০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
Although not, the greatest victories into the Playtech’s community provides happened into the most other popular online slots Together with, the latest promise of future discount password products adds an element of expectation to have what exactly is ahead Slots be noticeable due to their vibrant image and enjoyable templates কুবিতে ‘ডাটা গভর্নেন্স অ্যান্ড ইন্টারঅপারেবিলিটি’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ৮৬ লাখ টাকার ভারতীয় মোবাইল ডিসপ্লে আটক দেবিদ্বারে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া প্রতিরোধে ‘ক্লিনিং ক্যাম্পেইন’ উদ্বোধন Free Gambling Enterprise Games for Enjoyable: A Total Guide চৌদ্দগ্রামে মাদরাসা শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানী: পল্লী চিকিৎসক ইয়াছিন আটক কুমিল্লায় শ্বশুরবাড়ির সেফটি ট্যাঙ্কিতে জামাতার লাশ; স্ত্রী, দুই পুত্র ও দুই শ্যালক আটক কুমিল্লায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৪ মাজারে হামলা ভাঙচুর আগুন

আ’লীগ নেতাকে হুমকি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল এমপি প্রাণ গোপাল

  • তারিখ : ০৬:৪১:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০২৩
  • 20

নিউজ ডেস্ক।।
আবারও আলোচনায় কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) সংসদীয় আসনের সাংসদ অধ্যাপক ডা: প্রাণ গোপাল । এবার মুঠোফোনে চান্দিনার মহিচাইল ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা মফিজুল ইসলামকে হুমকি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলেন এমপি প্রাণ গোপাল।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) চান্দিনার মহিচাইলে আওয়ামী লীগের শান্তি মিছিল করার প্রাক্কালে এমপি প্রাণ গোপাল মুঠোফোনে এই হুমকি দেন। পরবর্তীতে চান্দিনা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) গিয়াস সাব্বির মুঠোফোনে ওই আওয়ামীলীগ নেতাকে মিছিল বন্ধ করতে ও থানায় গিয়ে এক্ষুনি দেখা করতে বলতে শোনা যায়।

সাংসদ ডা. প্রাণ গোপাল মুঠোফোনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মফিজুল ইসলামকে বলেন-টিটুর (চান্দিনা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি মুন্তাকিম আশরাফ টিটু) কি মিছিল বের করতাছো মহিচাইল বাজারে ? তখন মফিজুল ইসলাম উত্তরে বলেন- টিটুর না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিছিল বের করতাছি। তখন এমপি প্রাণ গোপাল আবার বলেন- মিছিলে টিটুর নাম উচ্চারিত হয়, একবারও যাতে না শুনি। টিটুর নামে যদি কোন শ্লোগান হয়, তাহলে এটার জবাব আমি তোমার কাছ থেকে নিবো। এটা আমার শেষ কথা। তখন মফিজুল ইসলাম বলেন- স্যার, আমার অপরাধ কি ? তখন এমপি প্রাণ গোপাল আবার বলেন- তুমি টিটুর নামে কেন শ্লোগান দিবা ? তখন মফিজুল ইসলাম বলেন- টিটু তো আওয়ামীলীগ করে, আমি আওয়ামী লীগ করি এবং আপনি আওয়ামী লীগ করেন। আপনি তো আমারে একসেপ্ট (গ্রহণ) করেননি।আমি এখনো দলেই আছি। আমার অপরাধটা কি ? তখন এমপি ডা. প্রাণ গোপাল রাগান্বিত হয়ে বলেন- অপরাধটা টের পাইবি, টের পাইবি, আমি আসতাছি কিছুক্ষণ পরেই। এই বলে ফোন কেটে দেন এমপি ডা. প্রাণ গোপাল।

এর কিছুক্ষণ পরেই চান্দিনা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) গিয়াস সাব্বির মুঠোফোনে আওয়ামীলীগ নেতা মফিজুল ইসলামকে থানায় যাওয়ার জন্য বার বার বলে। এক পর্যায়ে মিছিল বন্ধ করেছে কি না জানতে চাইলে মফিজুল ইসলাম বলেন মিছিলটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। মিছিল করিনি।

শেখ হাসিনার মিছিল বন্ধ করা, মুন্তাকিম আশরাফ টিটুর নামে শ্লোগান না দেয়ার হুমকির ফোনালাপ ফাঁস হওয়াতে তৃণমূল আওয়ামীলীগে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা জানান, স্থানীয় সাংসদ এর আগেও অনেকবার বির্তকিত মন্তব্য, কর্মকান্ড করেছে, যার ভিডিও ফেসবুকে অনেকবার ভাইরাল হয়েছে। রাজনীতি, সমাবেশ করার অধিকার সবার রয়েছে। টিটু তো অন্য দল করে না। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি চান্দিনার প্রাণপুরুষ সাবেক ডেপুটি স্পীকার, প্রয়াত সাংসদ অধ্যাপক আলী আশরাফের সন্তান। তার কি কোন রাজনীতি করার অধিকার নেই এখানে ? তাঁর নামে শ্লোগান দিলে কি সমস্যা মাননীয় সাংসদের , তা বোধগম্য নয়। উনার এমন আচরণ কাম্য নয়।

ফোনালাপের বিষয়ে জানতে চাইলে চান্দিনা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) গিয়াস সাব্বির জানান, আমি মিছিল বন্ধ করতে বলিনি। মফিজুল ইসলাম আমার পূর্বের পরিচিত। উনাকে চা খাওয়ার জন্য থানায় আসতে বলেছি।

error: Content is protected !!

