১২:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুবিতে ‘ডাটা গভর্নেন্স অ্যান্ড ইন্টারঅপারেবিলিটি’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ৮৬ লাখ টাকার ভারতীয় মোবাইল ডিসপ্লে আটক দেবিদ্বারে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া প্রতিরোধে ‘ক্লিনিং ক্যাম্পেইন’ উদ্বোধন Free Gambling Enterprise Games for Enjoyable: A Total Guide চৌদ্দগ্রামে মাদরাসা শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানী: পল্লী চিকিৎসক ইয়াছিন আটক কুমিল্লায় শ্বশুরবাড়ির সেফটি ট্যাঙ্কিতে জামাতার লাশ; স্ত্রী, দুই পুত্র ও দুই শ্যালক আটক কুমিল্লায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৪ মাজারে হামলা ভাঙচুর আগুন কুমিল্লায় একই পরিবারের চারজন নিহতের ঘটনায় কাভার্ডভ্যান চালক গ্রেপ্তার মুরাদনগরে শিক্ষার মানউন্নয়নে আভিভাবক সমাবেশ আনুষ্ঠিত কুমিল্লার দেবিদ্বারে নিখোঁজের এক মাস পর শ্বশুরের সেফটি ট্যাংক থেকে জামাইয়ের লাশ উদ্ধার

কুমিল্লা ট্রমা সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ

  • তারিখ : ১২:১১:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
  • 58

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লা নগরীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১৬ মার্চ) রাতে কুমিল্লা নগরীর ট্রমা সেন্টার হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই নিহতের আত্মীয় স্বজনেরা ভুল চিকিৎসায় মারা গেছে দাবি তুলে হাসপাতালে ভাংচুর করে।

নিহত ইমরান হোসেন (২১) কুমিল্লা নগরীর ১৪ নং ওয়ার্ড ২য় মুরাদপুর এলাকার দুবাই প্রবাসী হুমায়ুন মিয়ার ছেলে।

নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, ইসমাইল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলো। পরে, কুমিল্লা নগরীর ট্রমা হাসপাতালে ডা. আতাউর রহমানের কাছে চিকিৎসা নিয়ে আসলে চিকিৎসক ইসমাইলকে সার্জারি করার পরামর্শ দেন। পরে, শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল আটটায় সার্জারি করার উদ্দেশ্যে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। চার ঘণ্টার অপারেশনের সময়ের কথা জানালেও অপারেশন সম্পন্ন হয় সাত ঘণ্টায়। পরে, রোগীর অবস্থায় অবস্থার অবনতি হলে রোগীকে ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। ঘটনার দিন রবিবার বিকালে রোগীর কোনো সাড়া শব্দ না পাওয়ায় রোগীর স্বজনরা রোগী মারা গেছে দাবি করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে লাইফ সাপোর্টে নেয়ার কথা বলে। বিকাল পার হয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগী মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলে নি। বরং রোগীকে আরো পরীক্ষা নিরিক্ষা ও ঔষধ আনায় রোগীর স্বজনদের দিয়ে।

নিহত ইসমাইলের চাচা জাকির হোসেন বলেন, আমার ভাতিজাকে তারা সামান্য অপারেশনের কথা বলেছিলো। কিন্তু, তারা সাত ঘণ্টা ওটি তে রেখেছিলো। পরে রোগীর সমস্যা হয়েছে এ কথা বলে লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার কথা বলে। আমরা রাজি হই। কিন্তু লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার পর প্রায় ৩ দিন হয়ে গেলেও তারা আমাদের রোগীকে দেখতে দেয় নি। পরে নানা অযুহাতে আইসিউতে ঢুকে দেখি যে আমাদের রোগী মৃত। কিন্তু তারপরেও তারা আমাদের কাছ থেকে মৃত রোগীর চিকিৎসা করানোর জন্য পরীক্ষা ফি ও ঔষধ কিনিয়েছে আমাদেরকে দিয়ে। তারা আমাদেরকে ২৫ হাজার টাকার অপারেশনের কথা বলে তারা আমাদের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা নেয় ধাপে ধাপে। একজন রোগীর ৩ দিনে লাখ টাকার ঔষধ কিভাবে লাগে। তাদের গাফিলতির কারণে আমাদের রোগী মারা গেছে। আমরা এর বিচার চাই।

