মোঃ জহিরুল হক বাবু।।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রির অভিযোগে মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত নামের একজন ভোক্তার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কুমিল্লা মনোহরপুর এলাকার মেসার্স লাজ ফার্মাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ, রামঘাটলা ও কান্দিরপাড় এলাকার পোশাকের ব্রান্ড সপ, নিত্যপণ্যের বাজার, ফল ও ইফতারি বাজারে বিশেষ তদারকি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
এ সময় খাসির মাংস না থাকলেও মূল্য তালিকায় খাসির মাংস লিখে বিক্রি করায় বিসমিল্লাহ খাসি হাউজকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কম দামে তরমুজ কিনে বেশি দামে বিক্রি করায় মেসার্স শাহ আলম মিয়ার ফলের আড়তকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ইফতারিতে অনুমোদনহীন উপাদান মেশানোর অভিযোগে মেসার্স এম এন হোটেলকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আজকের অভিযানে ভোক্তা অধিকার বিরোধী নানা কর্মকাণ্ডের অভিযোগে মোট ৪ প্রতিষ্ঠানকে ৫৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও অভিযানে বর্ণিত এলাকার পোশাকের ব্রান্ড সপগুলোতে একাধিক মূল্য ট্যাগ লাগিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে কিনা, ক্রয় রশিদ সংরক্ষণ করা হচ্ছে কিনা তদারকি করা হয়। ইফতারি সামগ্রীতে অপদ্রব্য মেশানো হচ্ছে কিনা যাচাই করা হয়।
বেলা ১১টা থেকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ আছাদুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে জেলা স্যানিটারি পরিদর্শব ইসরাইল হোসেন, উপজেলা স্যানিটারি পরিদর্শক একে আজাদ এবং জেলা পুলিশের একটি দল উপস্থিত থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
জনস্বার্থে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান সহকারী পরিচালক মোঃ আছাদুল ইসলাম।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page