গাজী জাহাঙ্গীর আলম জাবির।।
বুড়িচংয়ে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূণ পরিবেশে নানা-কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পবিত্র আশুরা পালন করা হয়েছে। কারবালার ‘শোকাবহ এবং হৃদয় বিদারক ঘটনাবহুল’ এই দিনটি বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে ধর্মীয়ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ত্যাগ ও শোকের প্রতীকের পাশাপাশি বিশেষ পবিত্র দিবস হিসেবে দিনটি গুরুত্বের সাথে পালন করা হয়।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত, বুড়িচং
শনিবার (১০ মহররম) পবিত্র আশুরা উপলক্ষে বাদ আছর বুড়িচং উপজেলার কালিকাপুর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট স্থানীয় ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে শোহাদায়ে কারবালার স্মরণে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অধ্যক্ষ মাওলানা কাজী মোঃ আবুল বাশার আলকাদরীর সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক গাজী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জাবির এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট কুমিল্লা জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জননেতা মওলানা হাফেজ মোঃ আমিনুল ইসলাম আকবরী।
বক্তব্য রাখেন, কালিকাপুর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা কাজী মোঃ নজরুল ইসলাম, মাওঃ মোঃ তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, মাওঃ মোঃ মাহবুব রেজা কাদরী ,মাওঃ কাজী মোঃ আল ইমরান, মাওঃ মোঃ মোতাহের হোসেন, মাওঃ মোঃ শাহিনুল ইসলাম, মাওঃ মোঃ এমদাদুল হক ফারুকী, মোঃ ফজলুর রহমান সাবেক মেম্বার, মোঃ আব্দুল মান্নান, হাজী মোঃ আবদুর রৌফ, মোঃ ইব্রাহীম খলিল বাবুল ও মোঃ তোফায়েল আহমেদ।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত শশীদল ইউনিয়ন শাখা:
পবিত্র আশুরা ও শোহাদায়ে কারবালার স্মরণে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলাধীন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত শশীদল ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৯ জুলাই, শনিবার সকালে শশীদল পাঁচপীর হাফিজিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত শশীদল ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মাওলানা মোঃ আব্দুল হক এর সভাপতিত্বে এবং হাফেজ মোঃ মোজাম্মেল হক ও মাওলানা মোঃ রফিকুল ইসলাম রেজভীর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, শশীদল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব আল্লামা অধ্যক্ষ মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক, সাবেক সভাপতি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট কুমিল্লা জেলা কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও কলামিস্ট গাজী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জাবির।
বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আহলে সুন্নাত নেতা মোঃ আইয়ুব খান পাঠান রেজভী, মাওঃ মোঃ হানিফ, শশীদল ছোবহানীয়া দরবার শরীফ,আলহাজ্ব ছাদেক আহমদ, মাওঃ মোঃ জাকির হোসেন সিরাজী, গোলাম মোস্তফা— বি কম, মোঃ শামসুল ইসলাম মালু, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বাচ্চু মাষ্টার , মাওঃ মোঃ জহিরুল ইসলাম, মোঃ আবু জাহের খাদেম, মাওঃ মোঃ ইব্রাহীম খলিল, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মোঃ রফিকুল ইসলাম ব্যাপারী , মোঃ আব্দুল আলিম ভান্ডারী, মাওঃ মোঃ আঃ মোতালেব, হাফেজ মোঃ নাঈম, হাফেজ মোঃ নুরুল আমিন, হাফেজ মাওলানা মোঃ আঃ ওহাব,হাজী মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ আঃ মালেক হাফেজ কারী রায়হান রেজা হাশেমী, মোঃ নাছির উদ্দিন পিন্টু ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা শশীদল ইউনিয়ন সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
ফকির বাজার ইসলামিয়া সুন্নিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা :
এদিকে বুড়িচং উপজেলার ফকির বাজার ইসলামিয়া সুন্নিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার প্রাত্তন ছাত্র সংসদ এর উদ্যোগে পবিত্র আশুরা ও শোহাদায়ে কারবালা স্মরণে আলোচনা সভা এবং সংসদের প্রথম সভা শনিবার সকাল ১১ টায় মাদ্রাসা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
মাওলানা মোঃ মিজানুর রহমান তাহেরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন প্রস্তাব উপস্থাপন ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কলামিস্ট গাজী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জাবির।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, ফকির বাজার ইসলামিয়া সুন্নিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মুফতি মাওলানা কাজী মোঃ আবুল বাশার আল কাদরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, মাওঃ মোঃ তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া ও মোঃ আবুল কাশেম সরকার।
মাওলানা কাজী মোঃ আল ইমরান এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, মাওঃ মোঃ মাহবুব রেজা কাদরী, মাওঃ মোঃ নুরুল ইসলাম সুমন, মাওঃ কাজী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বাশারী, মোঃ গোলাম হাসান, মোঃ আল আমিন, আনিছুর রহমান, মাজহারুল ইসলাম, মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন, কামাল হোসেন সরকার ও মোঃ আবদুল হান্নান।
এসব অনুষ্ঠানে আলোচকবৃন্দ, ইয়াজিদ ও তার দোসরদের এহেন জঘন্য কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন এবং ইমাম হোসাইন (আঃ) এর পবিত্র জীবন আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে ইসলামের আলোকে জীবন যাপন করতে উৎসাহিত করেন।
৬১ হিজরি সনের ১০ মুহররম ইরাকের কারবালা প্রান্তরে ফোরাত নদীর তীরে স্বৈরাচার, পাপিষ্ঠ, জালিম ইয়াজিদ ও তার সৈন্য বাহিনীর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জান্নাতের যুবকদের সর্দার, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর প্রাণ-প্রিয় দৌহিত্র, হযরত ফাতেমা (সাঃ আঃ) ও হযরত আলী (আঃ) এর কলিজার টুকরো হযরত ইমাম হোসাইন (আঃ) কারবালা প্রান্তরে ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রামে উত্তীর্ণ হন।
ইয়াজিদ ও তার দোসররা কুফার পথে কারবালা নামক স্থানে ইমাম হোসাইন রা: এর পরিবার এবং তাঁর সঙ্গী সাথীদের অবরোধ করে তাদের কাছ থেকে জোর পূর্বক বাইয়াত নিতে চাইলে ইমাম হোসাইন (আঃ) বাইয়াত নিতে অস্বীকার করেন এবং সাফ জানিয়ে দেন ইয়াজিদের মত দুঃশচরিত্রবান লম্পট,জালিমের হাতে বাইয়াত গ্রহনের কোন প্রশ্নই আসেনা । তখন ইয়াজিদ বাহিনী ইমামের কাফেলাকে অবরুদ্ধ করে এবং খাদ্য ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। অবরুদ্ধ রাখার পর ইমামের পরিবারের শিশু সহ ইমাম হোসাইন রা: কে ক্ষুধা ও তৃষ্ণার্ত অবস্থায় ১০ মুহাররম ইমাম হোসাইন সহ ৭২ জনকে নির্মম ভাবে শহীদ করে। এঘটনাকে স্মরণ ও আশুরা উপলক্ষে এইদিনে বাংলাদেশ সহ মুসলিম উম্মাহ ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে এদিনটি পালন করে থাকেন।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page