি এ রকম চলতে থাকে তাহলে রোগীর চাপ সামলানো কষ্টকর হয়ে যাবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন,জেলায় করোনা সংক্রমণের হার কমাতে ও সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালতের একাধিক অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়মিত ত্রাণও বিতরণ করা হচ্ছে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page