১১:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিএনপির মধ্যে বিভাজন স্বার্থান্বেষী মহলের দৌরাত্ম্যের কারণে – রশিদ আহমেদ হোসাইনী কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল; ৪৫ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাল মৃত্তিকায় শীতের নির্মল ছোঁয়া বিভিন্ন স্থানে বিড়ালের চোখ তুলে নেয়া ও প্রাণি নির্যাতনের প্রতিবাদে কুমিল্লায় মানববন্ধন চৌদ্দগ্রামে শুভপুর ইউনিয়ন দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের ১নং ওয়ার্ড নির্বাচনী প্রস্তুতি ও কর্মী সভা বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রী কলেজের রুবি জয়ন্তী উপলক্ষে ৯৭ ব্যাচের আলোচনা ও রেজিস্ট্রেশন দেবিদ্বারে সাড়ে তিন বছরের শিশুকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত চৌদ্দগ্রামে কাশিনগর ইউনিয়ন দক্ষিণ ৬নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের নির্বাচনী প্রস্তুতি ও কর্মী সভা বুড়িচংয়ে ৪৪টি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দুম্বার মাংস বিতরণ

কুমিল্লায় ৮ বাসযাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যাঃ সাবেক চেয়ারম্যান বাবা ও যুবলীগ নেতা ছেলে গ্রেপ্তার

  • তারিখ : ১০:৩৮:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 93

স্টাফ রিপোর্টার।।
বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আটজনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় হওয়া দ্বিতীয় মামলায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক এক চেয়ারম্যান ও তাঁর ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে বাবা আওয়ামী লীগ নেতা ও ছেলে যুবলীগ নেতা। আজ রোববার বেলা তিনটার দিকে তাঁদের কুমিল্লার আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মিয়ারবাজার এলাকা থেকে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যদের সহায়তায় বাবা-ছেলেকে গ্রেপ্তার করে চৌদ্দগ্রাম থানা–পুলিশ। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলা কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাউদ্দিন আহমেদ মজুমদার এবং তাঁর ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নেয়ামত উল্লাহ মজুমদার ওরফে রুমি।

থানা–পুলিশ সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে বাসে পেট্রলবোমা মেরে আটজনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় গত ১১ সেপ্টেম্বর নিজেকে বাসটির তত্ত্বাবধায়ক দাবি করে মো. আবুল খায়ের নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে কুমিল্লার আদালতে মামলা করেন। মামলার আসামির তালিকায় সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, তৎকালীন আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, র‍্যাবের তৎকালীন ডিজি বেনজীর আহমেদ, কুমিল্লার তৎকালীন পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তীসহ ১৩০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় ৫০ থেকে ৬০ জনকে। এ মামলায় সালাউদ্দিন আহমেদ মজুমদার ১১ নম্বর আসামি এবং তাঁর ছেলে নেয়ামত উল্লাহ মজুমদার ৭৯ নম্বর আসামি।

চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, মামলা হওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের এই দুই নেতা আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাতে উপজেলার মিয়াবাজার এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের কুমিল্লার আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ মামলার অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুর এলাকায় আট বাসযাত্রীকে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিন চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরিদর্শক নুরুজ্জামান হাওলাদার বাদী হয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরকে প্রধান আসামি এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে প্রথম মামলাটি করেছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ১১ সেপ্টেম্বর আরও একটি মামলা করেছেন বাসটির তত্ত্বাবধায়ক দাবি করা আবুল খায়ের।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় ৮ বাসযাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যাঃ সাবেক চেয়ারম্যান বাবা ও যুবলীগ নেতা ছেলে গ্রেপ্তার

তারিখ : ১০:৩৮:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার।।
বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আটজনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় হওয়া দ্বিতীয় মামলায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক এক চেয়ারম্যান ও তাঁর ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে বাবা আওয়ামী লীগ নেতা ও ছেলে যুবলীগ নেতা। আজ রোববার বেলা তিনটার দিকে তাঁদের কুমিল্লার আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মিয়ারবাজার এলাকা থেকে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যদের সহায়তায় বাবা-ছেলেকে গ্রেপ্তার করে চৌদ্দগ্রাম থানা–পুলিশ। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলা কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাউদ্দিন আহমেদ মজুমদার এবং তাঁর ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নেয়ামত উল্লাহ মজুমদার ওরফে রুমি।

থানা–পুলিশ সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে বাসে পেট্রলবোমা মেরে আটজনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় গত ১১ সেপ্টেম্বর নিজেকে বাসটির তত্ত্বাবধায়ক দাবি করে মো. আবুল খায়ের নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে কুমিল্লার আদালতে মামলা করেন। মামলার আসামির তালিকায় সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, তৎকালীন আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, র‍্যাবের তৎকালীন ডিজি বেনজীর আহমেদ, কুমিল্লার তৎকালীন পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তীসহ ১৩০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় ৫০ থেকে ৬০ জনকে। এ মামলায় সালাউদ্দিন আহমেদ মজুমদার ১১ নম্বর আসামি এবং তাঁর ছেলে নেয়ামত উল্লাহ মজুমদার ৭৯ নম্বর আসামি।

চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, মামলা হওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের এই দুই নেতা আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাতে উপজেলার মিয়াবাজার এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের কুমিল্লার আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ মামলার অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুর এলাকায় আট বাসযাত্রীকে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিন চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরিদর্শক নুরুজ্জামান হাওলাদার বাদী হয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরকে প্রধান আসামি এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে প্রথম মামলাটি করেছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ১১ সেপ্টেম্বর আরও একটি মামলা করেছেন বাসটির তত্ত্বাবধায়ক দাবি করা আবুল খায়ের।