চৌদ্দগ্রামে ৭টি চোরাই গরু সহ আন্তঃজেলা চোর চক্রের ৩ সদস্য আটক

মনোয়ার হোসেন।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে থানা বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৭টি চোরাই গরু সহ আন্তঃজেলা চোর চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলো: চট্টগ্রাম জেলার বায়েজিদ বোস্তামী থানার শহীদনগর এলাকার মৃত আবুল হাশেম সওদাগরের ছেলে মো: নাছির উদ্দিন (৬৩), রাঙ্গুনিয়া থানার মিনাগাজীরটিলা এলাকার গোলাম মোহাম্মদ এর ছেলে মো: সানি চৌধুরী প্রকাশ আকাশ (৩০) ও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সৈয়দপুর এলাকার মৃত বশির আহাম্মদ প্রকাশ জমিদার এর ছেলে মো: জাহাঙ্গীর আলম (৪৮)।

এ ঘটনায় কথিত খামার মালিক উপজেলার সৈয়দপুর এলাকার মৃত রমজান আলীর ছেলে আলম (৫১) ও চোরাই গরু বিক্রির মূলহোতা লক্ষীপুর জেলার সদর থানার মজু চৌধুরীর ঘাট এলাকার দিদার (৪০) সহ ৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮ জন আসামীর বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা রুজু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ত্রিনাথ সাহা।

থানা সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: আলমগীর হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স সহ বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রাত আনুমানিক ১টা ৪৫মিনিটে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকামুখি লেনের পশ্চিমপাশে উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের সৈয়দপুর এলাকায় মো: আলম নামে এক ব্যক্তির কথিত গরুর খামারে অভিযান চালিয়ে মো: নাছির উদ্দিন, মো: সানি চৌধুরী ও মো: জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করে পুলিশ। এ সময় আন্তঃজেলা চোর চক্রের সদস্য ও আটককৃত আসামীদের ৪/৫ জন সহযোগি পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পরে তাদের হেফাজতে থাকা ৭টি চোরাই গরু জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা। আটককৃত ৩ আসামী ও কথিত খামার মালিক চৌদ্দগ্রামের ঘোলপাশা ইউনিয়নের সৈয়দপুর এলাকার মৃত রমজান আলীর ছেলে মো: আলম এবং চোরাই গরু বিক্রির মূলহোতা ল²ীপুর জেলার সদর থানার মজু চৌধুরীর ঘাট এলাকার দিদার সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ত্রিনাথ সাহা বলেন, ‘থানা পুলিশ বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে মহাসড়কের ঘোলপাশার সৈয়দপুর এলাকার একটি খামার থেকে ৭টি চোরাই গরু সহ আন্তঃজেলা চোর চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করে।

এ সময় তাদের কয়েকজন সহযোগি পালিয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে এ চক্রটি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নানা কৌশলে চোরাই গরু এনে আলমের কথিত খামারে রাখতো এবং চৌদ্দগ্রামের মিরশ্বানী বাজারে বিক্রি সহ চোরাই গরু জবাই করে স্থানীয় বিভিন্ন হোটেলে গোসত বিক্রি করতো বলে পুলিশের নিকট স্বীকারোক্তি প্রদান করে। পরে আটককৃত ও পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপরাধ দমনে থানা পুলিশ সদা তৎপর রয়েছে।’

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  

You cannot copy content of this page