চৌদ্দগ্রামের হুমায়ূন কবিরের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলায় জামিন নামঞ্জুর

চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতীর হুমায়ূন কবিরের জামিন নামঞ্জুর করেছে ফেণীর বিজ্ঞ আমলী আদালত। হুমায়ূন কবির গুণবতী ইউনিয়নের খাটরা গ্রামের আবদুল কাদের মাস্টারের ছেলে।

গত শুক্রবার রাতে তাকে ফেনী শহরের শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়কের শহীদ ম্যানশন থেকে চৌদ্দগ্রামের আলকরা এলাকার আবদুল্লাহ আল মাসউদের করা প্রতারণা মামলায় গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছিল।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী নুরুল ইসলাম জানান, আজ ১৫ জুন (বৃহস্পতিবার) হুমায়ূন কবিরের জামিন শুনানির দিন ধার্য ছিল, আমরা জামিন নামঞ্জুরের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত আমাদের আবেদন আমলে নিয়ে জামিন মঞ্জুর করেনি। পরবর্তীতে শুনানি হবে বলে জানায়।

মামলা ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কুলাশার গ্রামের ডা. লকিয়ত উল্যাহ সরিষাদি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। একই বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবদুল কাদের মাস্টারের ছেলে হুমায়ূন কবীরের সাথে পূর্ব থেকে পরিচয়ের সুবাদে হুমায়ূন কবীর কে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য ডা. লকিয়ত উল্যাহ সরল বিশ্বাসে ২০১৯ সালে ১৪ লাখ টাকা হাওলাত দেন। টাকা লেনদেনের কারণে দুটি পরিবারের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে ডা. লকিয়ত উল্যাহর স্ত্রী কান্সারে আক্রান্ত হলে তাকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নেওয়া হয়।

সেখানে হুমায়ূন কবিরের ছোট ভাই জাহান কবির শিপনও বসবাস করেন। ক্যান্সারে আক্রান্ত ডা. মাশফিকা আশরাফের চিকিৎসা দেখাশোনার দায়িত্বও নেন জাহান কবির শিপন। চিকিৎসা ও যাবতীয় খরচ বাবদ ডা. লকিয়ত উল্যাহ জাহান কবিরকে চার কোটি টাকা প্রদান করেন। পরবর্তীতে হুমায়ূন কবির ডা. লকিয়ত উল্যাহর কাছে আরো দুই লাখ টাকা হাওলাত চাইলে হুমায়ূন কবীরের গুণবতীর ওয়ান স্টার কমপ্লেক্স নামীয় প্রতিষ্ঠানের একাউন্টে আরও দুই লাখ টাকা জমার মাধ্যমে হাওলাত দেন। মোট ১৬ লাখ টাকা হুমায়ূন কবিরের নিকট ডা. লকিয়ত উল্যাহ পাওনা হন।

২০২২ সালে পাওনা ১৬ লাখ টাকা চাওয়ায় হুমায়ূন কবির নানা অজুহাতে সময় ক্ষ্যাপন করতে থাকে। এক পর্যায়ে তার ছোটভাইকে দিয়ে লন্ডনে ডা. লকিয়ত উল্যাহ, তার ক্যান্সার আক্রান্ত স্ত্রী ও সন্তানকে বাসা থেকে বের করে দেন। সেখানে নানাভাবে তাদেরকে হয়রানি করতে থাকে। বিষয়টি ডা. লকিয়ত উল্যাহর মালিকীয় বায়ো ফার্মায় কর্মরত তার ভাই আবদুল্লাহ আল মাসউদকে জানালে সে হুমায়ূন কবিরের নিকট টাকা চাইলে তাকেও নানাভাবে হয়রানি করতে থাকে। তার হুমকিতে নিরুপায় হয়ে ডা. লকিয়ত উল্যাহর ভাই আবদুল্লাহ আল মাসউদ গত ৬ জুন ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  

You cannot copy content of this page