০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিএনপির মধ্যে বিভাজন স্বার্থান্বেষী মহলের দৌরাত্ম্যের কারণে – রশিদ আহমেদ হোসাইনী কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল; ৪৫ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাল মৃত্তিকায় শীতের নির্মল ছোঁয়া বিভিন্ন স্থানে বিড়ালের চোখ তুলে নেয়া ও প্রাণি নির্যাতনের প্রতিবাদে কুমিল্লায় মানববন্ধন চৌদ্দগ্রামে শুভপুর ইউনিয়ন দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের ১নং ওয়ার্ড নির্বাচনী প্রস্তুতি ও কর্মী সভা বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রী কলেজের রুবি জয়ন্তী উপলক্ষে ৯৭ ব্যাচের আলোচনা ও রেজিস্ট্রেশন দেবিদ্বারে সাড়ে তিন বছরের শিশুকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত চৌদ্দগ্রামে কাশিনগর ইউনিয়ন দক্ষিণ ৬নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের নির্বাচনী প্রস্তুতি ও কর্মী সভা বুড়িচংয়ে ৪৪টি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দুম্বার মাংস বিতরণ

চৌদ্দগ্রামে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মিজান আটক

  • তারিখ : ০৪:৩২:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪
  • 31

মনোয়ার হোসেন।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিজ ভগ্নিপতিকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হয়ে নাম পরিবর্তন করে ৬ বছর আত্মগোপনে থাকার পর মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে শুক্রবার গভীর রাতে ফেনীর ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে। আটককৃত মিজানুর রহমান উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের বাকগ্রামের মৃত আবদুস সাত্তারের ছেলে। সে আদালতের রায়ের পর থেকে নিজের নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে ছদ্মবেশে ফেনী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিলো। শনিবার দুপুরে তথ্যটি নিশ্চিত করেন চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ত্রিনাথ সাহা।

থানা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে চট্টগ্রাম বন্দর থানা এলাকায় চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের ধোপাখিলা গ্রামের মৃত ইউসুফ ভূঁইয়ার ছেলে ইকবাল আহাম্মদ ভুঁইয়া তার স্ত্রী সুফিয়া আক্তার রিয়া ও শ্যালক মিজানুর রহমানসহ পাশাপাশি এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। ইকবাল ও তার শ্যালক পেশায় গাড়ি চালক ছিলেন। ইকবালের রুজির জমানো মোটা অংকের অর্থ স্ত্রী ও শ্যালকের নিকট জমা ছিল।

২০০৮ সালে ইকবাল গ্রামের বাড়িতে ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে তার জমানো অর্থ স্ত্রী ও শ্যালকের নিকট চাইলে বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। ওই বছরের (২০০৮ সালের) ৩ নভেম্বর ইকবালকে চট্টগ্রামের বন্দর থানা এলাকার ভাড়া বাসায় স্ত্রী রিয়া ও শ্যালক মিজানুর রহমান কৌশলে হত্যা করে পরদিন ৪ নভেম্বর সকালে একটি মাইক্রোবাসযোগে লাশ গ্রামের বাড়ি এলাকার রাস্তার উপর ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে স্বজনরা লাশটি পেয়ে দেখে নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় ইকবালের ভাই একরাম হোসেন ভূঁইয়া বাদী হয়ে স্ত্রী সুফিয়া আক্তার রিয়া ও শ্যালক মিজানুর রহমানকে আসামী করে চট্টগ্রাম বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা (মামলা নং-১০/০৯.১১.২০২৮ খিস্টাব্দ) দায়ের করে। পরে ২০০৯ সালে মিজানুর রহমান পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলে পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে। ২০১২ সালে মিজানুর রহমান জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যান। ২০১৭ সালে ৭ আগস্ট আদালত মিজানুর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন।

এরপর হইতে তিনি নিজের নাম মিজানুর রহমান থেকে আবদুল কাদের পরিবর্তন করে নতুন নামের পরিচয় দিয়ে ফেনী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে চলে যান। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার গভীর রাতে তাকে ফেনী সদর থানা এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল কুদ্দস, বশির আহমেদ, জাহাঙ্গীর আলম খাঁন ও সহকারী উপ-পরিদর্শক হারুন অর রশিদ এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম মিজানকে গ্রেফতার করে। পরে শনিবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ত্রিনাথ সাহা বলেন, ‘মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতের যাবজ্জীবন সাজা পরোয়ানা থানায় আসার পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। কৌশলে নিজের নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে ফেনী সদরে বসবাস করে আসছিলো সে। থানা পুলিশ তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার গভীর রাতে তাকে ফেনী সদর এলাকা থেকে গ্রেফতার শেষে শনিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করেছে।’

error: Content is protected !!

