০২:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বুড়িচংয়ে ৪৪টি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দুম্বার মাংস বিতরণ ব্রাহ্মণপাড়ায় মাদক সেবনে বাধা দেওয়া যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নারী উদ্যোক্তা কুমিল্লার লাভলী আক্তারকে সম্মাননা স্মারক প্রদান কক্সবাজারের আনন্দযাত্রা সড়কেই শেষ, কুমিল্লার একই পরিবারের ৫ জন নিহত ক্যান্সার আক্রান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রভা বাঁচতে চায় মুরাদনগরে শিশু আদিবা হত্যার ঘটনায় চাচাতো ভাই গ্রেফতার কুবিতে রোটারেক্ট ক্লাবের উদ্যোগে ‘স্টাডি অ্যাবরোড’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত চৌদ্দগ্রামে শুভপুর ইউনিয়ন উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪নং ওয়ার্ড নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা কুমিল্লায় ৪ বছরের শিশু ধর্ষণ, প্রধান আসামি বাবু গ্রেফতার মুরাদনগরে ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন ইন বাংলাদেশের আওতায় পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত

চৌদ্দগ্রামে মাদরাসা শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানী: পল্লী চিকিৎসক ইয়াছিন আটক

  • তারিখ : ০৭:০২:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 779

মনোয়ার হোসেন।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে শ্লীলতাহানী ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসক মো. ইয়াছিন ডাক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত ইয়াছিন উপজেলা বাতিসা ইউনিয়নের চাঁন্দকরা উত্তরপাড়ার মৃত মইধর আলীর ছেলে এবং স্থানীয় একতা বাজারের পল্লী চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত।

ভিকটিম একই ইউনিয়নের একটি মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেছেন। থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ছানা উল্লাহ বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ঘটনার দিন ভিকটিম শিশুটি মাছ ধরার জন্য স্থানীয় এলাকায় যায়। অভিযুক্ত ইয়াছিন তাকে পেয়ারা খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে নানার বাড়ির কাছের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। পরে শিশুটিকে একটি রান্নাঘরে শ্লীলতাহানী ও ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়। শিশুটি চিৎকার করলে অভিযুক্ত শিশুটিকে ছেড়ে দেয়। পরে ভিকটিম দৌড়ে বাড়ি ফিরে যায়।

প্রায় এক সপ্তাহ পর শিশুটি মা হাজেরাকে পুরো ঘটনা খুলে বলে। ঘটনার পর অভিযুক্ত নিজ চেম্বারে বসেননি এবং ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে এলাকার সামাজিক প্রভাবশালীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। পরে মঙ্গলবার বাদী হাজেরা আক্তার চৌদ্দগ্রাম থানায় এজাহার দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে এবং আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে।

অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক ইয়াছিনের স্ত্রী নাছরিন সুলতানা অভিযোগকে নাকচ করে বলেন, “ঘটনাটি মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাদের পরিবারের মান-সম্মান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা আদালতের মাধ্যমে স্বামীর জামিনের চেষ্টা চালাচ্ছি।”

চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ জানান, “অভিযোগ পেয়ে যাচাই-বাছাই শেষে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। মামলার প্রেক্ষিতে অভিযুক্তকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আমরা ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত চালাচ্ছি।”

error: Content is protected !!

চৌদ্দগ্রামে মাদরাসা শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানী: পল্লী চিকিৎসক ইয়াছিন আটক

তারিখ : ০৭:০২:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মনোয়ার হোসেন।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে শ্লীলতাহানী ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসক মো. ইয়াছিন ডাক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত ইয়াছিন উপজেলা বাতিসা ইউনিয়নের চাঁন্দকরা উত্তরপাড়ার মৃত মইধর আলীর ছেলে এবং স্থানীয় একতা বাজারের পল্লী চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত।

ভিকটিম একই ইউনিয়নের একটি মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেছেন। থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ছানা উল্লাহ বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ঘটনার দিন ভিকটিম শিশুটি মাছ ধরার জন্য স্থানীয় এলাকায় যায়। অভিযুক্ত ইয়াছিন তাকে পেয়ারা খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে নানার বাড়ির কাছের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। পরে শিশুটিকে একটি রান্নাঘরে শ্লীলতাহানী ও ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়। শিশুটি চিৎকার করলে অভিযুক্ত শিশুটিকে ছেড়ে দেয়। পরে ভিকটিম দৌড়ে বাড়ি ফিরে যায়।

প্রায় এক সপ্তাহ পর শিশুটি মা হাজেরাকে পুরো ঘটনা খুলে বলে। ঘটনার পর অভিযুক্ত নিজ চেম্বারে বসেননি এবং ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে এলাকার সামাজিক প্রভাবশালীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। পরে মঙ্গলবার বাদী হাজেরা আক্তার চৌদ্দগ্রাম থানায় এজাহার দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে এবং আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে।

অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক ইয়াছিনের স্ত্রী নাছরিন সুলতানা অভিযোগকে নাকচ করে বলেন, “ঘটনাটি মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাদের পরিবারের মান-সম্মান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা আদালতের মাধ্যমে স্বামীর জামিনের চেষ্টা চালাচ্ছি।”

চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ জানান, “অভিযোগ পেয়ে যাচাই-বাছাই শেষে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। মামলার প্রেক্ষিতে অভিযুক্তকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আমরা ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত চালাচ্ছি।”