নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন এমপি বলেছেন, কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে রিফাতের নৌকার বিজয় আমার অনেক কষ্টের ফসল। শিক্ষক সমাজসহ কুমিল্লার পেশাজীবীরা নির্বাচনে রাস্তায় নেমে পরিবর্তন চেয়েছিল বলেই আল্লাহ আমাদের এ বিজয় দিয়েছেন। নির্বাচনে নৌকা জয়লাভ করলেও প্রাপ্ত ভোটে আমরা সন্তুষ্ট নই। প্রশাসনিক সন্ত্রাস আর দলীয় কিছু নেতার মুনাফেকির কারণে নৌকা কম ভোট পেয়েছে।
প্রশাসনের কিছু দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তা সাক্কুর লুটের টাকার কাছে বিক্রি হয়েছিল। তারা যেখানে নৌকার বেইজ পড়া কর্মী দেখেছে সেখানে আমাদের কর্মীদের পিটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। নির্বাচনের দিন নৌকার ১৪ জন কর্মীকে জেল দিয়েছে। নির্বাচনে তাদের মিশন ছিল দুটি। নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রথম শান্তিপূর্ণ এ নির্বাচনকে আন্তর্জাতিকভাবে প্রশ্নবৃদ্ধি করা। দুই নৌকার বিজয় ঠেকানো। প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাদের পাশাপাশি আমাদের কিছু দলীয় নেতা মুনাফেকি করেছিল।
বিগত ১৬ বছর ধরে সাক্কু মেয়র থাকাকালীন সময়ে সুবিধাভোগী আমাদের কিছু দলীয় কাউন্সিলর রাতের অন্ধকারে সাক্কুর কাছে বিক্রি হয়েছিল। নানা ষড়যন্ত্রের পরও কুমিল্লার সাধারণ মানুষের সমর্থনের কারণে নৌকার বিজয় তারা ঠেকাতে পারেনি। কুমিল্লা নগরীর মানুষ সহসায় নৌকার এ বিজয়ের সুফল পাবে। যানজট, জলাবদ্ধতা দূরীকরণে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বুধবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা টাউন হল অডিটোরিয়ামে শিক্ষক সমাজের আনন্দ সমাবেশ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এসব কথা বলেন।
সভায় শিক্ষক নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে কুমিল্লা নামেই কুমিল্লা বিভাগ গড়ার জোর দাবী জানান। এ সময় এমপি বাহার বলেন, নতুন প্রজন্মের জন্য সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে শেখ হাসিনার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের প্রিয় নেত্রী কুমিল্লা নামেই কুমিল্লা বিভাগ দিবেন ইনশাল্লাহ।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর মো: রুহুল আমিন ভূঁইয়া, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুর রশিদ, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবু জাফর খান, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মৃনাল কান্তি গোস্বামী, কুমিল্লা বিশ^বিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস লতা, জেলা শিক্ষক সমিতির আহবায়ক অধ্যক্ষ জহিরুল আলম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক জিয়াউল ইসলাম জীবন।
হাজী বাহার এমপি বিগত মেয়র সাক্কুর সমালোচনা করে আরো বলেন, সকল প্রতিষ্ঠানের একটি নিজস্ব জনবল কাঠামো থাকলেও বিগত একযুগেও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের জনবল কাঠামো তৈরি করতে পারেনি। সিটি কর্পোরেশনের স্থায়ী জনবল মাত্র ৮০-৮৫ জন হলেও সাক্কু মাষ্টার রুলে দলীয় কর্মী নিয়োগ দিয়েছে ৭’শ থেকে ৮’শ জন। তারা কাজ না করেই বেতন নিয়েছে আর নির্বাচনের সময় সাক্কুর পক্ষে কাজ করেছে। বিগত সময়ে সাক্কু আমার এনে দেওয়া শত শত কোটি টাকা লুটপাট করেছে। এর বিচার একদিন হবেই।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page