ঈদুল আজহায় ছিন্নমূল অসহায়দের খাবার জোগাচ্ছে মুভ ফর চেঞ্জ ফাউন্ডেশন

আলমগীর হোসেন।।
ওরা রাস্তায় থাকে। সেখানেই ঘুমায়। কিন্তু না খেয়ে কি ঘুমানো যায়?এ ভাবনা নাড়া দেয় মুভ ফর চেঞ্জ ফাউন্ডেশন সসদস্যদের কে । এরপরের তাদের ভাবনা অন্তত রাতের খাবারটা তো ওদের মুখে তুলে দেওয়া যায়।এরপর এগিয়ে আসা তাদের । তাদের উদ্যোগে ঈদের দিন ছিন্নমূল অসহায়দের খাবার যোগাচ্ছে মুভ ফর চেঞ্জ ফাউন্ডেশনস।

ঈদে বিভিন্ন এলাকায় ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে খাবার বিতরণ শুরু করেছে মুভ ফর চেঞ্জ ফাউন্ডেশন।নিজেরা ঘরোয়া পরিবেশে রান্না করেন। জনসমাগম এড়িয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজেরাই খাবার তুলে দিচ্ছেন অনাহারী অসহায় মানুষের হাতে। ঈদের দিন ৩০০ থেকে ৪০০ জন মানুষকে খাদ্য সরবরাহ করেন বলে জানান সংগঠনটির সদস্যরা। ঈদের তিন দিনের আয়োজন করেছেন। বিভিন্ন এলাকার ছিন্নমূল, ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে রাতের খাবার তুলে দেওয়ার ইচ্ছা আছে তাঁদের। প্রাথমিকভাবে শহরে ও গ্রামে ঈদের দিন ও পারদিন ছিন্নমূল অসহায় এতিমখানা তে খাবার জোগানোই মুভ ফর চেঞ্জ ফাউন্ডেশন এর লক্ষ্য।

মুড ফর চেঞ্জ ফাউন্ডেশন সংগঠনের সভাপতি রবিউল ইসলাম নয়ন বলেন.ইসলাম সব সময় ভ্রাতৃত্বের শিক্ষা দেয়। অসহায় অসচ্ছল মানুষের সেবায় এগিয়ে আসা ইসলামে অন্যতম ইবাদত। আল্লাহ যাকে অর্থ-সম্পদ দিয়েছেন তিনি সে সম্পদ থেকে অভাবী মানুষকে সাহায্য করলে তাতে আল্লাহতায়ালা খুশি হন।এ ধরনের মানবিক কর্তব্য পালন রাত জেগে অবিরাম নফল নামাজ আদায় ও অবিরত নফল রোজার সমতুল্য।মুমিন মাত্রই একে অন্যের ভাই। এক মুমিন অপর মুমিনের মধ্যে এমন ভালোবাসা ও আন্তরিকতা থাকবে যে, পরস্পর একটি দেহের মতো মনে হবে।আল্লাহতায়ালা কোরআনুল কারিমে এরশাদ করেন, ‘মুমিনরা পরস্পর ভাই ভাই।’ (সূরা হুজরাত,আয়াত:১০)

এ বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা ছাত্র ও রেডেক্স কুরিয়ারের চট্টগ্রাম জোন এর এইচ আর পাটনার মো.সাফায়াত হোসেন অনিক বলেন, ‘অসহায়,এতিম, বসতবাড়িহীন ও অনাহারী মানুষের অসহায়ত্ব আকাশছোঁয়া। তাই ছিন্নমূল ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে একবেলা খাবার তুলে দিতে পাড়া একটা বিশাল কাজ । আমরা এইসব সেবা মুলক কাজ অনেক ভাল লাগে মনে একটা শান্তি লাগে।তিনি আরো বলেন মহানবী (সা.) আরও বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুনিয়ায় অপরের একটি প্রয়োজন মিটিয়ে দেবে, পরকালে আল্লাহ তার ১০০ প্রয়োজন পূরণ করে দেবেন এবং বান্দার দুঃখ-দুর্দশায় কেউ সহযোগিতার হাত বাড়ালে আল্লাহ তার প্রতি করুণার দৃষ্টি দেন।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৫৬৬)।আমি চেষ্টা করি এই সব সেবামূলক কাজে নিজেকে জরিত রাখতে ।

মুড ফর চেঞ্জ ফাউন্ডেশন সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা জানান, মানবসেবাই প্রকৃত ধর্ম। আল্লাহকে কাছে পাওয়ার আরেকটি অন্যতম মাধ্যম হলো মানবসেবা। আমরা মহামারি বা বন্যা সব ধরনের পরিস্থিতিতে মানবতার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন তাঁরা। বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত পাইকগাছা এলাকায় প্রায় ১৫০টি পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সংগঠনটি। এ ছাড়া প্রতিবছর নিয়মিতভাবে কিছু কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি। এর মধ্যে আছে দেশের বন্যাকবলিত এলাকায় খাবার ও ওষুধ পৌঁছে দেওয়া, পথশিশুদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, এতিমখানায় খাদ্য বিতরণ, সাহ্‌রি ও ইফতার বিতরণ, ঈদের খাদ্য ও নতুন কাপড় বিতরণ, শীতবস্ত্র বিতরণ, অস্বচ্ছল পরিবারে চিকিৎসাসেবা, বিয়েতে আর্থিক অনুদান এবং রক্তদান কার্যক্রম।

এই কাজে সার্বিক সহযোগীতায় ছিলেন, মুভ ফর চেঞ্জ ফাউন্ডেশন এর উপদেষ্টা মোজাম্মেল হোসেন সুজন ও প্রবাসী উপদেষ্টা ও সদস্যরা৷

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  

You cannot copy content of this page