
মনোয়ার হোসেন।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে শ্লীলতাহানী ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসক মো. ইয়াছিন ডাক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত ইয়াছিন উপজেলা বাতিসা ইউনিয়নের চাঁন্দকরা উত্তরপাড়ার মৃত মইধর আলীর ছেলে এবং স্থানীয় একতা বাজারের পল্লী চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত।
ভিকটিম একই ইউনিয়নের একটি মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেছেন। থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ছানা উল্লাহ বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ঘটনার দিন ভিকটিম শিশুটি মাছ ধরার জন্য স্থানীয় এলাকায় যায়। অভিযুক্ত ইয়াছিন তাকে পেয়ারা খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে নানার বাড়ির কাছের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। পরে শিশুটিকে একটি রান্নাঘরে শ্লীলতাহানী ও ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়। শিশুটি চিৎকার করলে অভিযুক্ত শিশুটিকে ছেড়ে দেয়। পরে ভিকটিম দৌড়ে বাড়ি ফিরে যায়।
প্রায় এক সপ্তাহ পর শিশুটি মা হাজেরাকে পুরো ঘটনা খুলে বলে। ঘটনার পর অভিযুক্ত নিজ চেম্বারে বসেননি এবং ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে এলাকার সামাজিক প্রভাবশালীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। পরে মঙ্গলবার বাদী হাজেরা আক্তার চৌদ্দগ্রাম থানায় এজাহার দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে এবং আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক ইয়াছিনের স্ত্রী নাছরিন সুলতানা অভিযোগকে নাকচ করে বলেন, “ঘটনাটি মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাদের পরিবারের মান-সম্মান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা আদালতের মাধ্যমে স্বামীর জামিনের চেষ্টা চালাচ্ছি।”
চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ জানান, “অভিযোগ পেয়ে যাচাই-বাছাই শেষে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। মামলার প্রেক্ষিতে অভিযুক্তকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আমরা ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত চালাচ্ছি।”