০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ভারতে গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণ মামলায় সাবেক এমপি’র যাবজ্জীবন কারাদণ্ড নারীদের ধ্বংস করা হচ্ছে, রাজনীতি করব না: ফেসবুক লাইভে বৈষম্যবিরোধী নেত্রী শাহরাস্তিতে বিএনপি আয়োজিত সদস্য ফরম নবায়ন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কুবিতে একাডেমিক ও প্রায়োগিক নৃবিজ্ঞান বিষয়ক সেমিনার শাহরাস্তিতে ভুল চিকিৎসায় গৃহবধূর মৃত্যু: হাসপাতাল ভাঙচুর ও তালাবদ্ধ কুমিল্লায় র‍্যাবের টহলে গ্রেফতার এক হাজারের বেশি; মহাসড়কে নিরাপত্তা জোরদার শাহরাস্তির মেহের দক্ষিণে বিএনপির সদস্য ফরম নবায়ন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত চৌদ্দগ্রামে কাশিনগর ইউনিয়ন উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণপাড়ায় “মানবতার সেবায় রক্তদান ফাউন্ডেশন” এর প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিক উপলক্ষে সংবর্ধনা মুরাদনগর জান্নাত মেডিকেলের কার্যক্রম বন্ধের তিনদিন পর চালু

ভারতে গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণ মামলায় সাবেক এমপি’র যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

  • তারিখ : ১১:৪৪:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫
  • 41

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।

ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের জনতা দল (সেক্যুলার)-এর সাবেক সংসদ সদস্য প্রজ্বল রেভান্নাকে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বেঙ্গালুরুর একটি বিশেষ আদালত। শনিবার (২ আগস্ট) সকালে এই রায় ঘোষণা করা হয়। আদালতের বিচারক সন্তোষ গজনান ভাট প্রজ্বলকে দোষী সাব্যস্ত করে এই দণ্ড প্রদান করেন।

৩৪ বছর বয়সী প্রজ্বল রেভান্না ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচ. ডি. দেবগৌড়ার নাতি এবং কর্ণাটকের সাবেক মন্ত্রী এইচ. ডি. রেভান্নার ছেলে। তাঁর চাচা এইচ. ডি. কুমারস্বামী কর্ণাটকের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী।

২০২৪ সালে কর্ণাটকের হাসান জেলায় প্রজ্বলের বিরুদ্ধে চারটি ধর্ষণ মামলা হয়। শনিবার এক মামলার রায় ঘোষিত হলেও বাকি তিনটির বিচার এখনো চলমান।


প্রথম মামলাটি এক গৃহপরিচারিকার দায়ের করা, যিনি রেভান্না পরিবারের মালিকানাধীন একটি ফার্ম হাউসে কাজ করতেন। অভিযোগ অনুযায়ী, প্রজ্বল ‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে’ ওই নারীকে ধর্ষণ করেন এবং পরে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

জানা গেছে, অপকর্মের ভিডিও নিজেই নিজের মুঠোফোনে ধারণ করতেন প্রজ্বল। ২০২৪ সালের ২৬ এপ্রিল, লোকসভা নির্বাচনের আগমুহূর্তে এসব ভিডিও ফাঁস হলে দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ভিডিও ফাঁসের পর তিনি জার্মানিতে পালিয়ে যান। ৩১ মে দেশে ফিরলে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তিনি তখন থেকেই কারাগারে রয়েছেন।

তদন্তে দেখা গেছে, ভুক্তভোগী নারীর শরীর ও কাপড়ে পাওয়া ডিএনএ নমুনার সঙ্গে প্রজ্বলের ডিএনএ মিলে গেছে। ফরেনসিক পরীক্ষায় তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ নিশ্চিত হয়।

তদন্তে সহায়তা করেন প্রজ্বলের সাবেক গাড়িচালক কার্তিক এন। তিনি আদালতে জানান, প্রজ্বলের ফোনে তিনি দুই হাজারের বেশি আপত্তিকর ছবি ও অন্তত ৫০টি যৌন নির্যাতনের ভিডিও পেয়েছেন। এসব তথ্যই মামলার অন্যতম প্রধান প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

অন্য মামলাগুলোর মধ্যে একটিতে জনতা দলের এক নারী পঞ্চায়েত সদস্যের ওপর হুমকি ও যৌন জবরদস্তির অভিযোগ রয়েছে। আরেক মামলায় অভিযোগকারী একজন নারী রাঁধুনি এবং তাঁর কন্যা, যাঁরা রেভান্না পরিবারের জন্য কাজ করতেন।

