০৮:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বুড়িচংয়ে মা-মেয়ের আত্মহত্যা: সৎকারে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিংয়ে ঘটনায় ২ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ১৭ জনকে শোকজ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবসে “সফল আত্মকর্মী” পুরস্কার পেলেন কুমিল্লার লাভলী ৪৩তম জাতীয় জেলা চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫ রানার্সআপ প্রাইজমানি বিতরণ কুমিল্লায় ৩০ বছরের জলাবদ্ধতা নিরসনে পানিতে নেমে খাল খনন করলেন বিএনপি নেতারা বাংলা প্রেসক্লাব ভেনিসের আয়োজনে তুহিন হত্যার দ্রুত বিচার দাবিতে প্রতিবাদ সভা কুমিল্লার সংরাইশ সরকারি শিশু পরিবারে ফল উৎসব ও সেলাই মেশিন বিতরন কুমিল্লার মুরাদনগরে মামলায় আটক বিএনপির ১৩ নেতা-কর্মীর জামিন কুমিল্লার মুরাদনগরে অতিরিক্ত মদ পানে ২ জনের মৃত্যু কুমিল্লায় এনজিও’র ঋণের চাপ ও অভাবে মা-মেয়ের আত্মহত্যা

কুমিল্লায় প্রেমিককে ডেকে নিয়ে শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন দিল প্রেমিকা

  • তারিখ : ১০:৪৯:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই ২০২২
  • 2

কুমিল্লা নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লায় ফোনে ডেকে নিয়ে আরাফাত ইসলাম রবিন (২০) নামে এক যুবককে হাত-পা বেঁধে শরীরে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার (৬ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার বড়দৈল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী আরাফাত ইসলাম রবিন পার্শ্ববর্তী আমতলী এলাকার রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ী রেজাউল করিমের ছেলে। পেট্রলের আগুনে রবিনের শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার বড়দৈল গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার গাড়িচালক শফিক মিয়ার মেয়ে তাসফিয়া আক্তার রুমা (১৬) এবং তার ভাই মো. অনিক (২২)।

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) রাতে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহান সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এদিকে এ ঘটনায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী রবিনের বাবা রেজাউল করিম।

মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, তার ছেলে রবিনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বড়দৈল গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার গাড়িচালক শফিক মিয়ার মেয়ে তাসফিয়া আক্তার রুমার। বুধবার রাতে তাকে ফোন করে ডেকে আনে তাসফিয়া। রবিন বড়দৈল এলাকায় গেলে সেখানে শফিক মিয়ার ছেলে অনিক এবং রবিনের প্রেমিকা তাসফিয়া আক্তার রুমা তার হাত-পা বেঁধে শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় রবিনের চিৎকার স্থানীয়রা এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় অনিক ও রুমা। স্থানীয়রা রবিনের শরীরের জ্বলন্ত আগুন নিভিয়ে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। রবিন বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহান সরকার বলেন, এ ঘটনায় মূল দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আসামিরা মুখ খুলছে না। তদন্তের পর এ ঘটনার রহস্য জানা যাবে।

কুমিল্লায় প্রেমিককে ডেকে নিয়ে শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন দিল প্রেমিকা

তারিখ : ১০:৪৯:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই ২০২২

কুমিল্লা নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লায় ফোনে ডেকে নিয়ে আরাফাত ইসলাম রবিন (২০) নামে এক যুবককে হাত-পা বেঁধে শরীরে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার (৬ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার বড়দৈল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী আরাফাত ইসলাম রবিন পার্শ্ববর্তী আমতলী এলাকার রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ী রেজাউল করিমের ছেলে। পেট্রলের আগুনে রবিনের শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার বড়দৈল গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার গাড়িচালক শফিক মিয়ার মেয়ে তাসফিয়া আক্তার রুমা (১৬) এবং তার ভাই মো. অনিক (২২)।

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) রাতে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহান সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এদিকে এ ঘটনায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী রবিনের বাবা রেজাউল করিম।

মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, তার ছেলে রবিনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বড়দৈল গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার গাড়িচালক শফিক মিয়ার মেয়ে তাসফিয়া আক্তার রুমার। বুধবার রাতে তাকে ফোন করে ডেকে আনে তাসফিয়া। রবিন বড়দৈল এলাকায় গেলে সেখানে শফিক মিয়ার ছেলে অনিক এবং রবিনের প্রেমিকা তাসফিয়া আক্তার রুমা তার হাত-পা বেঁধে শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় রবিনের চিৎকার স্থানীয়রা এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় অনিক ও রুমা। স্থানীয়রা রবিনের শরীরের জ্বলন্ত আগুন নিভিয়ে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। রবিন বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহান সরকার বলেন, এ ঘটনায় মূল দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আসামিরা মুখ খুলছে না। তদন্তের পর এ ঘটনার রহস্য জানা যাবে।