১০:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ফকির বাজার আনন্দ আইডিয়া ইসলামিক স্কুলে মিলাদ ও পুরস্কার বিতরণ কুমিল্লার দেবিদ্বারে মাদক কেলেঙ্কারিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা বহিষ্কার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তার মা হত্যায় ক্লাস স্থগিত ঘোষণা কুমিল্লায় মা-মেয়ে খুন, সিসিটিভি ফুটেজে রহস্যজনক ব্যক্তির প্রবেশ-প্রস্থান ব্রাহ্মণপাড়ায় বিশুদ্ধ পানির নামে অস্বাস্থ্যকর পানি বিক্রি, ব্যবসায়ীকে জরিমানা কুমিল্লায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ও মায়ের হত্যাকাণ্ড: র‌্যাবের হাতে একজন আটক কুবি শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন ও তার মায়ের হত্যার বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন কুমিল্লা একটি বাসা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ও মায়ের লাশ উদ্ধার দাউদকান্দি উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য পদ নবায়ন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত দেবিদ্বারে উঠান বৈঠকে হাসনাত আব্দুল্লাহ “হোন্ডা গুন্ডার রাজনীতি আর চলবে না”

মাইক্রোবাস চালকের ছুরিকাঘাতে আহত কুবি শিক্ষার্থী

  • তারিখ : ১১:০১:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর ২০২১
  • 8

কুবি প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার পদুয়ার বাজারে মাইক্রোবাস চালকের ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাহমুদুল হাসান সুজন নামের এক শিক্ষার্থী। আহত শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পদুয়া বাজার বিশ্বরোড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এসময় তাকে বাচাঁতে গেলে মারধরের শিকার হন সুজনের সহপাঠি নূর মোহাম্মদ।

প্রত্যাক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, সুজন ও নূর মোহাম্মদ কোটবাড়ি বিশ্বরোড থেকে পদুয়ার বাজার গামী ঢাকা মেট্রো চ-১৪১৮৭৫ নাম্বারের মাইক্রোবাসে উঠেন। মাইক্রোবাসে উঠার পরপরই সিটে বসাকে কেন্দ্র করে তাদের সাথে চালকের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে অকথ্য ভাষায় গালি দেন চালক। গাড়ি থেকে নেমে গালি দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে সুজনকে ছুরিঘাত করে চালক। এসময় নূর মোহাম্মদ প্রতিবাদ জানালে তাকেও মারধর করে। পরে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত চালক।

আহত সুজন বলেন, ফেনী যাওয়া জন্য পদুয়া বাজার যাচ্ছিলাম। মাইক্রোবাসে উঠার পর চালকের সাথে আমাদের বাকবিতণ্ডা হলে চালক আমাদের উপর রেগে যান। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ছুরি দিয়ে আমাকে আহত করে পালিয়ে যায়। আমার সাথে থাকা নূর মোহাম্মদ ও কয়েকজন পথচারী আমাকে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যায়।

নূর মোহাম্মদ বলেন, মাইক্রোবাস চালক আমাদের সাথে খারাপ আচরণ ও গালাগালি করায় আমরা প্রতিবাদ জানালে আমাদের মারধর করে পালিয়ে যায়।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ সার্কেলের ট্রাফিক পরিদর্শক রওশন মুরাদ বলেন, আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি। আমরা এটা মীমাংসা করার চেষ্টা করব। অন্যথায় থানার মাধ্যমে আইননুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীকে মারধরের বিষয়টা জানতে পেরেছি। সদর দক্ষিণ সার্কেলের ট্রাফিক পরিদর্শককে বিষয়টি অবগত করেছি। পরিবহণ মালিক পক্ষের প্রতিনিধিদের সাথে বসে বিষয়টি সমাধান করা হবে।

উল্লেখ্য, আগেও বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অনেকেই ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন। গত ৮ অক্টোবর পদুয়া বাজার এলাকায় গাড়ি চালকদের হাতে অপহরণের শিকার হন বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন। অপহরণে ব্যর্থ হয়ে তার চোখে মরিচের গুড়া দিয়ে পালিয়ে যান ছিনতাইকারীরা। বিভিন্ন সময় এরকম ঘটনার পরেও আইনশংঙ্খলা বাহিনীকে তেমন কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যাইনি। ফলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে চালকদের হাতে যাত্রীদের লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা।

error: Content is protected !!

মাইক্রোবাস চালকের ছুরিকাঘাতে আহত কুবি শিক্ষার্থী

তারিখ : ১১:০১:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর ২০২১

কুবি প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার পদুয়ার বাজারে মাইক্রোবাস চালকের ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাহমুদুল হাসান সুজন নামের এক শিক্ষার্থী। আহত শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পদুয়া বাজার বিশ্বরোড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এসময় তাকে বাচাঁতে গেলে মারধরের শিকার হন সুজনের সহপাঠি নূর মোহাম্মদ।

প্রত্যাক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, সুজন ও নূর মোহাম্মদ কোটবাড়ি বিশ্বরোড থেকে পদুয়ার বাজার গামী ঢাকা মেট্রো চ-১৪১৮৭৫ নাম্বারের মাইক্রোবাসে উঠেন। মাইক্রোবাসে উঠার পরপরই সিটে বসাকে কেন্দ্র করে তাদের সাথে চালকের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে অকথ্য ভাষায় গালি দেন চালক। গাড়ি থেকে নেমে গালি দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে সুজনকে ছুরিঘাত করে চালক। এসময় নূর মোহাম্মদ প্রতিবাদ জানালে তাকেও মারধর করে। পরে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত চালক।

আহত সুজন বলেন, ফেনী যাওয়া জন্য পদুয়া বাজার যাচ্ছিলাম। মাইক্রোবাসে উঠার পর চালকের সাথে আমাদের বাকবিতণ্ডা হলে চালক আমাদের উপর রেগে যান। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ছুরি দিয়ে আমাকে আহত করে পালিয়ে যায়। আমার সাথে থাকা নূর মোহাম্মদ ও কয়েকজন পথচারী আমাকে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যায়।

নূর মোহাম্মদ বলেন, মাইক্রোবাস চালক আমাদের সাথে খারাপ আচরণ ও গালাগালি করায় আমরা প্রতিবাদ জানালে আমাদের মারধর করে পালিয়ে যায়।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ সার্কেলের ট্রাফিক পরিদর্শক রওশন মুরাদ বলেন, আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি। আমরা এটা মীমাংসা করার চেষ্টা করব। অন্যথায় থানার মাধ্যমে আইননুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীকে মারধরের বিষয়টা জানতে পেরেছি। সদর দক্ষিণ সার্কেলের ট্রাফিক পরিদর্শককে বিষয়টি অবগত করেছি। পরিবহণ মালিক পক্ষের প্রতিনিধিদের সাথে বসে বিষয়টি সমাধান করা হবে।

উল্লেখ্য, আগেও বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অনেকেই ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন। গত ৮ অক্টোবর পদুয়া বাজার এলাকায় গাড়ি চালকদের হাতে অপহরণের শিকার হন বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন। অপহরণে ব্যর্থ হয়ে তার চোখে মরিচের গুড়া দিয়ে পালিয়ে যান ছিনতাইকারীরা। বিভিন্ন সময় এরকম ঘটনার পরেও আইনশংঙ্খলা বাহিনীকে তেমন কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যাইনি। ফলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে চালকদের হাতে যাত্রীদের লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা।