মনোয়ার হোসেন:
সাবেক রেলমন্ত্রী ও কুমিল্লা দক্ষিন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক এমপি বলেন, এই শান্তির চৌদ্দগ্রামে বিএনপির আমলে জামায়াত-শিবির সন্ত্রাস আর নৈরাজ্য চালিয়েছে। তখন চৌদ্দগ্রামে মুনাইয়া মোতাইয়াদের আধিপত্য ছিল। জামায়াত-শিবিরের বহিরাগত ক্যাডাররা এলে মানুষ ভয়ে আতংকে থাকত। জামায়েতের আমলে র্যাবের ক্রস ফায়ারে দুইজনেই শেষ।তাহের সাহেব তাদের রক্ষা করতে পারে নাই।চৌদ্দগ্রামে এখন আর রগকাটা জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নেই।মানুষ শান্তিতে আছে। আগামী নির্বাচনে জামায়াত এজেন্ট দিতেও লোক পাবে না।
শনিবার (১৫জুলাই)বিকালে উপজেলার বিজয়করা স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে জগন্নাথদীঘি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক রেলমন্ত্রী ও কুমিল্লা দক্ষিন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক এমপি এসব কথা বলেন।
এমপি আরো বলেন,বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে যাওয়ার পরে এদেশের একজন কৃষক মাঠে বসে তার প্রবাসী ছেলের সাথে ভিডিও কলে কথা বলতে পারে। আগামী ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশে রুপান্তরিত হবে সেই সেবা আপনারা পাবেন। এইদেশের মানুষের প্রয়োজনে আমার নেত্রী শেখ হাসিনার প্রতীক নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে।
তিনি আরো বলেন,‘এই চৌদ্দগ্রাম একসময় ছিল অবহেলিত। এখানে মন্ত্রী ছিলেন কাজী জাফর, এমপি ছিলেন জামায়াত নেতা আবদুল্লাহ তাহের। কিন্তু উন্নয়নের কিছুই হয়নি। আমি এমপি মন্ত্রী হওয়ার পর এ জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নসহ সমস্ত চৌদ্দগ্রামের সকল রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজের ভবন, মসজিদ-মক্তবের উন্নয়ন করেছি। মানুষ নির্বাচনে ভোট দেয় এলাকার উন্নয়নের আশা করে। আগের এমপি-মন্ত্রীরা তা করেনি। আমি কিন্তু তাদের মতো বেঈমানি করি নাই। আমি আপনাদের পাশে ছিলাম এবং উন্নয়ন করেছি। আমি কৃষকের ছেলে, আমি দেমাগ দেখাই না। এ এলাকার অধিকাংশ মানুষ কৃষক। আর আমিও কৃষকের সন্তান। কৃষকের ছেলে এমপি হলে মানুষ ঠকে না। আপনাদের পাশে ছিলাম এবং থাকব ইনশাআল্লাহ।’
উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক ভিপি ফারুক আহম্মেদ মিয়াজীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সোবহান ভূইয়া, পৌর মেয়র জি এম মীর হোসেন মীরু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ রহমতুল্লাহ বাবুল, ভাইস চেয়ারম্যান এবি এম বাহার, কুমিল্লা দক্ষিন জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও জেলা পরিষদ সদস্য এমরানুল হক কামাল (ভার্ড কামাল), উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন পাটোয়ারী, ইছাক খান, যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন ভূইয়া, উপজেলা স্বেচ্চাসেবকলীগের আহবায়ক জি এম জাহিদ হোসেন টিপু, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন-আহবায়ক সৈয়দ আহম্মেদ খোকন, জগন্নাথদীঘি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জানে আলম, কালিকাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ভিপি মাহবুব মজুমদার, কাশিনগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন, উজিরপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নাঈমুল রহমান মজুমদার, মুন্সিরহাট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহফুজ আলম, আলকরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাঈন উদ্দিন, গুনাবতী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, বাতিসা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম ফরহাদ, ঘোলপাশা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান একে খোকন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম,কামরুল হাসান মুরাদ, কামরুল আলম মোল্লা, উপজেলা আওয়ামীলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক আলমগীর হোসেন, ত্রান বিষায়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম, কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন সর্দার শ্রমিকলীগের সভাপতি আরশ মজুমদার, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি জাকির হোসেন পাটোয়ারী, গুনাবতী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ভিপি আবুল খায়ের, উপজেলা যুবলীগ নেতা এনাম পাটোয়ারী, পৌর যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারী, কুমিল্লা দক্ষিন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন রুবেল, ঘোলপাশা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌফিকুল ইসলাম সবুজ, সম্পাদক কাউছার হানিফ প্রমুখ।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page