লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা লাকসাম উপজেলায় বজ্রপাতের আগুনে ৫ টি বসঘর ও দুইটি গরু মৃতসহ ২৮ লাখ টাকার সম্পদ আগুনে পুড়ে গেছে। সোমবার মধ্য রাতে কান্দিরপাড়া ইউনিয়নের অশ্বতলা ও ভাকড্ডা গ্রামে বজ্রপাতের অগ্নিকাণ্ডে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলা সোমবার মধ্য রাতে মুষলধারে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। প্রচণ্ড শব্দে বজ্রপাতের এ সময় বিদ্যুতের লাইনে আগুন ধরে যায়। এক পর্যায়ে অশ্বতলা গ্রামরে আমির আলীর দুই পরিবারে প্রথম সংসারে মেয়ে হাজেরা বেগম বসতঘরে আগুন ধরে যায়। আগুনে তার দ্বিতীয় সংসারের মেয়ে সখিনা বেগম ,লতিফা বেগম ও ছেলে আবদুল মজিদসহ তাঁদের বসত ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। বসতঘরে ঘুমিয়ে থাকা স্বজনরা আগুনের সুত্রপাত দেখে পাশের বাড়ীতে আশ্রয় নেয়।অগ্নিকান্ডের সময় বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ না করায় এলাকাবাসী এগিয়ে এলেও আগুন নেভাতে পারেনি।পরে লাকসাম ফায়ার সার্ভিসের ফোন করলে দমকল বাহিনীর সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর মধ্যে দুটি পরিবারের ৫টি ঘর আগুনে পুড়ে যায়।অগ্নিকান্ডের আবদুল মজিদের ছেলের আরিফ হোসেন কে প্রবাসে পাঠানো জন্য শনিবার তার শশুর কাছ থেকে ধারকর্জ করা নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও দুইটি পাসপোর্টসহ ১৫ লাখ টাকা সম্পদ আগুনে পুড়ে গেছে। এছাড়াও লতিফা বেগমের ৫ লাখ, সখিনা বেগমের নগদ টাকাসহ ৪ লাখ ও হাজেরা বেগম ঘরে থাকা নগদ টাকা, ধান, চাল ও আসবাপত্র পুড়ে গিয়ে ৪ টি ঘরের আগুনে প্রায় ২৭ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।অপরদিকে, রাত ৩টায় বজ্রপাতে একই ইউনিয়নের ভাকড্ডা গ্রামের কৃষক মমতাজ মিয়ার ২টি গরু মারা যায়।
লাকসাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র ষ্টেশন অফিসার শাহাদাত হোসেন যুগান্তরকে বলেন, আমরা রাত ৪টা ৫ মিনিটে খবর পাই। ষ্টেশন অফিসার ফয়েজ আহমদের নেতৃত্বে অগ্নিনির্বাপক দল ৪টা ১১ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অল্প সময়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম সাইফুল আলম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) দেবেশ চন্দ্র দাস ও কান্দিরপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ ওমর ফারুক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের শান্তনা দেয়ার পাশাপাশি আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেন।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page