০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ব্রাহ্মণপাড়ায় ৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী আমেনা বেগম গ্রেপ্তার বুড়িচংয়ে কালভার্টের নিচ থেকে ১২ ফুট অজগর উদ্ধার, বনে অবমুক্ত কুমিল্লায় নতুন ইউটার্নে লরিচাপায় প্রবাসী নিহত; মহাসড়ক অবরোধ হোমনায় শিক্ষার্থীদের চলাচলের পথে দেয়াল নির্মাণ চেষ্টার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কুমিল্লায় মিথ্যাচারের শিকার পুলিশ কর্মকর্তা, নেপথ্যে যানজট নিরসনে কঠোর ভূমিকা মুরাদনগর জুরে শিশু-কিশোরদের হাতে অটোরিকশা; দুর্ঘটনা ও ভোগান্তি চরমে কুমিল্লায় সেনা অভিযানে মাদক ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার, আটক ১ কুমিল্লার মুরাদনগরে পোড়া তেলে শিশু খাদ্য তৈরি, ১ লাখ টাকা জরিমানা কুমিল্লায় কিস্তির চাপ সহ্য করতে না পেরে প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা ২০২৬ সালে নতুন ক্যাম্পাসে উদ্বোধন হবে ৪টি হল ও ৪টি অ্যাকাডেমিক ভবন: কুবি উপাচার্য

মুরাদনগর জুরে শিশু-কিশোরদের হাতে অটোরিকশা; দুর্ঘটনা ও ভোগান্তি চরমে

  • তারিখ : ০৯:২৫:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫
  • 162

মনির হোসাইন।।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের অলিগলিতে ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। এসব যানবাহনের নেই কোনো বৈধ লাইসেন্স, ফিটনেস কিংবা রোড পারমিট। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, উপজেলার শত শত অটোরিকশার চালকের অধিকাংশই অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু-কিশোর। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, তৈরি হচ্ছে যাত্রী ভোগান্তি ও জনদুর্ভোগ।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, এসব অদক্ষ চালকেরা প্রতিষ্ঠানিক ও ব্যবহারিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় যাত্রীদের সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। তাদের অনেকেই জোর করে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১০ টাকার ভাড়ার জায়গায় যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হয় ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। আবার অনেকে ভাড়া দিতে আপত্তি জানালে যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে।

এলোমেলো গাড়ি থামিয়ে রাখা, সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং যত্রতত্র অটোরিকশা পার্কিং করার কারণে যানজটও নিত্যদিনের দৃশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্দিষ্ট কোনো স্ট্যান্ড না থাকায় চালকেরা বাজার, মোড় কিংবা ব্যস্ত সড়কের মাঝেই রিকশা দাঁড় করিয়ে রাখে, এতে পথচারী ও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।

যাত্রীদের অভিজ্ঞতা মতে, শিশু-কিশোর চালকেরা রাস্তায় ওঠার পর ডান-বাম কিংবা সড়কচিহ্ন কোনো কিছুর তোয়াক্কা করে না। দ্রুতগতিতে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাতে গিয়ে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। অনেক ক্ষেত্রে যাত্রীদের আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে।

উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের কোথাও থেকে এসব অটোরিকশার লাইসেন্স প্রদান করা হয়নি। তারপরও প্রতিদিন অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ভাড়া নির্ধারণের কোনো তালিকা না থাকায় তাদের ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় ও বেপরোয়া চলাচল অব্যাহত রয়েছে।

সচেতন মহলের অভিযোগ, প্রশাসনের কঠোর নজরদারির অভাব কিংবা মাসিক মাসোহারার কারণে এসব অবৈধ রিকশা অবাধে চলছে। এতে যেমন অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকের সংখ্যা বাড়ছে, তেমনি দুর্ঘটনা ও জনভোগান্তিও দিন দিন বাড়ছে। পাশাপাশি সরকারও হারাচ্ছে বিপুল অংকের রাজস্ব।

এ বিষয়ে স্থানীয় সচেতন মহল দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, ইউনিয়ন পরিষদ বিধি মোতাবেক লাইসেন্স প্রদান, নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা প্রকাশ এবং নিয়মিত অভিযান চালিয়ে এসব শিশু-কিশোর চালক ও লাইসেন্সবিহীন অটোরিকশার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। নইলে মুরাদনগরের সড়কগুলোতে দুর্ঘটনা আরও ভয়াবহ রূপ নেবে।।

error: Content is protected !!

মুরাদনগর জুরে শিশু-কিশোরদের হাতে অটোরিকশা; দুর্ঘটনা ও ভোগান্তি চরমে

তারিখ : ০৯:২৫:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

মনির হোসাইন।।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের অলিগলিতে ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। এসব যানবাহনের নেই কোনো বৈধ লাইসেন্স, ফিটনেস কিংবা রোড পারমিট। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, উপজেলার শত শত অটোরিকশার চালকের অধিকাংশই অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু-কিশোর। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, তৈরি হচ্ছে যাত্রী ভোগান্তি ও জনদুর্ভোগ।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, এসব অদক্ষ চালকেরা প্রতিষ্ঠানিক ও ব্যবহারিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় যাত্রীদের সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। তাদের অনেকেই জোর করে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১০ টাকার ভাড়ার জায়গায় যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হয় ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। আবার অনেকে ভাড়া দিতে আপত্তি জানালে যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে।

এলোমেলো গাড়ি থামিয়ে রাখা, সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং যত্রতত্র অটোরিকশা পার্কিং করার কারণে যানজটও নিত্যদিনের দৃশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্দিষ্ট কোনো স্ট্যান্ড না থাকায় চালকেরা বাজার, মোড় কিংবা ব্যস্ত সড়কের মাঝেই রিকশা দাঁড় করিয়ে রাখে, এতে পথচারী ও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।

যাত্রীদের অভিজ্ঞতা মতে, শিশু-কিশোর চালকেরা রাস্তায় ওঠার পর ডান-বাম কিংবা সড়কচিহ্ন কোনো কিছুর তোয়াক্কা করে না। দ্রুতগতিতে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাতে গিয়ে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। অনেক ক্ষেত্রে যাত্রীদের আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে।

উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের কোথাও থেকে এসব অটোরিকশার লাইসেন্স প্রদান করা হয়নি। তারপরও প্রতিদিন অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ভাড়া নির্ধারণের কোনো তালিকা না থাকায় তাদের ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় ও বেপরোয়া চলাচল অব্যাহত রয়েছে।

সচেতন মহলের অভিযোগ, প্রশাসনের কঠোর নজরদারির অভাব কিংবা মাসিক মাসোহারার কারণে এসব অবৈধ রিকশা অবাধে চলছে। এতে যেমন অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকের সংখ্যা বাড়ছে, তেমনি দুর্ঘটনা ও জনভোগান্তিও দিন দিন বাড়ছে। পাশাপাশি সরকারও হারাচ্ছে বিপুল অংকের রাজস্ব।

এ বিষয়ে স্থানীয় সচেতন মহল দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, ইউনিয়ন পরিষদ বিধি মোতাবেক লাইসেন্স প্রদান, নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা প্রকাশ এবং নিয়মিত অভিযান চালিয়ে এসব শিশু-কিশোর চালক ও লাইসেন্সবিহীন অটোরিকশার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। নইলে মুরাদনগরের সড়কগুলোতে দুর্ঘটনা আরও ভয়াবহ রূপ নেবে।।