কুমিল্লায় সিএনজি চালক জনি হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লার পাঁচথুবীতে সিএনজি চালক মো. জনি হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করছে এলাকাবাসী। কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ৫ নং পাঁচথুবী ইউনিয়নের দক্ষিন শরীফপুর গ্রামে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত এক ঘন্টাব্যাপি আয়োজিত মানববন্ধনে এলাকার বিভিন্ন পেশার কয়েকশ লোক অংশ গ্রহণ করে। এসময় বক্তব্য রাখেন নিহত জনির পিতা মো.রিপন মিয়া, মা আলেয়া বেগম, স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. শাহ আলম মেম্বার, সাবেক মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম,সমাজসেবক সুলতান আহম্মেদ মাস্টার,আপন মজুমদার,কানু সর্দার, ছাত্রলীগ নেতা আশ্রাফুল ইসলাম সজীব প্রমুখ।

এসময় বক্তারা অভিযোগ করেন, জনি হত্যাকান্ডের প্রায় ৪ মাস অতিবাহিত হলেও কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি। অবিলম্বে জনির খুনিদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন বক্তারা।

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কারণে এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী চক্র সিএনজি চালক মো.জনি(২৩)কে পরিকল্পিতভাবে খুন করে। গত ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় মো.জনি স্থানীয় খিলপাড়া চৌমুহনীতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতে আর বাড়ি ফিরেনি। পরদিন ১৬ অক্টোবর বাড়ির পাশের কাঠ বাগানে জনির ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসী। খবর পেলে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ এসে লাশ উদ্বার করেন। এ ঘটনায় নিহত মো. জনির পিতা মো. রিপন মিয়া বাদী হয়ে ১৭ অক্টোবর দক্ষিন শরিফপুর গ্রামের মোস্তফা মিয়ার পুত্র সাগর হোসেন (১৯) কালিকাপুর গ্রামের নুর মিয়া প্রকাশ্যে বশির মিয়ার পুত্র সাকিল (২৪),শরিফপুর গ্রামের মৃত মান্নান মিয়ার পুত্র হুমায়ুন মিয়া (৩৫) সহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েক জনের নামে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

নিহতের পিতা মো. রিপন মিয়া মামলায় উল্লেখ করা হয়, এলাকায় মাদকদ্রব্য বিক্রির প্রতিবাদ করায় আসামীরা মো. জনির উপর ক্ষিপ্ত হয়। হত্যাকান্ডের ২ দিন আগে ১৩ অক্টোবর আসামীরা বাড়িতে এসে জনিকে মারার জন্য খুঁজাখুঁজি করে এবং তাকে না পেয়ে প্রকাশ্য হুমকী দিয়ে যায়। মাদক নিয়ে প্রতিবাদ করার জের ধরে আসামীরা পরিকল্পিতভাবে মো.জনিকে হত্যা করে লাশ গাছে ঝুঁলিয়ে রাখে।

এদিকে মামলাটি বর্তমানে কোতয়ালী থানা পুলিশের পর সিআইডি কুমিল্লা তদন্ত করছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি ইন্সপেক্টর গোলাম মোস্তফা জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনো পাইনি। ঝুলন্ত অবস্থায় জনির লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। ইতিমধ্যে আমাদের কাছে বেশকিছু তথ্য-উপাত্ত পেয়েছি। তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  

You cannot copy content of this page