০৪:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণপাড়ায় ২শত বছরের পুরনো গরু ছাগলের হাট ধ্বংসের পথে

  • তারিখ : ০৭:৩৯:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩
  • 10

মোঃ বাছির উদ্দিন।।
কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার প্রায় ২শত বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী গরু ছাগলের হাট সাহেবাবাদ। এই হাটের দিনে হাজার হাজার মানুষ দূর দূরান্ত থেকে গরু ছাগল ক্রয়-বিক্রয় করতে আসে।

সপ্তাহে দুইদিন রবি ও বৃহস্পতিবার হাট বসে। কিন্তু কসবা কুটি বাজার ও বড়ধুশিয়া বাজার মালিকানাধীন হওয়ায় প্রতিদিন বাজার বসে। মালিকানাধীন বাজার হওয়ায় সরকারের চোখ ফাঁকি দিয়ে ইজারাবিহীন বাজার বসছে। এতে করে একদিকে যেমন অন্যান্য বাজারের ক্ষতি হচ্ছে অন্যদিকে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এদিকে ২শত বছরের পুরনো সাহেবাবাদ বাজার ধ্বংসের পথে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কসবা কুটি বাজার সপ্তাহের রবিবার হাটবাজার বসে। একইদিনে সাহেবাবাদ বাজার হয়। এতে করে একইদিনে দুই বাজার হওয়ায় বাজারের ইজারাদারদের ক্ষতির সমুক্ষীন হতে হচ্ছে।

সাহেবাবাদ গরু-ছাগলের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, যেখানে সবসময় প্রচুর গরু-ছাগল দূর দূরান্ত থেকে নিয়ে আসতো, এখন কুটি বাজারে খাজনা কম হওয়ায় সকল গরু ছাগল সেখানে নিয়ে যায়। এতো পুরনো বাজারে মাত্র কয়েকটি গরুর দেখা মিলে। নেই কোন ক্রেতা, নেই লোকজনের আনাগোনা। বসে বসে অলস সময় পার করছে ইজারাদাররা।

অপরদিকে বড়ধুশিয়া বাজার মালিকানাধীন হওয়ায় প্রতিদিন সকালে আড়ং বসে। বাজারের নেই কোন ইজারা। এতে করে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। সরকারের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই বাজার চলে আসছে। বর্তমানে সাহেবাবাদ বাজার বন্ধ হবার পথে।

সাহেবাবাদ বাজারের ইজারা মূল্য ১ বছরে ৬৪ লক্ষ ৫০ হাজার হলেও সরকারি ভ্যাটসহ তা গিয়ে প্রায় ৮১ লক্ষ টাকা দাঁড়ায়। এই বাজার যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব হারাবে। ভবিষ্যতে এই বাজারের ইজারা নিয়ে কেউ বাজার ডাকবে না। এতে সরকার ক্ষতির সমুক্ষীন হবে।

এই ব্যাপারে সাহেবাবাদ বাজারের ইজারাদার ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য হাজী মোঃ দুলাল সরকার জানান, আগে প্রচুর গরু-ছাগল হাটে উঠতো। বর্তমানে দেখামাত্র কয়েকটি গরু উঠে। গত ১ বছর যাবৎ প্রচুর লোকসান হচ্ছে। কয়েকশত গরু বাজারে উঠতো। কিন্তু কুটি বাজার ও বড়ধুশিয়া বাজার মালিকানাধীন হওয়ায় সাহেবাবাদ বাজার ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ছে। এতে করে ধ্বংসের পথে ২শত বছরের পুরনো বাজারটি। এতে রাজস্ব হারাবে সরকার।

তিনি প্রশাসনের কাছে সুদৃষ্টি আবেদন করে বলেন, অন্তত ২শত বছরের পুরনো বাজারটি যেন টিকে থাকে। এতে করে সরকার রাজস্ব পাবে। না হলে ক্ষতির সমুক্ষীন হতে হবে। তিনি বিশ্বাস করেন, প্রশাসন অচিরেই এই বাজারকে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় কাজ করবেন।

error: Content is protected !!

