০৯:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুবির চৌদ্দগ্রাম অ্যাসোসিয়েশনের নবীনবরণ ও প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠিত চৌদ্দগ্রামে ঘোলপাশা ইউনিয়ন শ্রমিকদলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত মুরাদনগরে মোচাগড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচন সম্পন্ন বুড়িচংয়ে ২০০৩ থেকে ২০১৪ সালের পুরাতন দলিল ধ্বংসে গণবিজ্ঞপ্তি জারি কুমিল্লার দেবীদ্বারে বিনামূল্যে বিড়ালকে জলাতঙ্ক টিকা প্রদান দেশবরেণ্য বাউল শিল্পী কুমিল্লার ফজলুর রহমান বাবুল আর নেই নানা আয়োজনে কুমিল্লায় কালবেলার ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিল ১৩ বছরের শিশুকে ধর্ষণের প্রতিবাদে কুবিতে বিক্ষোভ মিছিল চৌদ্দগ্রামে শহীদ জিয়া স্মৃতি আন্ত: ইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

দাউদকান্দিতে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে স্থাপনা নির্মাণ, অবরুদ্ধ ৯ পরিবার

  • তারিখ : ০২:৩৬:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ জুলাই ২০২২
  • 27

রাজিব হোসেন জয়, দাউদকান্দি প্রতিনিধি।।
কোনো প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করায় ৯টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের পেন্নাই হাজারী বাড়ীর ভুক্তভোগী পরিবারগুলো এমন অভিযোগ তুলেন প্রতিবেশী খালেক হাজারীর বিরুদ্ধে।

প্রায় শত বছরের চলাচলের পথ বন্ধ করে ইমারত নির্মাণ কাজ শুরু করায় যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে ওই পরিবারগুলোর।

ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না ইমারত নির্মাণ আইন ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা।

অভিযোগ রয়েছে, নির্মিতব্য ভবনের নকশা নিয়েও। বিষয়গুলো ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো সুরাহা পায়নি ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। এতে কালাম হাজারী, প্রবাসী সফিক হাজারী ও জাকির হাজারীসহ ৯টি পরিবারের চলাচলের একমাত্র পথ বন্ধ হয়ে যায়।

ভুক্তভোগী কালাম হাজারী, জাকির হাজারী ও সেলিম হাজারী জানান, গৌরীপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পেন্নাই হাজারী বাড়ীর প্রতিবেশি হাজী খালেক হাজারী বাড়ীতে বহুতল ভবন নির্মাণ শুরু করেন। স্থানীয় ভাবে চলাচলের পথ রেখে কাজ করার জন্য বলা হলেও তিনি শুনেননি। পরে আমরা চেয়ারম্যানের নিকট সমাধানের জন্য মঙ্গলবার ( ৫ জুলাই) লিখিত দরখাস্ত করি। চেয়ারম্যানের নোটিশ নিয়ে দফাদার মমিন খালেক হাজারীর বাড়িতে গেলে নোটিশ গ্রহন না করে উল্টো গালাগালি করে। পরে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা এবং গৌরীপুর পুলিশ ফাড়িতে লিখিত আবেদন করেও কোন সুরাহা হয়নি। বরং অভিযোগ করায় উল্টো আমাদের নামে মামলা করার হুমকি দেয়।

ভুক্তভোগীরা আরো জানান, বর্তমানে বাড়িতে প্রবেশের পথ একেবারেই বন্ধ করে দেয়ায় কোন প্রকার দুর্যোগ কিংবা দুর্ঘটনা ঘটলে, কেউ অসুস্থ হলে কোন প্রকার অ্যাম্বুল্যান্স বা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি অথবা কোন চিকিৎসক, উদ্ধারকর্মী যাতায়াত করতে পারবেন না। এমনকি কেউ মারাগেলে খাটিয়ায় মরদেহ বের করাও সম্ভব হবে না। এজন্যই আমরা রাস্তার জায়গার বিনিময়ে খালেক হাজারীকে অন্যদিকে জায়গা দিতেও চেয়েছি।

অভিযোগের বিষয়ে খালেক হাজারী বলেন, আমার মালিকানাধীন জায়গায় আমি ঘর করছি। তাদের দাবী মতে পাচ ফুট রাস্তা আমি দিতে পারবো না।

গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্য রাকিবুল হাসান বলেন, ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি সমাধানের জন্য উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলাম। কিন্তু খালেক হাজারীর অনড় অবস্থানের কারণে বিষয়টি মীমাংসা করা যায়নি।

উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোঃ মহিনুল হাসান বলেন, ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পেয়েছি, সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

error: Content is protected !!

