এন এ মুরাদ।।
১৯৬৯ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারী কলেজের ছাত্রলীগের সদস্য হয়ে রাজনীতিতে হাতে খড়ি শুরু হয় আমার। গণঅভ্যুত্থানের ছাত্র আন্দোলনে কারাভোগ করেছি। জিয়াউর রহমানের রেফারেন্ডামের সময় নির্বাচন করে মাত্র ৮০ ভোট পেয়েছিলাম। তখন আওয়ামীলীগ করার লোক পাইনি। বিএনপি ও জামাত জোট সরকারের আমলে অনেক হামলার শিকার হয়েছি। ২০০৭ সালে তত্বাবধায়ক সরকার নেত্রীকে গ্রেফতার করলে মুক্তির দাবিতে রাজপথে অংশগ্রহণ করেছি। ১৯৭৬ হতে ২০১২ সাল পর্যন্ত উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করে দলের সুনাম অক্ষুন্ন রেখেছি।
তেপান্ন বছরের রাজনৈতিক জীবনে অনেক কিছুর স্বাক্ষী আমি। কিছু পাওয়ার জন্য রাজনীতি করি নাই। এই শেষ বয়সে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় দল যদি আমাকে বহিষ্কার করে তাহলে করুক। তাতে আমি স্তম্ভিত হয়ে থেমে যাবো না। যতদিন বাঁচব বঙ্গবন্ধুর ঝান্ডা উচু করেই রাখব। এভাবে দৃঢ়কন্ঠে কথাগুলো বলছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন মাস্টার। তিনি আসন্ন ইউপি নির্বাচনে ১৯ নং দারোরা ইউনিয়ন থেকে নৌকা মার্কা না পেয়ে ঘোড়া মার্কায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছেন।
সরেজমিন গিয়ে স্থানীয় ভোটারদের সাথে কথা হলে তারা জনান, আবুল হোসেন মাস্টার জন্মলগ্ন বিনয়ী ও ভদ্র আওয়ামীলীগ নেতা। তার রক্তের শিরায় মিশে গেছে আওয়ামীলীগ। তিনি এই ইউনিয়নের সম্মানীয় ব্যক্তি। বিগত দিনে শত-শত ন্যায় বিচার পেয়েছি তার কাছ থেকে। প্রায় চল্লিশ বছর ডি,সি উচ্চ বিদ্যালয়ে সুনামের সাথে শিক্ষকতা করেছেন। তার ব্যাক্তগত কোন চাহিদা নেই। তিনি খুবই স্বচ্ছল ও স্বজ্জন ব্যক্তি। তাই আবুল হোসেন স্যারকে আমরা চেয়ারম্যান হিসাবে পেতে চাই।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page