আ’লীগ নেতাকে হুমকি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল এমপি প্রাণ গোপাল

তারিখ : ০৬:৪১:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০২৩

নিউজ ডেস্ক।।
আবারও আলোচনায় কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) সংসদীয় আসনের সাংসদ অধ্যাপক ডা: প্রাণ গোপাল । এবার মুঠোফোনে চান্দিনার মহিচাইল ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা মফিজুল ইসলামকে হুমকি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলেন এমপি প্রাণ গোপাল।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) চান্দিনার মহিচাইলে আওয়ামী লীগের শান্তি মিছিল করার প্রাক্কালে এমপি প্রাণ গোপাল মুঠোফোনে এই হুমকি দেন। পরবর্তীতে চান্দিনা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) গিয়াস সাব্বির মুঠোফোনে ওই আওয়ামীলীগ নেতাকে মিছিল বন্ধ করতে ও থানায় গিয়ে এক্ষুনি দেখা করতে বলতে শোনা যায়।

সাংসদ ডা. প্রাণ গোপাল মুঠোফোনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মফিজুল ইসলামকে বলেন-টিটুর (চান্দিনা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি মুন্তাকিম আশরাফ টিটু) কি মিছিল বের করতাছো মহিচাইল বাজারে ? তখন মফিজুল ইসলাম উত্তরে বলেন- টিটুর না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিছিল বের করতাছি। তখন এমপি প্রাণ গোপাল আবার বলেন- মিছিলে টিটুর নাম উচ্চারিত হয়, একবারও যাতে না শুনি। টিটুর নামে যদি কোন শ্লোগান হয়, তাহলে এটার জবাব আমি তোমার কাছ থেকে নিবো। এটা আমার শেষ কথা। তখন মফিজুল ইসলাম বলেন- স্যার, আমার অপরাধ কি ? তখন এমপি প্রাণ গোপাল আবার বলেন- তুমি টিটুর নামে কেন শ্লোগান দিবা ? তখন মফিজুল ইসলাম বলেন- টিটু তো আওয়ামীলীগ করে, আমি আওয়ামী লীগ করি এবং আপনি আওয়ামী লীগ করেন। আপনি তো আমারে একসেপ্ট (গ্রহণ) করেননি।আমি এখনো দলেই আছি। আমার অপরাধটা কি ? তখন এমপি ডা. প্রাণ গোপাল রাগান্বিত হয়ে বলেন- অপরাধটা টের পাইবি, টের পাইবি, আমি আসতাছি কিছুক্ষণ পরেই। এই বলে ফোন কেটে দেন এমপি ডা. প্রাণ গোপাল।

এর কিছুক্ষণ পরেই চান্দিনা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) গিয়াস সাব্বির মুঠোফোনে আওয়ামীলীগ নেতা মফিজুল ইসলামকে থানায় যাওয়ার জন্য বার বার বলে। এক পর্যায়ে মিছিল বন্ধ করেছে কি না জানতে চাইলে মফিজুল ইসলাম বলেন মিছিলটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। মিছিল করিনি।

শেখ হাসিনার মিছিল বন্ধ করা, মুন্তাকিম আশরাফ টিটুর নামে শ্লোগান না দেয়ার হুমকির ফোনালাপ ফাঁস হওয়াতে তৃণমূল আওয়ামীলীগে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা জানান, স্থানীয় সাংসদ এর আগেও অনেকবার বির্তকিত মন্তব্য, কর্মকান্ড করেছে, যার ভিডিও ফেসবুকে অনেকবার ভাইরাল হয়েছে। রাজনীতি, সমাবেশ করার অধিকার সবার রয়েছে। টিটু তো অন্য দল করে না। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি চান্দিনার প্রাণপুরুষ সাবেক ডেপুটি স্পীকার, প্রয়াত সাংসদ অধ্যাপক আলী আশরাফের সন্তান। তার কি কোন রাজনীতি করার অধিকার নেই এখানে ? তাঁর নামে শ্লোগান দিলে কি সমস্যা মাননীয় সাংসদের , তা বোধগম্য নয়। উনার এমন আচরণ কাম্য নয়।

ফোনালাপের বিষয়ে জানতে চাইলে চান্দিনা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) গিয়াস সাব্বির জানান, আমি মিছিল বন্ধ করতে বলিনি। মফিজুল ইসলাম আমার পূর্বের পরিচিত। উনাকে চা খাওয়ার জন্য থানায় আসতে বলেছি।