১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় ভেজাল জুস ও যৌন উত্তেজক পণ্য কারখানায় অভিযান, দুইজনের কারাদণ্ড কুমিল্লা লাকসাম (মুদাফ্ফরগঞ্জ) ইসলামী ফ্রন্টের সাংগঠনিক উপজেলা কমিটি গঠিত কুমিল্লায় জুলাই মাসে ১১টি হত্যা, ধর্ষণের মামলার ৮টি কুমিল্লায় ৩৩ বছরের ইমামত শেষে রাজকীয় বিদায়; কাঁদলেন এলাকাবাসী সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় মানববন্ধন সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে কুমিল্লার মুরাদনগরে মানববন্ধন কুমিল্লায় ওয়ার্কশপ মালিকে কুপিয়ে হত্যা; বিশ্রাম কক্ষ থেকে মরদেহ উদ্ধার কুমিল্লায় যুবককে হত্যার পর ৪ টুকরো, খাল থেকে ২ হাত উদ্ধার কুমিল্লায় বিয়েবাড়ির জিলিক বাতির বিদ্যুৎস্পর্শে শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু শিক্ষকতা শেষে সহকর্মী-শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় আপ্লুত কুমিল্লার স্বপন কুমার

চোখে মরিচের গুঁড়া দিয়ে কুবি শিক্ষার্থীকে রাস্তায় ফেলে যায় ছিনতাইকারী

  • তারিখ : ০১:০৯:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ অক্টোবর ২০২১
  • 5

কুবি প্রতিনিধি।।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা পদুয়ার বাজারে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ১২ তম ব্যাচের মোহাম্মদ সুমন নামের এক শিক্ষার্থী। বিশেষ প্রয়োজনে সুমন কুমিল্লা থেকে ঢাকা যাচ্ছিলেন। শুক্রবার (৮ অক্টোবর) পদুয়ার বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ছিনতাই শেষে সুমনের চোখে মরিচ গুঁড়া মেখে মহাসড়কের পাশে ফেলে যায় ছিনতাইকারীরা। এর আগে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়।

ভুক্তভুগী সুমন বলেন, ‘আমি জরুরী কাজে ঢাকা যাওয়ার জন্য পদুয়ার বাজার যাই। হোটেল নুরজাহানের সামনে গাড়ীর জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করি৷ পরে একটা মাইক্রোবাস আসে এবং চালক আমাকে ঢাকা যাব কিনা জিজ্ঞেস করে। আমি যাব বললে ভাড়া ৩০০ টাকা বলে। পরে ২৫০ টাকার বিনিময়ে গাড়িতে উঠি। গাড়িতে আরো ছয়জন ছদ্মবেশী যাত্রীকে ছিলো। গাড়ী ছাড়ার কিছুক্ষণ পর গাড়িতে থাকা ছদ্মবেশী যাত্রীরা আমার হাত পা বেধে ফেলে এবং আমার কাছে থাকা মোবাইল ও মানিব্যাগে থাকা ১০,০০০ টাকা তারা নিয়ে যায়।’

সুমন আরো বলেন, তারা আমার কাছে এক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। আমি দিতে অপারগতা জানালে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এভাবে অনেক্ষণ চলার পর তাদের কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইলে ছিনতাইকারীরা আমার চোখে মরিচ দেয় এবং বেলতলী বিশ্বরোড সংলগ্ন বিশ্ববিদ্যালয় গেইটের সামনে ফেলে দিয়ে তারা পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী কামাল উদ্দিন বলেন, সার্কেল এএসপিকে আমরা বিষয়টি জানিয়েছি। অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।

এ বিষয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।

উল্লেখ্য, আগেও বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অনেকেই ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন। গত বছর পদুয়ার বাজারে বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিটি বিভাগের সাকিউল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী ছিনতাইকারীদের কবলে পরে মোবাইল মানিব্যাগ হারান। পরবর্তীতে পুলিশের সহযোগিতায় তা ফিরে পান।

চোখে মরিচের গুঁড়া দিয়ে কুবি শিক্ষার্থীকে রাস্তায় ফেলে যায় ছিনতাইকারী

তারিখ : ০১:০৯:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ অক্টোবর ২০২১

কুবি প্রতিনিধি।।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা পদুয়ার বাজারে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ১২ তম ব্যাচের মোহাম্মদ সুমন নামের এক শিক্ষার্থী। বিশেষ প্রয়োজনে সুমন কুমিল্লা থেকে ঢাকা যাচ্ছিলেন। শুক্রবার (৮ অক্টোবর) পদুয়ার বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ছিনতাই শেষে সুমনের চোখে মরিচ গুঁড়া মেখে মহাসড়কের পাশে ফেলে যায় ছিনতাইকারীরা। এর আগে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়।

ভুক্তভুগী সুমন বলেন, ‘আমি জরুরী কাজে ঢাকা যাওয়ার জন্য পদুয়ার বাজার যাই। হোটেল নুরজাহানের সামনে গাড়ীর জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করি৷ পরে একটা মাইক্রোবাস আসে এবং চালক আমাকে ঢাকা যাব কিনা জিজ্ঞেস করে। আমি যাব বললে ভাড়া ৩০০ টাকা বলে। পরে ২৫০ টাকার বিনিময়ে গাড়িতে উঠি। গাড়িতে আরো ছয়জন ছদ্মবেশী যাত্রীকে ছিলো। গাড়ী ছাড়ার কিছুক্ষণ পর গাড়িতে থাকা ছদ্মবেশী যাত্রীরা আমার হাত পা বেধে ফেলে এবং আমার কাছে থাকা মোবাইল ও মানিব্যাগে থাকা ১০,০০০ টাকা তারা নিয়ে যায়।’

সুমন আরো বলেন, তারা আমার কাছে এক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। আমি দিতে অপারগতা জানালে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এভাবে অনেক্ষণ চলার পর তাদের কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইলে ছিনতাইকারীরা আমার চোখে মরিচ দেয় এবং বেলতলী বিশ্বরোড সংলগ্ন বিশ্ববিদ্যালয় গেইটের সামনে ফেলে দিয়ে তারা পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী কামাল উদ্দিন বলেন, সার্কেল এএসপিকে আমরা বিষয়টি জানিয়েছি। অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।

এ বিষয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।

উল্লেখ্য, আগেও বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অনেকেই ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন। গত বছর পদুয়ার বাজারে বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিটি বিভাগের সাকিউল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী ছিনতাইকারীদের কবলে পরে মোবাইল মানিব্যাগ হারান। পরবর্তীতে পুলিশের সহযোগিতায় তা ফিরে পান।