ব্রাহ্মণপাড়ায় ২শত বছরের পুরনো গরু ছাগলের হাট ধ্বংসের পথে

তারিখ : ০৭:৩৯:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩

মোঃ বাছির উদ্দিন।।
কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার প্রায় ২শত বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী গরু ছাগলের হাট সাহেবাবাদ। এই হাটের দিনে হাজার হাজার মানুষ দূর দূরান্ত থেকে গরু ছাগল ক্রয়-বিক্রয় করতে আসে।

সপ্তাহে দুইদিন রবি ও বৃহস্পতিবার হাট বসে। কিন্তু কসবা কুটি বাজার ও বড়ধুশিয়া বাজার মালিকানাধীন হওয়ায় প্রতিদিন বাজার বসে। মালিকানাধীন বাজার হওয়ায় সরকারের চোখ ফাঁকি দিয়ে ইজারাবিহীন বাজার বসছে। এতে করে একদিকে যেমন অন্যান্য বাজারের ক্ষতি হচ্ছে অন্যদিকে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এদিকে ২শত বছরের পুরনো সাহেবাবাদ বাজার ধ্বংসের পথে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কসবা কুটি বাজার সপ্তাহের রবিবার হাটবাজার বসে। একইদিনে সাহেবাবাদ বাজার হয়। এতে করে একইদিনে দুই বাজার হওয়ায় বাজারের ইজারাদারদের ক্ষতির সমুক্ষীন হতে হচ্ছে।

সাহেবাবাদ গরু-ছাগলের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, যেখানে সবসময় প্রচুর গরু-ছাগল দূর দূরান্ত থেকে নিয়ে আসতো, এখন কুটি বাজারে খাজনা কম হওয়ায় সকল গরু ছাগল সেখানে নিয়ে যায়। এতো পুরনো বাজারে মাত্র কয়েকটি গরুর দেখা মিলে। নেই কোন ক্রেতা, নেই লোকজনের আনাগোনা। বসে বসে অলস সময় পার করছে ইজারাদাররা।

অপরদিকে বড়ধুশিয়া বাজার মালিকানাধীন হওয়ায় প্রতিদিন সকালে আড়ং বসে। বাজারের নেই কোন ইজারা। এতে করে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। সরকারের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই বাজার চলে আসছে। বর্তমানে সাহেবাবাদ বাজার বন্ধ হবার পথে।

সাহেবাবাদ বাজারের ইজারা মূল্য ১ বছরে ৬৪ লক্ষ ৫০ হাজার হলেও সরকারি ভ্যাটসহ তা গিয়ে প্রায় ৮১ লক্ষ টাকা দাঁড়ায়। এই বাজার যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব হারাবে। ভবিষ্যতে এই বাজারের ইজারা নিয়ে কেউ বাজার ডাকবে না। এতে সরকার ক্ষতির সমুক্ষীন হবে।

এই ব্যাপারে সাহেবাবাদ বাজারের ইজারাদার ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য হাজী মোঃ দুলাল সরকার জানান, আগে প্রচুর গরু-ছাগল হাটে উঠতো। বর্তমানে দেখামাত্র কয়েকটি গরু উঠে। গত ১ বছর যাবৎ প্রচুর লোকসান হচ্ছে। কয়েকশত গরু বাজারে উঠতো। কিন্তু কুটি বাজার ও বড়ধুশিয়া বাজার মালিকানাধীন হওয়ায় সাহেবাবাদ বাজার ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ছে। এতে করে ধ্বংসের পথে ২শত বছরের পুরনো বাজারটি। এতে রাজস্ব হারাবে সরকার।

তিনি প্রশাসনের কাছে সুদৃষ্টি আবেদন করে বলেন, অন্তত ২শত বছরের পুরনো বাজারটি যেন টিকে থাকে। এতে করে সরকার রাজস্ব পাবে। না হলে ক্ষতির সমুক্ষীন হতে হবে। তিনি বিশ্বাস করেন, প্রশাসন অচিরেই এই বাজারকে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় কাজ করবেন।