চৌদ্দগ্রামে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মিজান আটক

তারিখ : ০৪:৩২:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪

মনোয়ার হোসেন।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিজ ভগ্নিপতিকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হয়ে নাম পরিবর্তন করে ৬ বছর আত্মগোপনে থাকার পর মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে শুক্রবার গভীর রাতে ফেনীর ভাড়া বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে। আটককৃত মিজানুর রহমান উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের বাকগ্রামের মৃত আবদুস সাত্তারের ছেলে। সে আদালতের রায়ের পর থেকে নিজের নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে ছদ্মবেশে ফেনী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিলো। শনিবার দুপুরে তথ্যটি নিশ্চিত করেন চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ত্রিনাথ সাহা।

থানা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে চট্টগ্রাম বন্দর থানা এলাকায় চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের ধোপাখিলা গ্রামের মৃত ইউসুফ ভূঁইয়ার ছেলে ইকবাল আহাম্মদ ভুঁইয়া তার স্ত্রী সুফিয়া আক্তার রিয়া ও শ্যালক মিজানুর রহমানসহ পাশাপাশি এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। ইকবাল ও তার শ্যালক পেশায় গাড়ি চালক ছিলেন। ইকবালের রুজির জমানো মোটা অংকের অর্থ স্ত্রী ও শ্যালকের নিকট জমা ছিল।

২০০৮ সালে ইকবাল গ্রামের বাড়িতে ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে তার জমানো অর্থ স্ত্রী ও শ্যালকের নিকট চাইলে বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। ওই বছরের (২০০৮ সালের) ৩ নভেম্বর ইকবালকে চট্টগ্রামের বন্দর থানা এলাকার ভাড়া বাসায় স্ত্রী রিয়া ও শ্যালক মিজানুর রহমান কৌশলে হত্যা করে পরদিন ৪ নভেম্বর সকালে একটি মাইক্রোবাসযোগে লাশ গ্রামের বাড়ি এলাকার রাস্তার উপর ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে স্বজনরা লাশটি পেয়ে দেখে নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় ইকবালের ভাই একরাম হোসেন ভূঁইয়া বাদী হয়ে স্ত্রী সুফিয়া আক্তার রিয়া ও শ্যালক মিজানুর রহমানকে আসামী করে চট্টগ্রাম বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা (মামলা নং-১০/০৯.১১.২০২৮ খিস্টাব্দ) দায়ের করে। পরে ২০০৯ সালে মিজানুর রহমান পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলে পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে। ২০১২ সালে মিজানুর রহমান জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যান। ২০১৭ সালে ৭ আগস্ট আদালত মিজানুর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন।

এরপর হইতে তিনি নিজের নাম মিজানুর রহমান থেকে আবদুল কাদের পরিবর্তন করে নতুন নামের পরিচয় দিয়ে ফেনী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে চলে যান। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার গভীর রাতে তাকে ফেনী সদর থানা এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল কুদ্দস, বশির আহমেদ, জাহাঙ্গীর আলম খাঁন ও সহকারী উপ-পরিদর্শক হারুন অর রশিদ এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম মিজানকে গ্রেফতার করে। পরে শনিবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ত্রিনাথ সাহা বলেন, ‘মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতের যাবজ্জীবন সাজা পরোয়ানা থানায় আসার পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। কৌশলে নিজের নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে ফেনী সদরে বসবাস করে আসছিলো সে। থানা পুলিশ তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার গভীর রাতে তাকে ফেনী সদর এলাকা থেকে গ্রেফতার শেষে শনিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করেছে।’