মনির হোসাইন।।
রুমের মধ্যে ধূমপান করতে নিষেধ করায় কুমিল্লার মুরাদনগরের কবির ভূঁইয়া (৪৫) নামে এক সৌদি আরব প্রবাসীর উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে সৌদি আরবের রিয়াদের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ওই প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় রিয়াদ পুলিশের নিকট সাইফুল ইসলাম পলক নামে এক রুমমেটকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সাইফুল ইসলাম পলক নোয়াখালী সদরের পশ্চিম শোলকিয়া, দত্তবাড়ি গ্রামের মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে। ঘটনার পর থেকে সাইফুল ইসলাম পলক পলাতক রয়েছেন।
নিহত কবির ভূঁইয়া উপজেলার শ্রীকাইল ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে। সে সৌদি আরবের রিয়াদে ৮ বছর যাবত একটি বলদিয়ার কোম্পানিতে চাকরি করতেন। ব্যক্তি জীবনে কবির ভূঁইয়া ৪ সন্তানের জনক।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কবির ভূঁইয়া সৌদি আরবের রিয়াদে বলদিয়া কোম্পানিতে চাকরি করতেন । সেই সুবাদে একটি রুমে অন্য আরো ৪ জন প্রবাসীর সাথে একটি রুম শেয়ার করে বসবাস করতেন। সোমবার নিজ কর্মস্থলের কাজ শেষ করে রুমে ফিরেন। এ সময় রুমের মধ্যে সাইফুল ইসলাম পলক ধূমপান করলে কবির ভূঁইয়া তাকে রুমের বাহিরে ধূমপান করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাইফুল ইসলাম পলক কবির ভূঁইয়ার উপর হামলা করেন। এ সময় কবীর ভূঁইয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে বাকি রুমের লোকজন রিয়াদের একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। হামলায় কবির ভূঁইয়ার কিডনিতে গুরুতর জখম হয়। বুধবার রাতে রিয়াদে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কবির ভূঁইয়ার মৃত্যু হয়।
নিহতের বড় ভাই ফরিদ ভূঁইয়া বলেন, আমার ভাইয়ের সাথে কথা হয়েছিল তার ওপর হামলার পরপরই। তিনি জানিয়েছেন একটি ছোট্ট রুমের মধ্যে আমরা ৫ জন মিলে বসবাস করতাম। সেই রুমের মধ্যে সিগারেট খেলে দম বন্ধ হয়ে পড়ে তাই সাইফুল ইসলাম পলককে রুমের বাহিরে গিয়ে ধূমপান করতে বলি। একথায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে।
তার মারধরার কারনে কিডনিতে জখম হয় আমার ভাই মৃত্যুবরণ করেন। আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে সাইফুল ইসলাম পলকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।
তাছাড়া বাংলাদেশ সরকারের নিকট দাবি করছি লাশ যেন দ্রুত বাংলাদেশের প্রেরণ করার ব্যবস্থা করা হয়।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page