এদিকে, রোগী মারা যাওয়ার খবর জানাজানি হলে বিক্ষুদ্ধ স্বজনেরা হাসপাতাল ভাংচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ-সেনাবাহিনী কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কথা বলতে রাজি হয়নি।

এই বিষয়ে কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. আলী নূর মো. বশির আহমেদ বলেন, আমি এই বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলে আমি এর তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

error: Content is protected !!

কুমিল্লা ট্রমা সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ

তারিখ : ১২:১১:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লা নগরীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১৬ মার্চ) রাতে কুমিল্লা নগরীর ট্রমা সেন্টার হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই নিহতের আত্মীয় স্বজনেরা ভুল চিকিৎসায় মারা গেছে দাবি তুলে হাসপাতালে ভাংচুর করে।

নিহত ইমরান হোসেন (২১) কুমিল্লা নগরীর ১৪ নং ওয়ার্ড ২য় মুরাদপুর এলাকার দুবাই প্রবাসী হুমায়ুন মিয়ার ছেলে।

নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, ইসমাইল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলো। পরে, কুমিল্লা নগরীর ট্রমা হাসপাতালে ডা. আতাউর রহমানের কাছে চিকিৎসা নিয়ে আসলে চিকিৎসক ইসমাইলকে সার্জারি করার পরামর্শ দেন। পরে, শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল আটটায় সার্জারি করার উদ্দেশ্যে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। চার ঘণ্টার অপারেশনের সময়ের কথা জানালেও অপারেশন সম্পন্ন হয় সাত ঘণ্টায়। পরে, রোগীর অবস্থায় অবস্থার অবনতি হলে রোগীকে ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। ঘটনার দিন রবিবার বিকালে রোগীর কোনো সাড়া শব্দ না পাওয়ায় রোগীর স্বজনরা রোগী মারা গেছে দাবি করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে লাইফ সাপোর্টে নেয়ার কথা বলে। বিকাল পার হয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগী মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলে নি। বরং রোগীকে আরো পরীক্ষা নিরিক্ষা ও ঔষধ আনায় রোগীর স্বজনদের দিয়ে।

নিহত ইসমাইলের চাচা জাকির হোসেন বলেন, আমার ভাতিজাকে তারা সামান্য অপারেশনের কথা বলেছিলো। কিন্তু, তারা সাত ঘণ্টা ওটি তে রেখেছিলো। পরে রোগীর সমস্যা হয়েছে এ কথা বলে লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার কথা বলে। আমরা রাজি হই। কিন্তু লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার পর প্রায় ৩ দিন হয়ে গেলেও তারা আমাদের রোগীকে দেখতে দেয় নি। পরে নানা অযুহাতে আইসিউতে ঢুকে দেখি যে আমাদের রোগী মৃত। কিন্তু তারপরেও তারা আমাদের কাছ থেকে মৃত রোগীর চিকিৎসা করানোর জন্য পরীক্ষা ফি ও ঔষধ কিনিয়েছে আমাদেরকে দিয়ে। তারা আমাদেরকে ২৫ হাজার টাকার অপারেশনের কথা বলে তারা আমাদের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা নেয় ধাপে ধাপে। একজন রোগীর ৩ দিনে লাখ টাকার ঔষধ কিভাবে লাগে। তাদের গাফিলতির কারণে আমাদের রোগী মারা গেছে। আমরা এর বিচার চাই।

এদিকে, রোগী মারা যাওয়ার খবর জানাজানি হলে বিক্ষুদ্ধ স্বজনেরা হাসপাতাল ভাংচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ-সেনাবাহিনী কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কথা বলতে রাজি হয়নি।

এই বিষয়ে কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. আলী নূর মো. বশির আহমেদ বলেন, আমি এই বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলে আমি এর তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।