০৮:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
১৭ তম কুমিল্লা মিডিয়া টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে জিতলেন মিডিয়া ওয়ারিয়র্স কুমিল্লায় ট্রাক্টর উল্টে নদীতে গোসলরত একই পরিবারের ৩ নারী নিহত কুমিল্লা জেলা বইমেলা ২০২৫–এ আবৃত্তি সংসদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় শাহরাস্তিতে বিএনপি’র মিলাদ ও দোয়া কুমিল্লায় মায়ের সামনে এসিল্যান্ডের গাড়িচাপায় দুই বছরের শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু ১৭তম কুমিল্লা মিডিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ৬ দলের জার্সি উন্মোচন জগন্নাথপুরে ঈদে মাজিউন্নবী ও ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন উপলক্ষে নাতে মোস্তফা মাহফিল বুড়িচংয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল ওহাব নিহত বুড়িচংয়ে হুইলচেয়ার, সেলাই মেশিন ও গৃহ নির্মাণ সামগ্রী বিতরণ করলেন ড. মোবারক হোসেন ধানের শীষের প্রার্থী ড. মোশাররফ হোসেনের পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ শুরু

কুমিল্লা ট্রমা সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ

  • তারিখ : ১২:১১:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
  • 117

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লা নগরীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১৬ মার্চ) রাতে কুমিল্লা নগরীর ট্রমা সেন্টার হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই নিহতের আত্মীয় স্বজনেরা ভুল চিকিৎসায় মারা গেছে দাবি তুলে হাসপাতালে ভাংচুর করে।

নিহত ইমরান হোসেন (২১) কুমিল্লা নগরীর ১৪ নং ওয়ার্ড ২য় মুরাদপুর এলাকার দুবাই প্রবাসী হুমায়ুন মিয়ার ছেলে।

নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, ইসমাইল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলো। পরে, কুমিল্লা নগরীর ট্রমা হাসপাতালে ডা. আতাউর রহমানের কাছে চিকিৎসা নিয়ে আসলে চিকিৎসক ইসমাইলকে সার্জারি করার পরামর্শ দেন। পরে, শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল আটটায় সার্জারি করার উদ্দেশ্যে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। চার ঘণ্টার অপারেশনের সময়ের কথা জানালেও অপারেশন সম্পন্ন হয় সাত ঘণ্টায়। পরে, রোগীর অবস্থায় অবস্থার অবনতি হলে রোগীকে ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। ঘটনার দিন রবিবার বিকালে রোগীর কোনো সাড়া শব্দ না পাওয়ায় রোগীর স্বজনরা রোগী মারা গেছে দাবি করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে লাইফ সাপোর্টে নেয়ার কথা বলে। বিকাল পার হয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগী মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলে নি। বরং রোগীকে আরো পরীক্ষা নিরিক্ষা ও ঔষধ আনায় রোগীর স্বজনদের দিয়ে।

নিহত ইসমাইলের চাচা জাকির হোসেন বলেন, আমার ভাতিজাকে তারা সামান্য অপারেশনের কথা বলেছিলো। কিন্তু, তারা সাত ঘণ্টা ওটি তে রেখেছিলো। পরে রোগীর সমস্যা হয়েছে এ কথা বলে লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার কথা বলে। আমরা রাজি হই। কিন্তু লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার পর প্রায় ৩ দিন হয়ে গেলেও তারা আমাদের রোগীকে দেখতে দেয় নি। পরে নানা অযুহাতে আইসিউতে ঢুকে দেখি যে আমাদের রোগী মৃত। কিন্তু তারপরেও তারা আমাদের কাছ থেকে মৃত রোগীর চিকিৎসা করানোর জন্য পরীক্ষা ফি ও ঔষধ কিনিয়েছে আমাদেরকে দিয়ে। তারা আমাদেরকে ২৫ হাজার টাকার অপারেশনের কথা বলে তারা আমাদের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা নেয় ধাপে ধাপে। একজন রোগীর ৩ দিনে লাখ টাকার ঔষধ কিভাবে লাগে। তাদের গাফিলতির কারণে আমাদের রোগী মারা গেছে। আমরা এর বিচার চাই।