দাউদকান্দিতে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে স্থাপনা নির্মাণ, অবরুদ্ধ ৯ পরিবার

তারিখ : ০২:৩৬:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ জুলাই ২০২২

রাজিব হোসেন জয়, দাউদকান্দি প্রতিনিধি।।
কোনো প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করায় ৯টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের পেন্নাই হাজারী বাড়ীর ভুক্তভোগী পরিবারগুলো এমন অভিযোগ তুলেন প্রতিবেশী খালেক হাজারীর বিরুদ্ধে।

প্রায় শত বছরের চলাচলের পথ বন্ধ করে ইমারত নির্মাণ কাজ শুরু করায় যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে ওই পরিবারগুলোর।

ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না ইমারত নির্মাণ আইন ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা।

অভিযোগ রয়েছে, নির্মিতব্য ভবনের নকশা নিয়েও। বিষয়গুলো ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো সুরাহা পায়নি ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। এতে কালাম হাজারী, প্রবাসী সফিক হাজারী ও জাকির হাজারীসহ ৯টি পরিবারের চলাচলের একমাত্র পথ বন্ধ হয়ে যায়।

ভুক্তভোগী কালাম হাজারী, জাকির হাজারী ও সেলিম হাজারী জানান, গৌরীপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পেন্নাই হাজারী বাড়ীর প্রতিবেশি হাজী খালেক হাজারী বাড়ীতে বহুতল ভবন নির্মাণ শুরু করেন। স্থানীয় ভাবে চলাচলের পথ রেখে কাজ করার জন্য বলা হলেও তিনি শুনেননি। পরে আমরা চেয়ারম্যানের নিকট সমাধানের জন্য মঙ্গলবার ( ৫ জুলাই) লিখিত দরখাস্ত করি। চেয়ারম্যানের নোটিশ নিয়ে দফাদার মমিন খালেক হাজারীর বাড়িতে গেলে নোটিশ গ্রহন না করে উল্টো গালাগালি করে। পরে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা এবং গৌরীপুর পুলিশ ফাড়িতে লিখিত আবেদন করেও কোন সুরাহা হয়নি। বরং অভিযোগ করায় উল্টো আমাদের নামে মামলা করার হুমকি দেয়।

ভুক্তভোগীরা আরো জানান, বর্তমানে বাড়িতে প্রবেশের পথ একেবারেই বন্ধ করে দেয়ায় কোন প্রকার দুর্যোগ কিংবা দুর্ঘটনা ঘটলে, কেউ অসুস্থ হলে কোন প্রকার অ্যাম্বুল্যান্স বা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি অথবা কোন চিকিৎসক, উদ্ধারকর্মী যাতায়াত করতে পারবেন না। এমনকি কেউ মারাগেলে খাটিয়ায় মরদেহ বের করাও সম্ভব হবে না। এজন্যই আমরা রাস্তার জায়গার বিনিময়ে খালেক হাজারীকে অন্যদিকে জায়গা দিতেও চেয়েছি।

অভিযোগের বিষয়ে খালেক হাজারী বলেন, আমার মালিকানাধীন জায়গায় আমি ঘর করছি। তাদের দাবী মতে পাচ ফুট রাস্তা আমি দিতে পারবো না।

গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্য রাকিবুল হাসান বলেন, ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি সমাধানের জন্য উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলাম। কিন্তু খালেক হাজারীর অনড় অবস্থানের কারণে বিষয়টি মীমাংসা করা যায়নি।

উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোঃ মহিনুল হাসান বলেন, ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পেয়েছি, সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।