০৯:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ৮৬ লাখ টাকার ভারতীয় মোবাইল ডিসপ্লে আটক দেবিদ্বারে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া প্রতিরোধে ‘ক্লিনিং ক্যাম্পেইন’ উদ্বোধন Free Gambling Enterprise Games for Enjoyable: A Total Guide চৌদ্দগ্রামে মাদরাসা শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানী: পল্লী চিকিৎসক ইয়াছিন আটক কুমিল্লায় শ্বশুরবাড়ির সেফটি ট্যাঙ্কিতে জামাতার লাশ; স্ত্রী, দুই পুত্র ও দুই শ্যালক আটক কুমিল্লায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৪ মাজারে হামলা ভাঙচুর আগুন কুমিল্লায় একই পরিবারের চারজন নিহতের ঘটনায় কাভার্ডভ্যান চালক গ্রেপ্তার মুরাদনগরে শিক্ষার মানউন্নয়নে আভিভাবক সমাবেশ আনুষ্ঠিত কুমিল্লার দেবিদ্বারে নিখোঁজের এক মাস পর শ্বশুরের সেফটি ট্যাংক থেকে জামাইয়ের লাশ উদ্ধার The Ultimate Guide to Live Roulette Perks

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সোলেমানের কাটছে দুর্বিষহ জীবন

  • তারিখ : ০৯:০৬:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 41

মনোয়ার হোসেন।।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের নোয়াপাড়ার বাসিন্দা দিনমজুর মো. সোলেমান। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছেন। কেউ তাঁর খোঁজখবর নেননি। অভাবের তাড়নায় বড় ছেলেকে রেখে এসেছেন এতিমখানায়। ঘরে স্ত্রী, ছোট ছেলে-মেয়েকে নিয়ে দুর্বিষহ জীবন কাটছে তাঁর।

সোলেমান জানান, তিনি দিনমজুরি করতেন। কখনও ভ্যানে ফল বিক্রি করতেন, কখনও মাছ বিক্রি করতেন। কাজ না থাকলে পরের বাড়িতে দিনমজুরি করতেন। তাঁর বাবা জন্মের আগেই হারিয়ে যায়। মা থেকেও নেই। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকার ক্ষমতা ছাড়ার দিন চৌদ্দগ্রামে তুমুল সংঘর্ষ চলছিল। ওই সময় তিনি চৌদ্দগ্রাম থানার সামনে ফল বিক্রি করছিলেন। থানার ছাদের ওপর থেকে কয়েক রাউন্ড গুলি করা হয়। একটি গুলি তাঁর ডান হাতে লাগে। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরে আহত অবস্থায় বাড়িতে যান। কিন্তু দুর্বল থাকায় রাস্তায় পড়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু যথাযথ চিকিৎসা পাননি। সেখান থেকে সরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তবে শরীর এখনও দুর্বল। বাড়িতে শুয়ে-বসে দিন কাটছে তাঁর। এদিকে পরিবারে নেই কোনো আয়। চিকিৎসা কিংবা পরিবারের জন্য সরকারি কোনো সহযোগিতাও পাননি।

সোলেমানের প্রতিবেশী মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সোলেমান গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকে বিছানায়। তিনি এই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। আমরা কিছু সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি তবে, এটা সোলেমানের জন্য যথেষ্ট নয়। তার পরিপূর্ণ চিকিৎসা ও সংসারের ব্যয়ভার বহনের জন্য সরকারি সহায়তা খুব দরকার।

error: Content is protected !!

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সোলেমানের কাটছে দুর্বিষহ জীবন

তারিখ : ০৯:০৬:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মনোয়ার হোসেন।।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের নোয়াপাড়ার বাসিন্দা দিনমজুর মো. সোলেমান। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছেন। কেউ তাঁর খোঁজখবর নেননি। অভাবের তাড়নায় বড় ছেলেকে রেখে এসেছেন এতিমখানায়। ঘরে স্ত্রী, ছোট ছেলে-মেয়েকে নিয়ে দুর্বিষহ জীবন কাটছে তাঁর।

সোলেমান জানান, তিনি দিনমজুরি করতেন। কখনও ভ্যানে ফল বিক্রি করতেন, কখনও মাছ বিক্রি করতেন। কাজ না থাকলে পরের বাড়িতে দিনমজুরি করতেন। তাঁর বাবা জন্মের আগেই হারিয়ে যায়। মা থেকেও নেই। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকার ক্ষমতা ছাড়ার দিন চৌদ্দগ্রামে তুমুল সংঘর্ষ চলছিল। ওই সময় তিনি চৌদ্দগ্রাম থানার সামনে ফল বিক্রি করছিলেন। থানার ছাদের ওপর থেকে কয়েক রাউন্ড গুলি করা হয়। একটি গুলি তাঁর ডান হাতে লাগে। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরে আহত অবস্থায় বাড়িতে যান। কিন্তু দুর্বল থাকায় রাস্তায় পড়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু যথাযথ চিকিৎসা পাননি। সেখান থেকে সরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তবে শরীর এখনও দুর্বল। বাড়িতে শুয়ে-বসে দিন কাটছে তাঁর। এদিকে পরিবারে নেই কোনো আয়। চিকিৎসা কিংবা পরিবারের জন্য সরকারি কোনো সহযোগিতাও পাননি।

সোলেমানের প্রতিবেশী মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সোলেমান গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকে বিছানায়। তিনি এই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। আমরা কিছু সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি তবে, এটা সোলেমানের জন্য যথেষ্ট নয়। তার পরিপূর্ণ চিকিৎসা ও সংসারের ব্যয়ভার বহনের জন্য সরকারি সহায়তা খুব দরকার।