মনোয়ার হোসেন, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে এলাকার কতিপয় বখাটে যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের আঠারবাঁক গ্রামের পশ্চিম পাড়ায়। এ ঘটনায় ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে গত ৭ মার্চ স্থানীয় ইউসুফ ও রুবেল নামে দু’জনকে আসামী করে কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত করছে পিবিআই।
আদালতে দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় স্থানীয় জহিরুল ইসলামের কাতার প্রবাসী ছেলে বখাটে ইউসুফ ও ঐ এলাকার মোহন মিয়ার ছেলে রুবেল ভিকটিমকে জোরপূর্বক মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে গিয়ে তার চাচার বাড়ীর পাশের একটি পরিত্যক্ত স্থানে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। আসামীরা টাকার প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয়দের মাধ্যমে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনা জানাজানি হলে ইউসুফ মিমাংশার কথা বলে কৌশলে কাতার চলে যায়। পরে রুবেল স্থানীয়দের মাধ্যমে ৮ হাজার টাকায় ঘটনার মীমাংশার জন্য ভিকটিমের চাচা গিয়াস উদ্দিনের কাছে প্রস্তাব পাঠায়। স্থানীয়ভাবে ঘটনার মিমাংশা না করে আদালতের আশ্রয় নেয়ায় ভিকটিম ও তার পরিবারকে অপরাধিরা বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। এতে ভিকটিমের পরিবারর অপরাধিদের দ্বারা ক্ষতিসাধন ও প্রাণনাশের আশঙ্কা করছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
পঞ্চম শ্রেণির একজন কোমলমতি ছাত্রীর সাথে যারা এমন একটি ঘৃণিত ও অমানবিক কাজ করেছে তাদের বিচার দাবি করে স্থানীয়রা জানান, ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর ইউসুফ কৌশলে বিদেশ চলে গেছে। অপর আসামী রুবেলও ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। এ সময় তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আসামীদের গ্রেফতার ও উপযুক্ত শাস্তির দাবি করে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।