তবে প্রজ্বলের পরিবার এসব অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করেছে। তাঁদের অভিযোগ, কর্ণাটকের বর্তমান শাসক দল কংগ্রেস এসব অভিযোগের পেছনে রয়েছে এবং তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের অংশ হিসেবেই এই মামলা ও রায়।

এসব ঘটনার প্রভাব পড়েছে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও। নিজ এলাকার শক্ত ঘাঁটি হাসান আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান প্রজ্বল রেভান্না।

ভারতে গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণ মামলায় সাবেক এমপি’র যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

তারিখ : ১১:৪৪:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।

ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের জনতা দল (সেক্যুলার)-এর সাবেক সংসদ সদস্য প্রজ্বল রেভান্নাকে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বেঙ্গালুরুর একটি বিশেষ আদালত। শনিবার (২ আগস্ট) সকালে এই রায় ঘোষণা করা হয়। আদালতের বিচারক সন্তোষ গজনান ভাট প্রজ্বলকে দোষী সাব্যস্ত করে এই দণ্ড প্রদান করেন।

৩৪ বছর বয়সী প্রজ্বল রেভান্না ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচ. ডি. দেবগৌড়ার নাতি এবং কর্ণাটকের সাবেক মন্ত্রী এইচ. ডি. রেভান্নার ছেলে। তাঁর চাচা এইচ. ডি. কুমারস্বামী কর্ণাটকের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী।

২০২৪ সালে কর্ণাটকের হাসান জেলায় প্রজ্বলের বিরুদ্ধে চারটি ধর্ষণ মামলা হয়। শনিবার এক মামলার রায় ঘোষিত হলেও বাকি তিনটির বিচার এখনো চলমান।


প্রথম মামলাটি এক গৃহপরিচারিকার দায়ের করা, যিনি রেভান্না পরিবারের মালিকানাধীন একটি ফার্ম হাউসে কাজ করতেন। অভিযোগ অনুযায়ী, প্রজ্বল ‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে’ ওই নারীকে ধর্ষণ করেন এবং পরে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

জানা গেছে, অপকর্মের ভিডিও নিজেই নিজের মুঠোফোনে ধারণ করতেন প্রজ্বল। ২০২৪ সালের ২৬ এপ্রিল, লোকসভা নির্বাচনের আগমুহূর্তে এসব ভিডিও ফাঁস হলে দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ভিডিও ফাঁসের পর তিনি জার্মানিতে পালিয়ে যান। ৩১ মে দেশে ফিরলে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তিনি তখন থেকেই কারাগারে রয়েছেন।

তদন্তে দেখা গেছে, ভুক্তভোগী নারীর শরীর ও কাপড়ে পাওয়া ডিএনএ নমুনার সঙ্গে প্রজ্বলের ডিএনএ মিলে গেছে। ফরেনসিক পরীক্ষায় তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ নিশ্চিত হয়।

তদন্তে সহায়তা করেন প্রজ্বলের সাবেক গাড়িচালক কার্তিক এন। তিনি আদালতে জানান, প্রজ্বলের ফোনে তিনি দুই হাজারের বেশি আপত্তিকর ছবি ও অন্তত ৫০টি যৌন নির্যাতনের ভিডিও পেয়েছেন। এসব তথ্যই মামলার অন্যতম প্রধান প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

অন্য মামলাগুলোর মধ্যে একটিতে জনতা দলের এক নারী পঞ্চায়েত সদস্যের ওপর হুমকি ও যৌন জবরদস্তির অভিযোগ রয়েছে। আরেক মামলায় অভিযোগকারী একজন নারী রাঁধুনি এবং তাঁর কন্যা, যাঁরা রেভান্না পরিবারের জন্য কাজ করতেন।

তবে প্রজ্বলের পরিবার এসব অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করেছে। তাঁদের অভিযোগ, কর্ণাটকের বর্তমান শাসক দল কংগ্রেস এসব অভিযোগের পেছনে রয়েছে এবং তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের অংশ হিসেবেই এই মামলা ও রায়।

এসব ঘটনার প্রভাব পড়েছে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও। নিজ এলাকার শক্ত ঘাঁটি হাসান আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান প্রজ্বল রেভান্না।