০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় ৪ বছরের শিশু ধর্ষণ, প্রধান আসামি বাবু গ্রেফতার মুরাদনগরে ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন ইন বাংলাদেশের আওতায় পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত কুমিল্লা মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সভায় নতুন কমিটি গঠন গৌরসার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে রাজকীয় বিদায় দিলেন এলাকাবাসী কুমিল্লায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল ও গণজুতা নিক্ষেপ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি উন্মুক্তের দাবিতে ছাত্রদলের স্মারকলিপি কুমিল্লার বুড়িচংয়ে কলেজ ছাত্র তুহিন হত্যার এক আসামি গ্রেফতার প্রাকৃতিক গ্যাসের উপজেলা মুরাদনগর: ১০ ভাগ পরিবারেরই নেই গ্যাস সংযোগ আন্তর্জাতিক নির্যাতিত সাংবাদিক দিবসে কুমিল্লায় নির্যাতিত সাংবাদিকদের সম্মাননা কুমিল্লায় বিয়ের এক মাস না যেতেই লরির নিচে পিষ্ট হয়ে প্রবাসীর মৃত্যু

প্রক্টরের অপসারণের দাবিতে কুবি শিক্ষকের পাশে এবার সহকর্মীরা

  • তারিখ : ১০:২৯:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪
  • 48

কুবি প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) প্রক্টরের অপসারণের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম। পরে বাংলা বিভাগের সহকর্মী এবং অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকরা একাত্মতা প্রকাশ করে অবস্থান করেন।

রবিবার (১৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে একক অবস্থান করেন তিনি। পরে তাঁর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে পাশে দাঁড়ান বাংলা বিভাগের শিক্ষকরা। এরপর শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু তাহেরসহ শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ অবস্থান করেন৷

গত ২৮ শে এপ্রিল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে সাবেক শিক্ষার্থীদের হাতে মারধরের শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এসময় উপাচার্য কনুই দিয়ে ধাক্কা মারেন এক শিক্ষককে। এবং প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বাংলা বিভাগের শিক্ষক মোকাদ্দেস উল ইসলামকে গালে ঘুষি মারেন।

এ ঘটনায় বাংলা বিভাগের শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা প্রক্টরের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করে। এছাড়াও প্রক্টরের অপসারণ চেয়ে প্রশাসন বরাবর লিখিত চিঠি প্রেরণ করেছিলো মোকাদ্দেস উল ইসলাম। তবে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি প্রশাসন। বিচার না পেয়ে প্রক্টরের অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন তিনি।

প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থানের বিষয়ে ড. মোকাদ্দেস উল ইসলাম বলেন, যারা আমাদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা, তারাই আমাদের রক্ষার বদলে ভক্ষক হয়ে উঠেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে তাঁরা এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। যেখানে শিক্ষকরা আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন। সেখানে আমিও আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছি। এর আগে এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে প্রশাসন বরাবর চিঠি দিয়েছি। কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

তিনি আরও বলেন, তিনি এর আগেও ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতা তৈরি করেছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি সবার আগে তাঁর অপসারণ করা উচিত এবং তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা উচিত।

error: Content is protected !!

প্রক্টরের অপসারণের দাবিতে কুবি শিক্ষকের পাশে এবার সহকর্মীরা

তারিখ : ১০:২৯:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

কুবি প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) প্রক্টরের অপসারণের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম। পরে বাংলা বিভাগের সহকর্মী এবং অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকরা একাত্মতা প্রকাশ করে অবস্থান করেন।

রবিবার (১৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে একক অবস্থান করেন তিনি। পরে তাঁর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে পাশে দাঁড়ান বাংলা বিভাগের শিক্ষকরা। এরপর শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু তাহেরসহ শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ অবস্থান করেন৷

গত ২৮ শে এপ্রিল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে সাবেক শিক্ষার্থীদের হাতে মারধরের শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এসময় উপাচার্য কনুই দিয়ে ধাক্কা মারেন এক শিক্ষককে। এবং প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বাংলা বিভাগের শিক্ষক মোকাদ্দেস উল ইসলামকে গালে ঘুষি মারেন।

এ ঘটনায় বাংলা বিভাগের শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা প্রক্টরের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করে। এছাড়াও প্রক্টরের অপসারণ চেয়ে প্রশাসন বরাবর লিখিত চিঠি প্রেরণ করেছিলো মোকাদ্দেস উল ইসলাম। তবে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি প্রশাসন। বিচার না পেয়ে প্রক্টরের অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন তিনি।

প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থানের বিষয়ে ড. মোকাদ্দেস উল ইসলাম বলেন, যারা আমাদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা, তারাই আমাদের রক্ষার বদলে ভক্ষক হয়ে উঠেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে তাঁরা এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। যেখানে শিক্ষকরা আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন। সেখানে আমিও আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছি। এর আগে এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে প্রশাসন বরাবর চিঠি দিয়েছি। কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

তিনি আরও বলেন, তিনি এর আগেও ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতা তৈরি করেছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি সবার আগে তাঁর অপসারণ করা উচিত এবং তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা উচিত।