নিউজ ডেস্ক।।
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় বাড়ি থেকে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়ার সময় কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ সময় অপহরণকারী চক্রের আট সদস্যকে গ্রেপ্তার ও অপহরণের কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে পুলিশ এ অভিযান চালায়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. সুমন (৪০), মো. হাছান (২০), আলাউদ্দিন ওরফে ইমন (২৫), মিজানুর রহমান ওরফে মিজান (২৮), আবদুর রহিম (২০), মো. সোহাগ (২৮), মো. ইয়াছিন আরাফাত ওরফে সাকিব (২৩) ও সাবের হোসেন ওরফে সাব্বির (২১)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রী কবিরহাট উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ে। তাকে স্কুলে আসা–যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন মো. সুমন নামের এক ব্যক্তি। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ইফতারের সময় ওই ছাত্রীর গ্রামের বাড়িতে হানা দেন সুমন ও তাঁর সহযোগীরা। তাঁরা মেয়েটির ভাবিকে মারধর করে মুঠোফোন, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেন এবং ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যান।
এ ঘটনায় রাতেই ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বিষয়টি জানতে পেরে অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারে কবিরহাট থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেন। রাতভর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। শেষ পর্যন্ত পুলিশের একটি দল আজ সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে অভিযান চালিয়ে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় সন্দেহভাজন একটি গাড়ি তল্লাশি করে অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে ও অপহরণকারী চক্রের আট সদস্যকে আটক করে। পরে আটক আটজনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরপরই পুলিশ অভিযান শুরু করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ সকালে কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকা থেকে অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি সুমন, তাঁর সহযোগীসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ দুপুরে তাঁদের সোপর্দ করা হয়েছে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page