কুমিল্লায় আ’লীগ নেতাকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কুমিল্লা নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার দুর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের আলেখাচরে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হককে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। স্থানীয় কাজী জহিরুল ইসলাম জহিরকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ ৫-৬ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। শুক্রবার গভীররাতে নিহতে বাবা আবদুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় এই মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর পুলিশ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে তাদের নাম জানা যায়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এ মামলার এজহার নামীয় দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, কাজী জহিরের মাদক সেবন ও জুয়া খেলার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার কারণে সে ক্ষুব্ধ হয় ও আলেখাচর দক্ষিণ পাড়া জমিরিয়া তালিমুল কোরআন মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির দখল নিয়ে বিরোধের জের ধরে এনামুলকে হত্যা করা হয়।

মামলার ১০ আসামি হলেন আলেখাচর গ্রামের কাজী জহিরুল ইসলাম জহির (৪০), কাজী এনামুল হক (৩৮), কাজী নাজমুল হক (৪২), কাজী আমান উল্লাহ (২৭), আবু সাঈদ (২৩), আতিকুর রহমান পাভেল (৪৫), কাজী নিজাম উদ্দিন, বিল্লাল হোসেন (৩৫), ইয়ার আহম্মেদ (৪৮) ও জাকির হোসেন (৪৫)। এছাড়া ৫-৬ জন ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গতকাল শুক্রবার দুপুরে আলেখাচর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে শিশু পুত্র মিজবা ও ভাতিজা ইমতিয়াজকে সঙ্গে নিয়ে মসজিদ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন এনামুল হক। মসজিদ থেকে মাত্র কয়েক গজ দূরে হাজী সিরাজুল ইসলাম ভিলার সামনে পৌঁছলে কাজী জহিরুল ইসলামের নেতৃত্ব তার চাচাতো ভাই কাজী আমানুল ইসলাম ও আবু সাইদসহ আরও কয়েকজন মিলে এনামুলকে ঝাপটে ধরে ওই বাড়ির বাউন্ডারি ওয়ালের সঙ্গে ঠেকিয়ে গলায় বুকেও চুরিকাঘাত করে। তখন সে রক্তাক্ত অবস্থায় দৌড়ে ওই বাড়ির ভেতরে ঢুকে উঠানে লুটিয়ে পড়ে। আসামিরা তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে প্রথমে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে ও পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ নিয়ে যায়। বিকেল ৩টার দিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনামুল মারা যায়।

নিহত এনামুলের ছোট বোন নুরুন্নেছা বলেন, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় থেকে কাজী জহির ও আবুল মেম্বার এনামুলের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে আছেন। এনামুল তাদের পক্ষে আসলে ২০ লাখ টাকা দিবে বলেছিল তারা। তবুও এনামুল তাদের পক্ষে আসেনি। ওই সময় থেকেই তারা আমার ভাইকে হুমকি দিয়ে আসছিল। এভাবে তারা খুন করে ফেলবে কল্পনাও করতে পারিনি। আমরা ভাই হত্যার বিচার চাই।

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  

You cannot copy content of this page