এদিকে, রোগী মারা যাওয়ার খবর জানাজানি হলে বিক্ষুদ্ধ স্বজনেরা হাসপাতাল ভাংচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ-সেনাবাহিনী কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কথা বলতে রাজি হয়নি।

এই বিষয়ে কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. আলী নূর মো. বশির আহমেদ বলেন, আমি এই বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলে আমি এর তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

error: Content is protected !!

কুমিল্লা ট্রমা সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ

তারিখ : ১২:১১:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লা নগরীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১৬ মার্চ) রাতে কুমিল্লা নগরীর ট্রমা সেন্টার হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই নিহতের আত্মীয় স্বজনেরা ভুল চিকিৎসায় মারা গেছে দাবি তুলে হাসপাতালে ভাংচুর করে।

নিহত ইমরান হোসেন (২১) কুমিল্লা নগরীর ১৪ নং ওয়ার্ড ২য় মুরাদপুর এলাকার দুবাই প্রবাসী হুমায়ুন মিয়ার ছেলে।

নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, ইসমাইল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলো। পরে, কুমিল্লা নগরীর ট্রমা হাসপাতালে ডা. আতাউর রহমানের কাছে চিকিৎসা নিয়ে আসলে চিকিৎসক ইসমাইলকে সার্জারি করার পরামর্শ দেন। পরে, শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল আটটায় সার্জারি করার উদ্দেশ্যে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। চার ঘণ্টার অপারেশনের সময়ের কথা জানালেও অপারেশন সম্পন্ন হয় সাত ঘণ্টায়। পরে, রোগীর অবস্থায় অবস্থার অবনতি হলে রোগীকে ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। ঘটনার দিন রবিবার বিকালে রোগীর কোনো সাড়া শব্দ না পাওয়ায় রোগীর স্বজনরা রোগী মারা গেছে দাবি করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে লাইফ সাপোর্টে নেয়ার কথা বলে। বিকাল পার হয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগী মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলে নি। বরং রোগীকে আরো পরীক্ষা নিরিক্ষা ও ঔষধ আনায় রোগীর স্বজনদের দিয়ে।

নিহত ইসমাইলের চাচা জাকির হোসেন বলেন, আমার ভাতিজাকে তারা সামান্য অপারেশনের কথা বলেছিলো। কিন্তু, তারা সাত ঘণ্টা ওটি তে রেখেছিলো। পরে রোগীর সমস্যা হয়েছে এ কথা বলে লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার কথা বলে। আমরা রাজি হই। কিন্তু লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার পর প্রায় ৩ দিন হয়ে গেলেও তারা আমাদের রোগীকে দেখতে দেয় নি। পরে নানা অযুহাতে আইসিউতে ঢুকে দেখি যে আমাদের রোগী মৃত। কিন্তু তারপরেও তারা আমাদের কাছ থেকে মৃত রোগীর চিকিৎসা করানোর জন্য পরীক্ষা ফি ও ঔষধ কিনিয়েছে আমাদেরকে দিয়ে। তারা আমাদেরকে ২৫ হাজার টাকার অপারেশনের কথা বলে তারা আমাদের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা নেয় ধাপে ধাপে। একজন রোগীর ৩ দিনে লাখ টাকার ঔষধ কিভাবে লাগে। তাদের গাফিলতির কারণে আমাদের রোগী মারা গেছে। আমরা এর বিচার চাই।

এদিকে, রোগী মারা যাওয়ার খবর জানাজানি হলে বিক্ষুদ্ধ স্বজনেরা হাসপাতাল ভাংচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ-সেনাবাহিনী কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কথা বলতে রাজি হয়নি।

এই বিষয়ে কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. আলী নূর মো. বশির আহমেদ বলেন, আমি এই বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলে আমি এর তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।